গতকাল (০৩ মার্চ) থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ও এক্সে একটি ভিডিও ব্যাপকভাবে প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, “খুলনায় ভুট্টা খেতে হি ন্দু মহিলাকে ধ*র্ষনের পর গলা কে*টে হ*ত্যা করা হয়েছে।” কিছু পোস্টে লাশ উদ্ধারের তারিখ হিসেবে গতকাল (০৩ মার্চ) উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, প্রচারিত ভিডিওটিতে ভুট্টা ক্ষেত সদৃশ জায়গায় একজন মহিলাকে গলা কাটা অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।
উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি খুলনায় কোনো হিন্দু নারীকে ধর্ষণের পর হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য নয় বরং ভারতের বিহার রাজ্যের একটি ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করলে তাতে প্রচারিত দাবিটির সপক্ষে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। পরবর্তী অনুসন্ধানে প্রচারিত ভিডিওটির একাধিক কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে ‘মুন্না সিংহানিয়া’ নামের ভারত থেকে পরিচালিত একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ২৬ ফেব্রুয়ারিতে প্রচারিত একটি ভিডিও পোস্ট পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির তুলনা করলে সাদৃশ্য পাওয়া যায়।

ভিডিওটি সম্পর্কে ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়, “জেলা মোতিহারি, ভুরকুরবা গ্রামের হত্যা (অনূদিত)”। এছাড়া, উক্ত একই তথ্যসম্বলিত ক্যাপশনে ফেসবুকেও গত ২৬-২৭ ফেব্রুয়ারিতে একাধিক পোস্ট পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে মোতিহারি এলাকার বিষয়ে অনুসন্ধান করে জানা যায়, এটি ভারতের বিহার রাজ্যের একটি শহর এবং পূর্ব চম্পারণ জেলার সদর দপ্তর। এটি ভারতের বিহার রাজ্যের অন্যতম প্রধান স্থান।
এছাড়া, এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করেও সম্প্রতি খুলনায় এরূপ কোনো ঘটনা ঘটার সপক্ষে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, ভারতের বিহার রাজ্যে ভুট্টা ক্ষেত সদৃশ জায়গায় একজন মহিলাকে গলা কেটে হত্যার দৃশ্যকে সম্প্রতি খুলনায় হিন্দু নারীকে ধর্ষণের পর হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।