সম্প্রতি, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন একটি জনসভায় ‘ড. ইনুস আমাকে যা করতে বলে তা আমি করলে দেশের আর সার্বভৌমত্ব থাকে না আমি তাদের কথায় তা করতে পারিনা।’ শীর্ষক কথাগুলো বলেছেন দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। ভিডিওটিতে তাকে, ‘এই এই কাজ করতে হবে… যা করতে বলে তাহলে দেশের সার্বভৌমত্ব থাকে না।… বলেন, দেশ বিক্রি করে দিব?… এখানে ড. ইউনূস আছে…এটা তুমি করো…আমি উপদেষ্টাকে বলেছি, আমি এটা করতে পারিনা…আমি বঙ্গবন্ধুর ছোয়া পেয়েছি।’ শীর্ষক কথাগুলো বলতে শোনা যায়।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের আলোচিত বক্তব্য প্রদানের তথ্যটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৩ সালে পাবনায় রাষ্ট্রপতিকে নাগরিক সংবর্ধনা প্রদানের অনুষ্ঠানে তার দেওয়া বক্তব্যের কয়েকটি দৃশ্যের সমন্বয়ে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে মূল ধারার গণমাধ্যম মাছরাঙা টিভির ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ১৬ মে সরাসরি পাবনায় নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতিকে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শীর্ষক শিরোনামে সরাসরি সম্প্রচারিত উক্ত অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এটির ৩ ঘন্টা ৩৬ মিনিট ২৮ সেকেন্ড সময় থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের দেওয়া বক্তব্যের বেশকিছু অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওর বক্তব্যের মিল রয়েছে। মূলত, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় তার বক্তব্যের বিভিন্ন অংশ কাট করে সমন্বয়ের মাধ্যমে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ওই মুহূর্তে পদ্মাসেতু নির্মাণের সময়কার এবং তার দুদকের কমিশনার থাকাকালীন সময়ের বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করেন।
সুতরাং, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের জনসভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জড়িয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে করা আলোচনার ভিডিওটি সম্পাদিত।