সম্প্রতি, “ফেইসবুক কোম্পানিকে হাহা রিয়েক্ট তুলে নিতে বললেন শান্ত” শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম যমুনা টিভির ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ফেসবুকে হাহা রিয়েক্ট তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পুরুষ জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্ত মন্তব্য করেছেন দাবি করে যমুনা টিভি কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে যমুনা টিভির একটি ফটোকার্ড নকল করে এই ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে যমুনা টিভির লোগো রয়েছে এবং এটি প্রকাশের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে।
যমুনা টিভির লোগো ও ফটোকার্ড প্রকাশের তারিখের সূত্র ধরে গণমাধ্যমটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে আলোচিত দাবিসম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, যমুনা টিভির ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলেও উক্ত দাবির পক্ষে কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও, আলোচিত ফটোকার্ডটিতে ব্যবহৃত ফন্টের সাথে যমুনা টিভির প্রচলিত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ফন্টের ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।

পাশাপাশি, আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো তথ্য অন্য কোনো গণমাধ্যমেও পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, ফেসবুকে হাহা রিয়েক্ট তুলে নেয়া প্রসঙ্গে ক্রিকেটার শান্তকে জড়িয়ে যমুনা টিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট।