সকল ব্যাংকের ডাবল বেনিফিট স্কিম | ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম 2024
ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি ২০২৪ আবেদনের নতুন নিয়ম ও রেজাল্ট | Free Dutch Bangla Bank Scholarship Application 2024
আপনি যদি নতুন কোনও ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার কথা চিন্তা করেন সেক্ষেত্রে এনসিসি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড নিতে পারেন। তার কারণ হচ্ছে এনসিসি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ফ্রিতে পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ এনসিসি ব্যাংকে ক্ল্যাসিক থেকে সিগনেচার ভিসা ক্রেডিট কার্ড পর্যন্ত সব আপনি ফ্রি নিতে পারবেন যা অন্য ব্যাংকের ক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে চার্জ দিতে হবে।
আজকের এই আর্টিকেলে এনসিসি ব্যাংকের ভিসা ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে এ টু জেড সম্পূর্ণ তথ্য পেয়ে যাবেন। আমার এই ইউ পেনশন ব্লগে নতুন হয়ে থাকলে আর্টিকেলের উপরে অবশ্যই ফাইভ স্টার দিয়ে আর্টিকেলের নিচে আপনার ইমেইল দ্বারা সাবস্ক্রাইব করার অনুরোধ রইলো।
কেন এনসিসি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করবেন!
অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় এনসিসি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা সমূহ অনেক বেশি। এনসিসি ব্যাংকের ভিসা ও ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা সমূহ নিচে উল্লেখ করা হলো:
- ইএমভি (EMV) ও এনএফসি (NFC) প্রযুক্তিসম্পন্ন।
- ডুয়েল কারেন্সি কার্ড।
- কার্ড চেক সুবিধা।
- ফান্ড ট্রান্সফার সুবিধা।
- ২৪ ঘন্টা কল সেন্টার সুবিধা।
- ই-স্টেটমেন্ট।
- হিডেন চার্জ নেই।
- মিনিমাম ডিউ ৩% অথবা ৫০০ টাকা।
- ইন্টারেস্ট ফ্রি টাইম ১৫ দিন -৪৫ দিন।
এনসিসি ব্যাংক ফ্রি ভিসা কার্ড ব্যবহার করলে উপরোক্ত সুবিধাগুলো ছাড়াও আরো অন্যান্য সুবিধা পাবেন। তবে শুধুমাত্র যে ক্লাসিক কার্ড রয়েছে সেই ক্লাসিক কার্ডগুলো হবে লোকাল কারেন্সির। এনসিসি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড ডুয়েল কারেন্সি হওয়ায় আপনি ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল, নেম চিপ সহ পৃথিবীর যেকোনো মার্কেট প্লেসে প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস ক্রয় করার পাশাপাশি অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন।
এই ক্রেডিট কার্ড এর সাথে আপনি আর্থিক সুবিধা পাবেন এবং ফান্ড ট্রান্সফারের সুবিধাও পাবেন। যদি এই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে কোন প্রবলেম ফেস করেন তবে ২৪ ঘণ্টা কল সেন্টার থেকে সাপোর্ট পাবেন। মাসিক স্টেটমেন্ট সুবিধার সাথে এই ভিসা ক্রেডিট কার্ড এর কোন হিডেন চার্জ নেই।
সোনালী ব্যাংক ডিপিএস করলে স্পেশাল বোনাস এবং সহজ লোন
এই ক্রেডিট কার্ড সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি মিনিমাম ০৩% অথবা ৫০০ (পাঁচশ) টাকা ডিউ পেমেন্ট করতে পারবেন৷ অন্য ব্যাংকের ক্ষেত্রে যেটা মিনিমাম ডিউ ক্যালকুলেট করা হয় ৫% পার্সেন্ট অথবা পাঁচশ টাকা। কিন্তু এনসিসি ব্যাংকের ক্ষেত্রে আপনি মিনিমাম ডিউ ৩% দিতে পারবেন। তার মানে আপনি যে পরিমাণ টাকা খরচ করবেন আপনার মিনিমাম যে এমাউন্ট তা কিছুটা কম আসবে। এবং ইন্টারেস্ট ফ্রি টাইম পাবেন মিনিমাম ১৫ দিন এবং ম্যাক্সিমাম ৪৫ (পাঁচ চল্লিশ) দিন।
এনসিসি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা সমূহ
দেশে প্রচলিত প্রত্যেকটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে কিন্তু এনসিসি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড এর ক্ষেত্রে যে সকল সুযোগ-সুবিধা দেয় তা অন্য কোন ব্যাংক দিতে পারেনা। পার্সোনালি আমি অনেকগুলো ব্যাংক থেকে ইনফরমেশন কালেক্ট করার সময় জানতে পেরেছি যে এনসিসি ব্যাংক সাধারণত তাদের ক্রেডিট কার্ডধারী গ্রাহকদের সুবিধার জন্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় বিষয় পরিবর্তন এবং পরিমার্জিত করে।
তাই এনসিসি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সুবিধা সহ দেশের অন্যান্য ব্যাংকের সকল বিষয় সম্পর্কে সব সময় আপডেট তথ্য পেতে অবশ্যই আমাদের এই ব্লগ প্রতিনিয়ত ভিজিট করবেন। এনসিসি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা সমূহ নিচে তুলে ধরা হলো:
ncc bank credit card offers:
- ইন্সুরেন্স সুবিধা;
- ট্রাভেল সুবিধা;
- ডাইনিং সুবিধা।
এনসিসি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের ইন্সুরেন্স সুবিধা
এনসিসি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডে ৪ (চারটি) ইন্সুরেন্স সুবিধা রয়েছে। অন্য যেসব ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড রয়েছে সেগুলোতে হয়তো ডাবল বেনিফিট স্কিম বা ট্রিপল বেনিফিট স্কীম থাকে। কিন্তু শুধুমাত্র এনসিসি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে ৪টি (চার) বেনিফিট রয়েছে।
ncc bank credit card ইন্সুরেন্স সুবিধা গুলো কি? কি?
- সাধারণ মৃত্যু (আউটস্ট্যান্ডিং এর ২০০% সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা)।
- এক্সিডেন্ট মৃত্যু (আউটস্ট্যান্ডিংয়ের ৪০০% সর্বোচ্চ ৪০ লাখ টাকা)।
- পার্মানেন্ট ডিজেবলিটি (আউটস্ট্যান্ডিং এর ২০০% সর্বচ্চ ২০ লাখ টাকা)।
- গুরুতর অসুস্থতা (শেষ মাসের আউটস্ট্যান্ডিং এর ৫০% সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা)।
এনসিসি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড হোল্ডারের যদি সাধারণ বা নরমাল মৃত্যু হয় সে ক্ষেত্রে আউটস্ট্যান্ডিং ২০০% পাবে। তবে যদি তাঁর কার্ডে ইন্সুরেন্স চালু থাকে। আউটস্ট্যান্ডিং ২০০% এর মূল্য সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা।
এনসিসি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড হোল্ডারের যদি এক্সিডেন্ট জনিত মৃত্যু হয় তাহলে সেক্ষেত্রে ৪০০% আউটস্ট্যান্ডিং পাবেন। যার মূল্য ৪০ লক্ষ টাকা।
এনসিসি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড হোল্ডার যদি প্যারালাইজড, পঙ্গু, বাংলা ভাষায় যেটাকে বলা হয় অচল হয়ে যায় তবে আউটস্ট্যান্ডিংয়ের ২০০% পাবে। যার মূল্যও ২০ লক্ষ টাকা।
জরুরী লোন বাংলাদেশ থেকে নেওয়ার 100% কার্যকরী উপায়
এনসিসি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড হোল্ডার যদি ক্রিটিকাল কোন রোগে আক্রান্ত হয় যেমন ক্যান্সার, এইচআইভি এ ধরনের জটিল কোন রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে তার কার্ডের লাস্ট মাসের যে আউটস্ট্যান্ডিং থাকবে সেই আউটস্ট্যান্ডিং এর ৫০ পার্সেন্ট পাবেন। যার মূল্য ৫ লাখ টাকা।
সুতরাং তুলনামূলক ভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় অন্যান্য ব্যাংকের যে সকল ক্রেডিট কার্ড রয়েছে ওই সকল ক্রেডিট কার্ডের ইন্সুরেন্স থেকে এনসিসি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের ইন্সুরেন্স পলিসি অনেক বেটার এবং জনপ্রিয়।
এনসিসি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের ট্রাভেল সুবিধা
যারা প্রচুর ভ্রমণ করেন কিংবা ট্রাভেল করেন তাদের জন্য একটি ক্রেডিট কার্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় বিষয়। কেউ যদি চিন্তা করে থাকেন ট্রাভেল সুবিধা দেয় এরকম ক্রেডিট কার্ড নিবেন, তাহলে চোখ বন্ধ করে এনসিসি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ করতে পারেন।
ক্রেডিট কার্ডের ধরন | এনসিসি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের ট্রাভেল সুবিধা সমূহ: |
---|---|
গোল্ড কার্ড | বলাকা লাউঞ্জে বছরে ২টি ভিজিট ফ্রি পাবেন। |
প্লাটিনাম কার্ড | ১. বলাকা লাউঞ্জে বছরে ৫টি ভিজিট ফ্রি পাবেন। ২. প্রায়োরিটি পাস দিয়ে দেশের বাইরে বছরে ২টি ভিজিট ফ্রি পাবেন। |
সিগনেচার কার্ড | ১. বলাকা লাউঞ্জে বছরে ৬টি ভিজিট ফ্রি পাবেন। ২. প্রায়োরিটি পাস দিয়ে দেশের বাইরে বছরে ৪টি ভিজিট ফ্রি পাবেন। |
মিট এন্ড গ্রীট সার্ভিস | মিট অ্যান্ড গ্রীট সার্ভিস শুধুমাত্র প্লাটিনাম এবং সিগনেচার কার্ড ধারীরাই পাবেন। |
এনসিসি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের ডাইনিং সুবিধা
এনসিসি ব্যাংক কর্তৃক তাদের ক্রেডিট কার্ডের ডাইনিং সুবিধা থাকলেও এই সুবিধা শুধুমাত্র প্লাটিনাম এবং সিগনেচার কার্ড ধারীরাই উপভোগ করতে পারবেন।
প্লাটিনাম কার্ডে বাই ওয়ান গেট ওয়ান (সারা বছর):
- InterContinental Dhaka
- Le Meridien Dhaka
- Radisson Blu Dhaka Water Garden
- The Westin Dhaka
উপরোক্ত তালিকায় যে সকল রেস্টুরেন্টের নাম দেয়া রয়েছে সেখান থেকে প্লাটিনাম কার্ড ব্যবহারকারীরা যেকোনো একটি প্রোডাক্ট কিনলে সঙ্গে আরো একটি প্রোডাক্ট ফ্রি পাবেন।রএ অফার এই প্লাটিনাম কার্ড ব্যবহারকারীরা সারা বছর পাবেন।
সিগনেচার কার্ডে বাই ওয়ান গেট ওয়ান (সারা বছর):
- The Westin Dhaka
- Sheraton Dhaka
- Renaissance Dhaka Gulshan Hotel
- Radisson Blu Dhaka Water Garden
- Le Meridien Dhaka
- Crowne Plaza Dhaka Gulshan
- Pan Pacific Sonargaon Dhaka Hotel
- InterContinental Dhaka
- Dhaka Regency Hotel & Resort Limited
উপরোক্ত তালিকায় যে সকল রেস্তোরা’র নাম দেয়া রয়েছে সেখান থেকে সিগনেচার কার্ড ব্যবহারকারীরা যেকোনো একটি প্রোডাক্ট কিনলে সঙ্গে আরো একটি প্রোডাক্ট ফ্রি পাবেন। এ অফার এই সিগনেচার কার্ড ব্যবহারকারীরা সারা বছর পাবেন।
তো আর্টিকেলের এতটুকু অংশ পড়ে হয়তো আপনি বুঝে গেছেন এনসিসি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা অন্যান্য ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের তুলনায় কত বেশি। আসলে যারা বাই ওয়ান গেট ওয়ান সুবিধা পাওয়ার জন্য ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে থাকেন, তাদের জন্য এনসিসি ব্যাংকের এই ক্রেডিট কার্ড বেস্ট চয়েজ করতে পারেন। এনসিসি ব্যাংকের এই ক্রেডিট কার্ড আপনার আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সর্বশ্রেষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে পারে।
এনসিসি ব্যাংক বিভিন্ন ক্রেডিট কার্ডের চার্জ | NCC Bank Card Charges
যেকোনো ব্যাংকের ক্রেডিট অথবা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করতে হলেমাসিক কিংবা বাৎসরিক চার্জ দিতে হয়। এনসিসি ব্যাংকের সাধারণত চারটি কার্ড রয়েছে। ক্লাসিক কার্ড, প্লাটিনাম কার্ড, গোল্ড কার্ড এবং সিগনেচার কার্ড। তো এই কার্ডগুলোর জন্য এনসিসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মাসিক অথবা বাৎসরিক চার্জ কত নেয়, সেই সম্পর্কে আর্টিকেলের এই সেকশনে আমরা জানবো। এনসিসি ব্যাংকের বিভিন্ন ধরনের কার্ডের চার্জ ফি সমূহনিচে তুলে ধরা হলো:
এনসিসি ব্যাংক ক্লাসিক কার্ডের ফি জেনে নিন
বাৎসরিক ফি: ncc bank credit card charges
এনসিসি ব্যাংকের ক্লাসিক কার্ডের বাৎসরিক ফি হচ্ছে সিকিউর কার্ডের জন্য ৫০০ (পাঁচশ) টাকা এবং আনসিকিউর্ড কার্ডের জন্য ১ হাজার টাকা। এখানে সিকিউর কার্ড বলতে বোঝানো হয়েছে, আপনি যদি কোনও এফডিআর বা ডিপিএস করেন তার এগেনস্টে যে ক্রেডিট কার্ড দেন সেক্ষেত্রে আপনার অ্যানুয়াল ফী এর পরিমান কম হবে যা হয়তো অর্থের পরিমাণে ৫০০ (পাঁচশ) টাকা।
- সোনালী ব্যাংক ডিপিএস করলে স্পেশাল বোনাস এবং সহজ লোন
- বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার সহজ উপায় (100% কার্যকরী নতুন আপডেট)
- ইসলামী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম 2024
আর আপনি যদি চাকরি বা বিজনেস দেখিয়ে ক্রেডিট কার্ড নেন সেটাকে বলে আনসিকিউর্ড ক্রেডিট কার্ড এবং তার জন্য দিতে হবে ১,০০০ (এক) হাজার টাকা। সো এনসিসি ব্যাংকের ফ্রি ভিসা ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার পরে প্রথম বছরে আপনাকে যে অ্যানুয়াল ফি টা দিতে হবে আপনি চাইলে এই অ্যানুয়াল ফি ওয়েভার করে নিতে পারবেন।
প্রথম বছরের ফি ওয়েভার:
প্রথম বছরের ফি ওয়েভার এর নিয়ম হচ্ছে কার্ড নেওয়ার প্রথম ছয় মাসের মধ্যে আপনি যদি ২৫,০০০ (পঁচিশ) হাজার টাকা খরচ করেন, সেটা আপনি পজ অথবা ই কমার্সে ট্রানজেকশন করেন না কেন আপনার এই ২৫,০০০ (পঁচিশ) হাজার টাকা খরচ করার সুবাদে, কার্ডের জন্য যে ৫০০ (পাঁচশ) টাকা বা ১,০০০ (এক) হাজার টাকা অ্যানুয়াল ফি দিয়েছিলেন সেই টাকা এনসিসি ব্যাংক মওকুফ করে দেবে। তার মানে আপনি এনসিসি ব্যাংকের ভিসা কার্ড সম্পূর্ণ ফ্রিতে পাচ্ছেন।
রিনুয়াল ফি ওয়েভার:
পরবর্তী বছর থেকে আপনি মাত্র ১২টি ট্রান্সজাকশনে আপনার অ্যানুয়াল ফি ওয়েভার করে নিতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি কিন্তু পরবর্তী বছর থেকে এই কার্ড ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবে। তবে ট্রানজেকশনগুলো পজ এবং ই-কমার্স পেমেন্ট করতে হবে।
কার্ড লিমিট:
এই ক্লাসিক কার্ডের লিমিট শুরু হবে ২৫,০০০ (পঁচিশ) হাজার টাকা থেকে।
সাপ্লিমেন্টারি কার্ড ফ্রি:
তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এই কার্ডের সাথে আপনি একটি সাপ্লিমেন্টারি কার্ড ফ্রি পাবেন।
এনসিসি ব্যাংক গোল্ড কার্ডের ফি জেনে নিন
বাৎসরিক ফি:
এনসিসি ব্যাংক গোল্ড কার্ড এর ক্ষেত্রে সিকিউ কার্ডের জন্য বাৎসরিক ফি দিতে হবে ১,০০০ (এক) হাজার টাকা এবং আনসিকিউর্ড কার্ডের জন্য বাৎসরিক ফি হবে ২,০০০ (দুই) হাজার টাকা।
প্রথম বছরের ফি ওয়েভার:
আপনি যদি কার্ড নেওয়ার প্রথম ছয় মাসের মধ্যে ৪০,০০০ (চল্লিশ) হাজার টাকা খরচ করেন তাহলে এই কার্ডের চার্জ ওয়েভার করে নিতে পারবেন। অর্থাৎ কার্ড নেওয়ার সময় আপনি যে অ্যানুয়াল ফি পরিশোধ করবেন সেই চার্জ করা টাকা এনসিসি ব্যাংক আপনাকে ওয়েভার করে নেওয়ার সুযোগ দেবে।
রিনুয়াল ফি ওয়েভার:
পরবর্তী বছর থেকে আপনি ১২টি ট্রান্সজাকশনের মাধ্যমে আপনার অ্যানুয়াল ফি পুনরায় ওয়েভার করে নিতে পারবেন। তার মানে আপনি এনসিসি ব্যাংকের গোল্ড কার্ডও ফ্রি ইউজ করতে পারবেন।
কার্ড লিমিট:
এই গোল্ড কার্ড এর লিমিট শুরু হবে ৫০,০০০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা থেকে।
সাপ্লিমেন্টারী কার্ড:
আরো একটি অনন্য সুবিধা হলো এই কার্ডের সাথে আপনি ২টি সাপ্লিমেন্টারি কার্ড ফ্রি পাবেন।
এনসিসি ব্যাংক প্ল্যাটিনাম কার্ডের ফি জেনে নিন
আর্টিকেলের এই অংশে আমরা জানব প্ল্যাটিনাম কার্ডের অ্যানুয়াল ফি সম্পর্কে।
বাৎসরিক ফি:
প্ল্যাটিনাম কার্ডের ক্ষেত্রে সিকিউর কার্ডের জন্য বাৎসরিক চার্জ হবে ১,৫০০ (পনেরশো) টাকা এবং আনসিকিউর্ড কার্ডের জন্য বাৎসরিক চার্জ হবে ৩,০০০ ( তিন) হাজার টাকা।
প্রথম বছরের ফি ওয়েভার:
প্রথম বছরের ফি ওয়েভারের নিয়ম অনুযায়ী প্লাটিনাম কার্ড নেওয়ার প্রথম ছয় মাসের মধ্যে আপনি যদি ৬০,০০০ (ষাট) হাজার টাকা খরচ করেন তাহলে আপনি কার্ডের যে ইস্যু ইন ফি দিয়েছেন সেই ফি এর টাকা ব্যাংক আপনাকে ওয়েভার করে দেবে।
রিনুয়াল ফি ওয়েভার:
পূর্বের মতো পরবর্তী বছর থেকে আপনি ১২টি ট্রানজেকশন করে কার্ডের অ্যানুয়াল ফি ওয়েভার করে নিতে পারবেন।
কার্ড লিমিট:
প্ল্যাটিনাম কার্ডের লিমিট শুরু হবে ১,০০,০০০ (এক) লাখ টাতা থেকে।
সাপ্লিমেন্টারী কার্ড:
এই কার্ডের সাথেও আপনি ২টা সাপ্লিমেন্টারি কার্ড ফ্রি পাবেন।
এনসিসি ব্যাংক সিগনেচার কার্ডের ফি জেনে নিন
চলুন আমরা জেনে নেই এনসিসি ব্যাংকের সিগনেচার কার্ডের ফি সম্পর্কে।
বাৎসরিক ফি:
সিগনেচার কর্ডের জন্য সিকিউর কার্ডের ক্ষেত্রে ২৫,০০ (পঁচিশ শত) টাকা এবং আনসিকিউরড কার্ডের জন্য ফি দিতে হবে ৫,০০০ (পাঁচ) হাজার টাকা। তবে আপনার জানা থাকা জরুরি যে, প্রচলিত অন্যান্য সব ব্যাংকের সিগনেচার কার্ডের অ্যানুয়াল ফি কিন্তু ১০,০০০ হাজার টাকা। তাই বলা যায় এনসিসি ব্যাংকের কার্ডের অ্যানুয়াল ফি কিন্তু অন্য ব্যাংকের তুলনায় আসলেই অনেক কম।
প্রথম বছরের ফি ওয়েভার:
এই ৫০০০ (পাঁচ) হাজার বা ২৫০০ (পঁচিশ শত) টাকা যে অ্যানুয়াল ফি দিয়েছেন, আপনি যদি কার্ড নেওয়ার প্রথম ছয় মাসের মধ্যে ৮০,০০০ (আশি) হাজার টাকা খরচ করেন তাহলে ব্যাংক আপনাকে এই ফি এর টাকাও ফেরত দিয়ে দেবে।
রিনুয়াল ফি ওয়েভার:
আগের কার্ডগুলোর মতো পরবর্তী বছরে যদি ১২টি ট্রানজেকশন করেন, তাহলে কিন্তু অ্যানুয়াল ফি প্রতি বছর বছর ওয়েভার করে নিতে পারবেন।
কার্ড লিমিট:
এই কার্ডের লিমিট শুরু হবে ২,০০,০০০ (দুই) লাখ টাকা থেকে।
সাপ্লিমেন্টারি কার্ড:
এনসিসি ব্যাংক সিগনেচার কার্ডের সাথেও আপনি ২টি সাপ্লিমেন্টারি কার্ড ফ্রি পাবেন।
ফ্রিতে এনসিসি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ট্রানজাকশন করার নিয়ম
এবার আমরা জানবো এনসিসি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে কোন কোন ট্রানজাকশন প্রোসেসিং ফি ছাড়াই করতে পারেন।
অ্যাড মানি: যদি আপনি অ্যাড মানি করেন অর্থাৎ বিকাশ, রকেট, নগদ এজাতীয় মোবাইল ব্যাংকিং ওয়ালেটে অ্যাড মানি করেন সে ক্ষেত্রে কোনও প্রসেসিং ফি দিতে হবে না৷
কার্ড চেক দিয়ে টাকা উত্তলোন: আপনি যদি কার্ড চেক দিয়ে টাকা কোলেন সে ক্ষেত্রেও কোনও প্রসেসিং ফি নেই৷ তবে অন্যান্য ব্যাংকে কিন্তু ১,২,৩% পর্যন্ত চার্জ করে।
ফান্ড ট্রান্সফার: আপনি এই কার্ডগুলো দিয়ে ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারবেন তার জন্য কোনও প্রসেসিং ফি নেই৷
ATM থেকে টাকা উত্তোলন: এটিএম বুথ (ATM) থেকে অর্থাৎ দেশের যেকোন এটিএম বুথ থেকে যদি কার্ড দিয়ে টাকা তোলেন সে ক্ষেত্রেও কোনও প্রসেসিং ফি নেই৷ তবে অন্য সব ব্যাংকে কিন্তু প্রসেসিং ফি আছে। তো এই কার্ডগুলোর আরো অন্যান্য সুবিধা আছে চলুন সেই সুবিধাগুলো জেনে নেই।
এনসিসি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড এর ট্রানজাকশন সুবিধা সমূহ
ইএমআই (EMI) সুবিধা
এই ক্রেডিট কার্ডগুলো ব্যবহার করলে আপনি চার ধরনে ইএমআই (EMI) সুবিধা পেয়ে যাবেন।
- ০% স্মার্ট-পে EMI (পার্টনার মার্চেন্ট ৩-৩৬ মাস)।
- ৭-৯% ইন্সট্যা ক্রেডিট (নগদ টাকা ৩ থেকে ৩৬ মাস)।
- ৭-৯% ইজি-বাই (যে কোন দোকানে ৩ থেকে ৩৬ মাস)।
- ৯-১০% আউটস্ট্যান্ডিং (৩-৩৬ মাস)।
পার্টনার মার্চেন্ট: এনসিসি ব্যাংকের সাথে যে সকল আউটলেটের পার্টনারশিপ আছে আপনি চাইলে সেখান থেকে ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট, গ্লোসারি শপ, বা যেকোনো নিত্য প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট কিনতে পারবেন ৩-৩৬ মাসের ইএমআই তে। এর জন্য আপনাকে কোন ইন্টারেস্ট ফি প্রদান করতে হবে না।
ইন্সট্যা ক্রেডিট: আরেকটা অপশন হচ্ছে ইন্সট্যা ক্রেডিট, অর্থাৎ আপনি যদি নগদ টাকা ৩ থেকে ৩৬ মাসের জন্য নেন সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে ইন্টারেস্ট পে করতে হবে।
ইজি-বাই: ৭-৯% এর মধ্যে যে সব মার্চেন্ট এর সাথে এনসিসি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের কোনও পার্টনারশিপ নেই, অর্থাৎ দেশের যে কোনও রিটেল শপ থেকে নির্দিষ্ট অ্যামাউন্টের উপরে আপনি যদি কোনও প্রডাক্ট কেনেন তাহলে আপনি কল সেন্টারে কল করে এই যে প্রোডাক্ট কিনেছেন তার এমাউন্ট আপনি EMI তে কনভার্ট করে নিতে পারবেন। তবে সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের জন্য এই ইএমআই পেমেন্ট প্রযোজ্য হবে।
আউটস্ট্যান্ডিং: এর পর হচ্ছে আপনার কার্ডে আউটস্ট্যান্ডিং থাকবে। আপনি চাইলে আপনার আউটস্ট্যান্ডিং সর্বচ্চ ৯-১০% ইন্টারেস্টে ইএমআই তে কনভার্ট করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনি সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের মধ্যে ইএমআই পরিশোধ করার সুবিধা পাবেন। অন্যান্য ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ডে এতগুলো সুবিধা থাকে না সো এখানে কিন্তু আপনি দেখতে পাচ্ছেন অনেকগুলো ইএমআই সুবিধা রয়েছে।
প্রিভিলাইজ পয়েন্ট
- ৫০ টাকা খরচে ১ পয়েন্ট;
- ফুয়েল স্টেশনে খরচে পাবেন ২x পয়েন্ট;
- মেডিসিন শপে খরচে পাবেন ৩x পয়েন্ট;
- গ্রোসারি দোকানের খরচে পাবেন ৫x পয়েন্ট;
- স্মার্ট-পে EMI করলে ২ হাজার থেকে ৭ হাজার পয়েন্ট পাবেন।
প্রতি ৫০ টাকা বা ১ ডলার খরচে আপনি এক পয়েন্ট করে রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাবেন। আর সিগনেচার কার্ডে আপনি প্রতি ৫০ টাকা বা ১ ডলার খরচে ২ (দুই) পয়েন্ট করে পাবেন। যদি কোন ফুয়েল স্টেশনে খরচ করেন সেক্ষেত্রে আপনি দুই গুণ পয়েন্ট পাবেন। যদি কোনও মেডিসিন শপে কেনাকাটা করেন সে ক্ষেত্রে তিন গুণ পয়েন্ট পাবেন। আপনি যদি কোনো গ্রোসারি শপে কেনাকাটা করেন সেক্ষেত্রে আপনি ৫ (পাঁচ) গুণ রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাবেন।
এখানে গ্রোসারি শপ বলতে স্বপ্ন, মীনা বাজার, আগোরা এই ধরনের গ্রসারি শপ গুলোতে যদি কেনাকাটা করেন সেক্ষেত্রে আপনি ৫ (পাঁচ) গুণ রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাবেন।
এবং স্মার্ট-পে যদি ইএমআইতে করে কনভার্ট করেন সে ক্ষেত্রে অ্যামাউন্টের উপরে ভিত্তি করে আপনি ২ হাজার থেকে ৭ হাজর পর্যন্ত রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
প্রিভিলাইজ পয়েন্ট রিডিম
এনসিসি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এই কার্ডগুলো বিভিন্ন রিওয়ার্ড পয়েন্টের মাধ্যমেও ওভার করে নিতে পারবেন এবং সেই সাথে আপনি আউটস্ট্যান্ডিং পেমেন্ট করেও আকর্ষণীয় রিওয়ার্ড পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন।
- কার্ড ফি ওয়েভার (১০০ পয়েন্ট = ৪০ টাকা)।
- আউটস্ট্যান্ডিং পেমেন্ট (১০০ পয়েন্ট = ২৫ টাকা)।
এই রিওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে আপনি চাইলে আপনার কার্ডের অ্যানুয়াল ফি ওয়েভার করতে পারবেন। এই কার্ডে আউটস্ট্যান্ডিং পেমেন্ট করতে পারবেন। সো কার্ডের অ্যানুয়াল ফি এর ক্ষেত্রে প্রতি ১০০ (একশ) পয়েন্টের ভ্যালু হবে ৪০ টাকা। আর যদি আপনি কার্ডে আউটস্ট্যান্ডিং পেমেন্ট করতে চান, সে ক্ষেত্রে প্রতি ১০০ (একশ) পয়েন্টের ভ্যালু হবে ২৫ টাকা।
এনসিসি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নিতে গেলে যেসব ডকুমেন্টস প্রয়োজন
বেতনভুক্ত ব্যক্তির জন্য:
- Latest Salary Certificate/Last 3 Months Pay Slip
- Latest income taxreturn copy
- E-Tin Certificate Copy
- Office ID Card Copy
- Bank Statement Last 3 Months
- Business Card
- 2 Copy Photo
- NID Photocopy
ব্যবসায়ী ব্যক্তির জন্য:
- Trade License Or Partnership Deed Copy
- Latest income tax return copy
- E-Tin Certificate Copy
- Bank Statement Last 12 Months
- Business Card
- 2 Copy LAB Print Photo
- NID Photocopy
এনসিসি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড নিতে গেলে সেলারি কত হতে হবে
অনেকের প্রশ্ন করে দেখেন এনসিসি ব্যাংকে ক্রেডিট কার্ড নিতে গেলে স্যালারি কত হতে হবে? বা বেতন রেঞ্জ, বেতন স্কেল কত থাকতে হবে? আবার অনেকেই প্রশ্ন করেন যে, কত ইনকাম হলে কোন ক্রেডিট কার্ড নেওয়া যাবে?
এ সকল প্রশ্নের উত্তর হলো, এটা সম্পূর্ণ ডিপেন্ড করে আপনি যখন কার্ডের জন্য এপ্লাই করবেন তখন আপনার বর্তমান ইনকাম বেসেস করেই ব্যাংক ম্যানেজার বা কর্তৃপক্ষ ডিসাইড করবে আপনার কোন কার্ডের জন্য যোগ্যতা আছে বা আপনি কোন কার্ড গ্রহণ করতে পারেন।
শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলে এনসিসি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে এ টু জেড বিস্তারিত আলোচনা করেছি।যেকোনো ব্যাংক বা আর্থিক লেনদেন প্রতিষ্ঠানের যে কোন রুলস রেগুলেটিং, টার্মস এন্ড কন্ডিশন, যেকোনো মুহূর্তে পরিবর্তিত এবং পরিমার্জিত হতে পারে। তাই এনসিসি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড আবেদনের পূর্বে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ ব্যাংকের শাখায় গিয়ে বিভিন্ন পরিবর্তন বা পরিমার্জিত তথ্য কিংবা সেই সাথে চার্জ সম্পর্কে জেনে বুঝে তারপর আবেদন করবেন।
এতক্ষন ধৈর্য এবং মনোযোগ সহকারে পুরো আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। যদি মনে করেন আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার পরিচিতজন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পারে, তাহলে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করে তাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিন। যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আপনি কমেন্ট সেকশনে আপনার সেই প্রশ্ন জানাতে পারেন, আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি এবং যদি আপনার প্রশ্ন অনেক ক্রিটিক্যাল হয়ে থাকে তাহলে সে বিষয়ে নতুন একটি আর্টিকেল পাবলিশ করার জন্য ইচ্ছা পোষণ করছি। আশা করি পরবর্তী আর্টিকেল পাবলিশ হওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকবেন। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আসসালামু আলাইকুম।
2 Comments
Join me
Dear Junaid,
Canva Team link is updated. You can use Now.
https://www.upension.info/canva-pro-invite-link-2024-canva-pro-for-free/