বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার সহজ উপায় (100% কার্যকরী নতুন আপডেট)

বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার সহজ উপায়
5/5 - (6 votes)

বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার সহজ উপায়: বিকাশ অ্যাপ দিয়ে ১০ হাজার টাকা লোন পাওয়ার নিয়ম, বিকাশ লোন ইন্টারেস্ট, বিকাশ লোন পরিশোধ সহ বিকাশ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে সিটি ব্যাংক থেকে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০,০০০ বিষ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন গ্রহন পদ্ধতি এবং লোন পরিশোধ সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে স্টেপ-বাই-স্টেপ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

বিকাশ লোন ফরম

বিকাশ থেকে লোন নিতে হলে আপনাকে কোন ধরনের আবেদন ফরম পূরণ করার প্রয়োজন নেই। কেননা যখন একজন বিকাশ গ্রাহক তার পার্সোনাল কিংবা এজেন্ট একাউন্ট খুলেছেন তখন অবশ্যই তাহার ভোটার আইডি কার্ড কিংবা জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে আইডি খুলেছিলেন।

যেহেতু একজন বিকাশ গ্রাহকের সকল প্রয়োজনীয় তথ্য বিকাশ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে কেওয়াইসি করা হয়েছে তাই, বিকাশ থেকে লোন গ্রহণের সময় কোন ধরনের আবেদন ফর পূরণ করতে হয় না। একজন বিকাশ গ্রাহক কেবলমাত্র তার হাতে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে বিকাশ অ্যাপ্লিকেশন দিয়েই লোন আবেদন করতে পারবেন।

  • কোনো প্রককার ব্যাংক একাউন্ট বা জামানত প্রয়োজন নেই।
  • কোনো আবেদন ফরম কিংবা কাগজ-পত্র প্রস্তুত করতে হবে না।
  • বিকাশ লোন পাওয়ার যোগ্যতা থাকলে আবেদন করার সাথে সাথেই লোন পাবেন।
  • বিকাশ লোনের মেয়াদ সর্বচ্চ ৩ মাস।
  • বিকাশ গ্রাহকের একাউন্ট ব্যালেন্স থেকেই অটো-লোন পরিশোধের সুবিধা রয়েছে।

বিকাশ থেকে লোন কিভাবে নিব?

অনেকেই প্রশ্ন করে বিকাশ থেকে লোন কিভাবে নিব? প্রশ্নের উত্তর হলঃ এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন অথবা আইফোনের অ্যাপ-স্টোর ব্যবহার করে বিকাশের অফিশিয়াল অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল দিতে হবে। বাটন ফোন যারা ব্যবহার করেন তারা বিকাশ লোন আবেদন করতে পারবেন না।

এরপর প্রথমে আপনাকে বিকাশ অ্যাপ্লিকেশন ওপেন করতে হবে এবং সেখানে নির্দিষ্ট বিকাশ লোন বাটনে ক্লিক করতে হবে। এবং আপনি বিকাশ লোন পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে। যদি আপনি বিকাশ লোন নীতিমালা অনুসরণ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি বিকাশ লোন পাবেন।

বিকাশ লোন সিটি ব্যাংক

বিকাশ লোন সিটি ব্যাংক হলো একটি জনপ্রিয় ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান, যা বর্তমান সময়ে বিকাশ পেমেন্ট পদ্ধতির বড় অংশীদার হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছে। সিটি ব্যাংক খুব সহজেই পার্সোনাল এবং ব্যবসায়িক লোন সুবিধা দিয়ে থাকে।

বিকাশ লোন সিটি ব্যাংক
বিকাশ থেকে লোন

বিকাশ লোন সিটি ব্যাংক-এ আবেদন করতে হলে ব্যক্তিগত তথ্য হালনাগাদ সেইসাথে অর্থনৈতিক তথ্য প্রদান করতে হয়। নতুন এই লোন সুবিধার জন্য লোনের পরিমাণ আবেদনকারীর অর্থনৈতিক যোগানের উৎস এবং ব্যবসার উপর নির্ভর করে।

আরো পড়ুন,

সিটি ব্যাংকের সহায়তায় বিকাশ লোন আবেদনের পর ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ লোন আবেদনকারীর যাবতীয় তথ্য অনুসন্ধান, পর্যবেক্ষণ এবং নিরীক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেয়। লোন গ্রহণকারীর আবেদন মঞ্জুর হলে, সিটি ব্যাংক লোন প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এবং সনদপত্র সংগ্রহ করে লোন অনুমোদন করে থাকে।

বিকাশ লোন সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দক্ষ কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের মাধ্যমে লোন গ্রহণ কারির সকল তথ্য যাচাই-বাছাই করে দ্রুত লোন প্রদান করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মালিকদের কিংবা মধ্যবিত্তদের আর্থিক সহায়তা করে। এর মাধ্যমে মধ্যবিত্তদের জীবন চলার মান উন্নত ও ব্যবসায় উন্নয়ন এবং অর্থনীতি প্রগতিশীল করার সুযোগ তৈরি হয়।

বিকাশ লোন নেওয়ার নিয়ম

অনলাইনে যেহেতু সকল কিছুর একটি নিয়ম নীতি আছে ঠিক একই ভাবে বিকাশ লোন নেয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। বিকাশ আপনাকে সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ কত টাকার লোন দিবে এবং বিকাশ লোন পরিশোধের নিয়মাবলী সম্পর্কে জানা উচিত।

ই-কেওয়াইসি ফিলাপ করে দীর্ঘদিন ধরে বিকাশ গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে লেনদেন করলে, উক্ত গ্রাহকের লেনদেনের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে বিকাশ গ্রাহকরা সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ বিশ হাজার ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত বিকাশ লোন নিতে পারবেন।

বর্তমানে বিকাশ এবং সিটি ব্যাংক সংযুক্ত যে কোন বিকাশ গ্রাহক সর্বোচ্চ বিশ হাজার টাকা বিকাশ লোন পেলেও ভবিষ্যতে এই টাকার পরিমান আরো বাড়তে পারে। তাই আপনি যদি বিকাশ থেকে সিটি ব্যাংকের লোন নিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বিকাশের একজন নিয়মিত গ্রাহক হতে হবে।

বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার সহজ উপায়

বিকাশ লোন নেওয়ার উপায় এবং বিকাশ দিয়ে ১০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়ার নিয়ম, সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা লোন নেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে আর্টিকেলের এই সেকশনে স্টেপ-বাই-স্টেপ ছবির মাধ্যমে দেখানো হয়েছে।

বিকাশ লোন কারা পাবে?

বিকাশ লোন সম্পর্কে আপনাদের অনেকেরই সঠিক তথ্য জানা না থাকার কারণে কিভাবে বিকাশ থেকে লোন নিতে হয় এবং বিকাশ লোন কারা পাবে তা নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় আছেন। সাধারণত যখন কোন ব্যাক্তি এনজিও কিংবা ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন গ্রহণ করতে চায়, তখন দেখবেন তারা পরিচিত কিংবা রিলেটিভ কাউকে রেফারেন্স নেয় কিংবা লোন গ্রহীতার জমা-জমির দলিলপত্র জামানত হিসেবে গ্রহণ করে।

এটার কারণ কি বলতে পারেন? লোন গ্রহনকারীর প্রতি ব্যাংকের নিশ্চয়তা অথবা ট্রান্সপারেন্সি। বলতে পারেন এটি বিশ্বস্ততা এবং একটি সিকিউরিটি হিসেবে কাজ করে।
ঠিক একই ভাবে একজন ব্যক্তি সদ্য মাত্র একটি বিকাশ একাউন্ট খুলে যদি বিকাশ লোনের জন্য আবেদন করে সেই ক্ষেত্রে বিকাশ কর্তৃপক্ষ তাকে কিভাবে বিশ্বাস করবে! উক্ত নতুন বিকাশ গ্রাহক লোন নিয়ে বিকাশ লোন পরিশোধ করতে গাফিলতি করবে না তা গ্যারান্টি কি!

আর তাই বিকাশ কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট কিছু বিকাশ গ্রাহককে তাদের বিকাশ লোন সার্ভিস প্রদান করে থাকে। যারা দীর্ঘদিন ধরে বিকাশ এপ্লিকেশন ব্যবহার করে ক্যাশ আউট, ক্যাশ ইন, বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট করে আসছেন কেবলমাত্র তারাই বিকাশ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে সিটি ব্যাংকের বিকাশ গ্রাহকরা বিকাশ লোন সুবিধা পাবেন।

বিকাশ লোন পাওয়ার যোগ্যতা কি কি

বিকাশ থেকে লোন

সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিকাশ ঋণ পেতে বিকাশ গ্রাহককে অবশ্যই দীর্ঘদিন বিকাশ অ্যাপস ব্যবহার করতে হবে। যেহেতু বিকাশ গ্রাহকের লেনদেন যাচাই-বাছাই করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নির্ধারণ করে দিচ্ছে, বিকাশ লোন পাওয়ার যোগ্যতা কাদের রয়েছে, তাই গ্রাহক যত বেশি বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে লেনদেন করবেন, তত বেশি বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার যোগ্য হয়ে উঠবেন। বিকাশ থেকে লোন পেতে হলে নিম্নলিখিত যোগ্যতা গুলো থাকতে হবেঃ

বিকাশ অ্যাকাউন্টঃ বিকাশ লোনের জন্য আপনার একটি বৈধ বিকাশ অ্যাকাউন্ট থাকা আবশ্যক। আপনার অ্যাকাউন্টটি সচল এবং একটিভ থাকতে হবে।

বয়সঃ বিকাশ লোন আবেদনের জন্য অবশ্যই আপনার বয়স ১৮ হতে হবে। বর্তমান সময়ে আঠারো বছর না হলেও যেহেতু ভোটার আইডি কার্ড পাওয়া যায়, তাই উক্ত আইডি কার্ড দিয়ে অনায়াসে বিকাশ একাউন্ট খোলা সম্ভব। কিন্তু আপনি যদি একজন নিয়মিত বিকাশ গ্রাহক হয়েও থাকেন আপনার বয়স যদি ১৮ না হয় তাহলেও, আপনি বিকাশ লোন আবেদন করতে পারবেন না।

স্থায়িত্বঃ বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আপনার স্থায়িত্বশীলতা প্রমাণ করতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে আপনার একাউন্টের মাধ্যমে বেশি বেশি লেনদেন করতে হবে। যেমন; ক্যাশ আউট, ক্যাশ ইন, বিদ্যুৎ বিল সহ বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট।

বিকাশ লোন আবেদনের যোগ্যতা অর্জনঃ আপনাকে বিকাশ লোন পেতে হলে তার জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এটি সাধারণত আপনার লেন-দেনের ইতিবাচক ভিত্তিতে নির্ধারিত হযবে। অর্থাৎ আপনার লেনদেন, আয়, বয়স, কাস্টমার হিসেবে আপনি কেমন সেগুলোর ভিত্তিতেও নির্ধারিত হতে পারে।

বিকাশ লোন নীতিমালা জেনে রাখা প্রয়োজন

বিকাশ লোন গ্রহণের নীতিমালা অনুযায়ী, সিটি ব্যাংক কর্তৃক নির্দিষ্ট বিকাশ গ্রাহকদের এই বিকাশ লোন সুবিধা প্রদান করবে। নিয়মিত একজন বিকাশ গ্রাহক হিসেবে সিটি ব্যাংক থেকে লোন (Bkash Loan) পাওয়ার যোগ্যতা আছে কিনা, তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বিকাশ অ্যাপের লোন অপশনে গিয়ে বিস্তারিত দেখে নিতে হবে।

বিকাশ লোনের ইন্টারেস্ট রেট, প্রসেসিং ফি, লোন এমাউন্ট লিমিট, লোন পরিশোধের নিয়মাবলি, লোন পাওয়ার যোগ্যতা, এবং ক্রেডিট পলিসি নির্ধারণ, পরিমার্জিত এবং পরিবর্তনের ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী সিটি ব্যাংক কর্তৃক সংরক্ষিত থাকবে। আপনি চাইলে বিকাশ- এর শর্তাবলী পড়ে নিতে পারেন। বিকাশ লোন পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত শর্তাবলি অনুসরণ করতে হবেঃ

বৈধ লেনদেনঃ বিকাশ থেকে লোন নিতে হলে, কাঙ্খিত বিকাশ একাউন্ট থেকে কোন ধরনের অবৈধ লেনদেন করা যাবেনা। সকল ধরনের বাজেয়াপ্ত লেনদেন হতে বিরত থাকতে হবে। যেমন;
১/ বেটিং সাইট পেমেন্ট।
২/ ডলার বাই-সেল।
৩/ অনলাইন জুয়া থেকে বিরতি।
৪/ অবৈধ পেমেন্ট।
৫/ বিভিন্ন গেমিং টপ-আপ।
৬/ বিটকয়েন বাই-সেল।

লোন পরিশোধের সময়কালঃ বিকাশ লোন পরিশোধের সর্বাধিক সময়কাল হলো ৩ মাস। নির্দিষ্ট ব্যবহারকারী গণ সর্বোচ্চ ২০,০০০ টাকা লোন নিতে পারবেন। উল্লেখিত লোন পরিশোধের সময়কালের মধ্যে ৯% ইন্টারেস্ট সহ আপনাকে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

ইন্টারেস্ট বা সুদের হারঃ বিকাশ লোন নিতে হলে ৯% ইন্টারেস্ট বা সুদ প্রদান করতে হবে। বিকাশ থেকে লোনের জন্য আপনাকে প্রতি বছর নির্ধারিত ইন্টারেস্ট বা সুদের হার পরিশোধ করতে হবে। ইন্টারেস্ট বা সুদের মোট যোগফল কত হবে তা নির্ভর করে আপনার লোন করা অর্থের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে।

লোন আবেদনের সময়সীমাঃ লোন আবেদনের সময়সীমা খুবই সীমিত। লোন এপ্রুভ হতে সামান্য সময় লাগে। পূর্বে সাধারণত ১০ থেকে ১৫ কার্যদিবসের মতো সময় লেগে যেত। যদি দু-একদিন এদিক-সেদিক হয় তাহলে বুঝে নেবেন আপনারা আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বিকাশ লোন ইন্টারেস্ট কত?

আমার এই ব্লগের সকল ভিজিটরদের উদ্দেশ্যে জানিয়ে রাখি যে, একজন নিয়মিত বিকাশ গ্রাহক একবারে কেবলমাত্র একটি লোনই আবেদন করতে পারবেন। তবে বিকাশ লোন ইন্টারেস্ট হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক-এর নির্দেশনা অনুযায়ী বিকাশ লোন-এর টাকার উপর ভিত্তি করে বাৎসরিক সর্বোচ্চ ৯% ইন্টারেস্ট মূল্য প্রযোজ্য হবে।

তবে লোন গ্রহণ কারী ব্যক্তি চাইলে তার বিকাশ লোন করা অর্থ লোন পরিশোধের নির্দিষ্ট তারিখের পূর্বে বিকাশের মাধ্যমেই জমা দিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে বিকাশ লোন ইন্টারেস্ট কম হবে। অন্যথায় গ্রাহকের বিকাশ একাউন্ট থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ লোনের টাকা অটো কেটে নেয়া হবে। এবং যদি কেউ লোন পরিষদের নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে উক্ত লোন পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় তবে ৯% ইন্টারেস্ট এর সাথে আরো বাড়তি ২% ইন্টারেস্ট যুক্ত হবে।

কিভাবে বিকাশ লোন পরিশোধ করবেন জেনে নিন

বিকাশ থেকে লোন গ্রহণ করার পর গ্রাহক তার বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করেই লোন পরিশোধের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই উক্ত লোন পরিশোধ করতে পারবেন। কিভাবে বিকাশ লোন পরিশোধ করবেন সে সম্পর্কে স্টেপ-বাই-স্টেপ নিচে তুলে ধরা হলোঃ

লোন পরিশোধ নির্ধারণঃ

লোন গ্রহণ করার সময় বিকাশ অ্যাপের ড্যাশবোর্ডে বিকাশ গ্রাহকের লোনকৃত টাকার পরিমান এবং কিস্তির সংখ্যা এবং কাঙ্খিত লোন পরিশোধের তারিখ দেখাবে। লোন গ্রহনকারী এই তথ্য দেখে লোনের টাকা পরিশোধের ব্যাপারে পরিকল্পনা করতে পারবেন।

অটো ডেবিটঃ

লোন গ্রহণকারী চাইলে লোন পরিশোধের নির্দিষ্ট তারিখে গ্রাহকের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে লোনের কিস্তির নির্দিষ্ট পরিমাণ মাসিক চাঁদা অটোমেটিক ভাবে ডেবিট হিসাবে কেটে নিবে। এই ব্যাপারটি প্রত্যেক বিকাশ লোন গ্রহনকারী ব্যক্তির জন্য অনেক সুবিধাজনক। সেই সাথে এই পদ্ধতিতে লোন ইন্টারেস্ট খরচ কমে যাবে।

নিজেই পরিশোধঃ

বিকাশ লোন গ্রহণকারী ব্যক্তি চাইলে লোন পরিশোধের নির্দিষ্ট তারিখের পূর্বে লোনের সম-পরিমাণ টাকা নিজেই পরিশোধ করতে পারবে। এর ফলে লোন ইন্টারেস্ট খরচ আরো কমে যাবে।

লোন পরিশোধে বিলম্ব ফিঃ

যদি লোন পরিশোধের নির্দিষ্ট তারিখে লোন গ্রহণকারী গ্রাহকের বিকাশ অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা না থাকে এবং নির্দিষ্ট তারিখের আগে লোনের কিস্তি পরিশোধ না করা হয় তবে, বিলম্ব ফি বা জরিমানা হবে। লোনের পরিমাণের উপর বাৎসরিক ২% হারে বিলম্ব ফি দিতে হবে।

বিঃ দ্রঃ বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে লোন গ্রহণকারী গ্রাহককে লোন পরিশোধের পদ্ধতি সহজ করে দিয়েছে বিকাশ কর্তৃপক্ষ। লোন গ্রহণকারী ব্যাক্তি বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে লোন পরিশোধের বিভিন্ন অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে তারিখ নির্বাচন করার পাশাপাশি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পরিশোধ করার সুযোগ পাবেন।

শেষ কথাঃ

পরিশেষে বলতে হয়! স্টুডেন্ট, মধ্যবিত্ত কিংবা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বিকাশ লোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আর তাই আজকের এই আর্টিকেলে কারা বিকাশ থেকে লোন নিতে পারবেন, বিকাশ থেকে লোন নেয়ার সহজ পদ্ধতি, বিকাশ লোন অর্থের পরিমাণ, লোনের সময়সীমা, এবং বিকাশ লোন পরিশোধের সময় সময় সম্পর্কে স্টেপ বাই স্টেপ বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আর্টিকেলটি যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করে পাশে থাকবেন।

FAQ of BKash Loan

বিকাশ থেকে কত টাকা লোন নেয়া যায়?

বিকাশ থেকে সিটি ব্যাংকের লোন সুবিধা আওতায় প্রত্যেক গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ থেকে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন গ্রহণ করতে পারবেন।

ডিজিটাল ন্যানো লোন কি?

বিকাশ লোন কিভাবে পাওয়া যাবে?

বিকাশ লোন কিভাবে পাব

১০ হাজার টাকা লোন

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe now

Give us a call or fill in the form below and we will contact you. We endeavor to answer all inquiries within 24 hours on business days.