HomeRumorscannerরাজনীতি করতে চান না শীর্ষক মন্তব্য করেননি মমতাজ

রাজনীতি করতে চান না শীর্ষক মন্তব্য করেননি মমতাজ


অন্তত গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম মন্তব্য করেছেন যে তিনি রাজনীতি করতে চান না। অতীত ভুলে দেশের মাঝে থাকতে চান। 

1 190

উক্ত দাবিতে ফেসবুকের কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজনীতি করতে চান না শীর্ষক কোনো মন্তব্য করেননি মমতাজ বরং গত বছর আওয়ামী লীগ সরকার পতন পরবর্তী সময়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি দলটির সাবেক এই সংসদ সদস্যকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এক প্রকার নিষ্ক্রিয় রয়েছেন তিনি। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে মমতাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, অ্যাকাউন্টটিতে সর্বশেষ পোস্ট করা হয় গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর। তিনি সেদিন ইউটিউব থেকে একটি ভিডিওর লিংক পোস্ট করেন। এছাড়া, আগস্টের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আরো দুইটি পোস্ট করেন তিনি। এসব পোস্টে তিনি আলোচিত দাবির সাথে দৃশ্যমান কোনো মন্তব্য করেননি। ফেসবুকে মমতাজের একটি ভেরিফাইড পেজ রয়েছে। পেজটিতে সর্বশেষ তিনি একটি গানের ভিডিও পোস্ট করেন গত বছরের ১৩ অক্টোবর। এই পেজেও তাকে আলোচিত দাবির সাথে দৃশ্যমান কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। 

পরবর্তী অনুসন্ধানে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর গত ০৪ মার্চের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের কোনো খোঁজখবর নেই। সাত মাস ধরে তাঁকে প্রকাশ্যে কোনো অনুষ্ঠানেও দেখা যায়নি।

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের জয়মণ্ডপ মমতাজ বেগমের বাড়ি। গত বছর এমন সময়েও বাড়িটি মানুষের আনাগোনায় মুখর ছিল। কিন্তু এখন সেই বাড়ির পরিবেশ একেবারে নীরব।

প্রথম আলো জানিয়েছে, মমতাজের ব্যবহৃত দুটি ফোন নম্বর বন্ধ। ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপে সক্রিয় থাকলেও এখন কোনো অ্যাপে সক্রিয় নন তিনি।

প্রথম আলোর এই প্রতিবেদন থেকেই স্পষ্ট যে মমতাজ সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসে কোনো মন্তব্য করেননি। 

অন্যান্য গণমাধ্যমেও উক্ত দাবির পক্ষে কোনো সংবাদ বা তথ্য মেলেনি। 

সুতরাং, সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম আমি আর রাজনীতি করতে চাই না-অতীত ভুলে দেশের মাঝে থাকতে চাই। শীর্ষক মন্তব্য করেছেন শীর্ষক দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular