HomeNIDনতুন ভোটার হতে কি কি লাগে | Documents For New NID Application...

নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে | Documents For New NID Application 2025 – NID BD


মাত্র ১৬ বছর বয়সেই অনলাইনে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে ১৮ বছরের আগেই হাতে পাবেন NID Card। ২০২৪ সালে নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে জেনে নিন।

ভোটার আইডি কার্ড নিবন্ধন করতে কি কি ডকুমেন্টস ও কাগজপত্র প্রয়োজন তা নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন এই পোস্টের মাধ্যমে। বর্তমান নিয়ম অনুসারে ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই অনলাইনে New Voter Registration করা যায় এবং NID Card ও হাতে পাবেন।

তবে ভোটার তালিকায় নাম আসবে ১৮ পূর্ণ হবার পর। অর্থাৎ আপনার বয়স যখনই ১৮ বছর হবে তখন ভোট দিতে পারবেন।

আলোচনার সারসংক্ষেপ

নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে

নতুন ভোটার হতে প্রধানত বোর্ড পরিক্ষার সার্টিফিকেট, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, নাগরিকত্ব সনদ ও মিতা মাতার NID Card এর ফটোকপি প্রয়োজন। ঠিকানা প্রমানের জন্য ইউটিলিটি বিল যেমন বিদ্যুৎ কিংবা গ্যাস বিলের কপি অথবা কর পরিশোধের রসিদ লাগবে।

রক্তের গ্রুপ যুক্ত করার জন্য রক্তের গ্রুপ পরিক্ষার রিপোর্ট যা কোন ক্লিনিক / হাসপাতাল হতে আনতে হবে, নিজে লিখে দিলে হবে না।

ভোটার আবেদনকারী অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। এনআইডি কার্ডের আবেদন করার জন্য ব্যক্তির বয়স সর্বনিম্ন ১৬ বছর হতে হয়।

নতুন ভোটার আবেদন করতে কি কি লাগে তা বিস্তারিত নিচে লিস্ট আকারে প্রকাশ করা হলো-

  • জন্ম নিবন্ধন সনদ
  • শিক্ষাগত যোজ্ঞতা সনদ
  • নাগরিক সনদ
  • প্রত্যয়ন প্রত্র
  • পিতা মাতার আইডি কার্ডের ফটোকপি
  • ইউটিলিটি বিলের কপি
  • ট্যাক্স / কর পরিশোধের রশিদ

এইসব ডকুমেন্টের সাথে চাইলে পাসপোর্ট নাম্বার, ড্রাইভিং লাইসেন্স সংযুক্ত করতে পারেন। যাদের বয়স বেশি হয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে পূর্বে কখনো জাতীয় পরিচয় পত্রে নিবন্ধন করেননি এই মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।

নতুন ভোটার হতে যা যা লাগেনতুন ভোটার হতে যা যা লাগে
ভোটার হতে যা যা লাগে

আবেদনকারী যদি বিবাহিত হয় তাহলে আবেদনের সাথে কাবিননামা বা বৈবাহিক সনদ সংযুক্ত করতে হবে এর সাথে স্বামী অথবা স্ত্রীর আইডি কার্ডের ফটোকপি (যদি থাকে) জমা দিতে হবে।

নতুন ভোটার আবেদন করার শর্ত

একজন নাগরিক একবল মাত্র একবার ভোটার নিবন্ধনের আবেদন করতে পারে। একাধিক বার নিবন্ধনের সুযোগ নেই। নতুন আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে হলে কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়-

  • বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে
  • বয়স ১৬ বছর বা তার চেয়ে বেশি হতে হবে
  • পূর্বে কখনো নিবন্ধন করেনি

একজন বাংলাদেশী নাগরিকের প্রমাণ হিসেবে প্রত্যেকেরই কিছু ডকুমেন্ট থাকে। অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ, পিতা-মাতা জাতীয়তা এবং আইডি কার্ড। স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে বসবাসরত বাড়ির অথবা জমির কর পরিষদ রশিদ।

নতুন আইডি কার্ড করতে কি কি লাগে

নতুন আইডি কার্ডের আবেদন করলে আবেদনপত্রের সাথে যে সকল ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র আবশ্যিক ভাবে জমা দিতে হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, পরীক্ষার সার্টিফিকেট, পিতা মাতার আইডি কার্ড, ইউটিলি বিলের কপি।

  1. জন্ম নিবন্ধন সনদ (অনলাইন)
  2. নাগরিক সনদ / চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট
  3. স্কুল সার্টিফিকেট (যদি থাকে)
  4. পিতা মাতার এনআইডি কার্ড
  5. ট্যাক্স টোকেন
  6. বিদ্যুৎ বিলের কপি
  7. রক্তের গ্রুপ টেস্ট রিপোর্ট

তাছাড়া বয়স বেশি হলে নতুন ভোটার হতে অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হয়। পূর্বে কখনো জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন অথবা নিবন্ধন করা হয়নি এই মর্মে অঙ্গীকারনামা লিখতে হয়।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করার জন্য উপরে বর্ণিত ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন হয়। বিশেষ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন অফিসের চাহিদা অনুসারে অতিরিক্ত কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে।

#১ অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ

আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে হলে সর্বপ্রথম যে ডকুমেন্টটি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ। আবেদনপত্রের সাথে বাধ্যতামূলক যে ডকুমেন্টগুলো জমা দিতে হয় তার মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সনদ অন্যতম। নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে হাতের লেখা জন্ম নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করা হবে না।

আপনার যদি অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ না থেকে থাকে তাহলে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করে খুব সহজে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করে নিতে পারেন। জন্ম নিবন্ধন না থাকলে NID কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে না।

#২ শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ

যাদের বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট রয়েছে তারা ভোটার অ্যাপ্লিকেশনের সাথে সেগুলো যুক্ত করতে পারেন। শিক্ষা সনদ হিসেবে JSC, SSC, HSC বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট যুক্ত করা যাবে।

আপনি যদি ভোকেশনাল অথবা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে থাকেন সেক্ষেত্রেও JSC, SSC, HSC এর সমমান সার্টিফিকেট আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে পারেন।

#৩ নাগরিক সনদ

নতুন ভোটার আবেদনের সাথে নাগরিক সনদ যুক্ত করা বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয় পত্র শুধুমাত্র বাংলাদেশের নাগরিকের জন্য। তাই আপনি এদেশের একজন নাগরিক তার একটি সনদ আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।

আপনার অবস্থানের উপর ভিত্তি করে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি যেমন চেয়ারম্যান, সিটি করপরেশনের মেয়র কিংবা ওয়ার্ড কাউন্সিলর থেকে নাগরিক সনদ সংগ্রহ করতে পারেন।

#৪ প্রত্যয়ন পত্র

নাগরিক সনদের মতোই প্রত্যয়ন পত্র স্থানীয় সরকার প্রতিনিধির কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হয়। আপনি গ্রাম এলাকায় হলে চেয়ারম্যান কার্যালয়ে থেকে আপনার প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করতে পারেন।

আপনার বসবাস যদি পৌরসভা এলাকায় হয় তাহলে মেয়রের কার্যালয় থেকে প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করুন। এছাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস থেকেও নাগরিকের প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করে থাকে।

নাগরিক সনদ কিংবা প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করার জন্য কোন প্রকার ফি কিংবা টাকা প্রদান করতে হয় না

#৫ পিতা মাতার ভোটার আইডি কার্ড

পিতা মাতার তথ্য যাচাই করার জন্য পিতা-মাতার ভোটার আইডির প্রয়োজন হয়। তাছাড়া আবেদনকারীর পিতা-মাতা জাতীয়তা কি তা জানার জন্য এটির প্রয়োজন হয়।

নতুন ভোটার হতে হলে ভোটার নিবন্ধন আবেদনের সাথে পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি বাধ্যতামূলক জমা দিতে হবে।

#৬ ট্যাক্স বা খাজনা পরিশোধের রশিদ

নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র আবেদন করতে যে সকল ডকুমেন্টস বাধ্যতামূলকভাবে জমা দিতে হয় তার মধ্যে ট্যাক্স রশিদ অন্তর্ভুক্ত।

জমি কিংবা বাড়ির টেক্স বা কর পরিশোধ রশিদ, চৌকিদারি ট্যাক্সের রশিদ আথবা পৌরকর পরিশোধের রশিদ। এই ট্যাক্স রশিদ আবেদনকারীর নিজের নামে হবে বিষয়টি এমন নয়। পিতা-মাতা কিংবা অভিভাবকের নামে হলেও সমস্যা নেই। এটি একটি বাধ্যতামূলক ডকুমেন্ট আবেদন করার সময় অবশ্যই এটি প্রয়োজন হবে।

#৭ ইউটিলিটি বিলের কপি

আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা যাচাই করার জন্য বর্তমানে বসবাস করে এমন বাড়ির বিদ্যুৎ বিলের কাগজ কিংবা গ্যাস বিলের কাগজ জমা দিতে হবে।

আপনি যে এলাকায় বা যে ঠিকানায় ভোটার হতে চাচ্ছেন সেখানে বসবাসরত বাসা বাড়ির বিদ্যুৎ বিল কিংবা পানি বিলের কাগজ আবেদনের সাথে যুক্ত করতে হবে।

#৮ রক্তের গ্রুপ টেস্টের রিপোর্ট

রক্তের গ্রুপ টেস্টের রিপোর্ট জমা দেওয়ার যদিও অপশনাল একটি ডকুমেন্ট। আমার মতে এটি অবশ্যই সবার জমা দেওয়া উচিত। ব্লাড টেস্টের রিপোর্ট ভোটার হওয়ার সময় জমা দিলে আপনার আইডি কার্ডের পেছনে রক্তের গ্রুপ উল্লেখ থাকবে।

উপরে বর্ণিত ডকুমেন্টগুলো থাকলে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে বিবাহিতদের ক্ষেত্রে চাইলে কিছু অতিরিক্ত ডকুমেন্ট জমা দেয়া যেতে পারে।

বিবাহিতদের জন্য কাবিননামা বা বৈবাহিক সনদ আবেদনের সাথে যুক্ত করতে পারে। এছাড়া স্বামী কিংবা স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য অতিরিক্ত ডকুমেন্ট হিসেবে যুক্ত করা যেতে পারে।

অঙ্গীকারনামা

নতুন NID Card আবেদন করার জন্য সবার অঙ্গীকারনামা লিখার প্রয়োজন হয় না। যারা পূর্বে সুযোগ এবং বয়স হওয়া সত্ত্বেও জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করেনি তারা নতুন ভোটার নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলে অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হয়।

যারা দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন এবং দেশে এসে নতুন আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করবে তাদের ক্ষেত্রে অঙ্গীকারনামা প্রযোজ্য। যারা বিভিন্ন সমস্যার কারণে অনেক আগেই জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদন করার জন্য উপযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও আবেদন করেনি তারা এখন ভোটার নিবন্ধন করার জন্য অবশ্যই অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হবে।

এই অঙ্গীকার নামে স্পষ্ট উল্লেখ থাকে যে আবেদনকারী পূর্বে কখনো জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন করেনি যদি করে থাকে তাহলে পরবর্তী সময়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিলে তার কোন আপত্তি থাকবে না।

আশা করছি আজকের নতুন ভোটার নিবন্ধন করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে তার বিস্তারিত আলোচনা আপনাদের উপকারে এসেছে। আপনার বন্ধুর সাথেও এ পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন আমাদের আলোচনার বাইরে আপনার যদি কোন প্রকার প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করব।

আইডি কার্ড করতে কি কি লাগে?

আইডি কার্ড পেতে হলে আপনাকে এদেশের ভোটার হতে হবে। নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, নাগরিক সনদ / চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, স্কুল সার্টিফিকেট, পিতা-মাতার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, ট্যাক্স টোকেন এবং বিদ্যুৎ বিলের কপি প্রয়োজন হয়।

১৮ বছর হওয়ার পূর্বে NID Card করা যাবে?

বর্তমানে আপনার বয়স ১৬ বছর হলেই আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার ৩০-৬০ দিনের মধ্যে NID Card পেয়ে যাবেন। যখন আপনার বয়স ১৮ বছর হবে তখন ভোটার তালিকায় নাম আসবে এবং ভোট দিতে পারবেন।

স্কুল সার্টিফিকেট ছাড়া ভোটার হয়া যায়?

যাদের যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা JSC বা তার বেশি তাদের অবশ্যই স্কুল সার্টিফিকেট দিতে হবে। যারা পড়াশুনা করেনি অর্থাৎ যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা JSC কম তাদের স্কুল সার্টিফিকেট লাগবে না।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular