নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খোলার নিয়ম ও সুবিধা অসুবিধা জেনে নিলে যেকোনো ব্যবসার পাশাপাশি নগদ মোবাইল ব্যাংকিং দ্বারা মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, ইউটিলিটি বিল এবং বিভিন্ন পেমেন্ট করে বাড়তি ইনকাম করা যায়।
কিন্তু অনেক ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদের নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খোলার নিয়ম ও সুবিধা-অসুবিধা গুলো জানা না থাকার কারণে নগদ উদ্যোক্তা হাওয়া থেকে বঞ্চিত রয়েছে। আর এ কারণেই নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খোলার নিয়ম, নগদ উদ্যোক্তা একাউন্টের সুবিধা-অসুবিধা, উদ্যোক্তা একাউন্টে বিনিয়োগ এবং কমিশনের পরিমাণ সম্পর্কে ব্যবসায়ী সহ সর্বস্তরের সকল মানুষের জানা থাকা উচিত।
আপনি যদি নগদ উদ্যোক্তা হতে চান এবং নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খোলার নিয়ম ও নগদ উদ্যোক্তা একাউন্টের সুবিধা-অসুবিধা এবং নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে, সেই সাথে নগদ উদ্যোক্তা একাউন্টে বিনিয়োগ করা লাভের পরিমাণ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে, আজকের এই আর্টিকেল আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কেননা যে কেউ আজকের এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়লে নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট কি? নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে? নগদ উদ্যোক্তার মুনাফা কেমন? নগদ উদ্যোক্তা একাউন্টের সুবিধা ও অসুবিধা কি? এবং নগদ উদ্দ্যোক্তা একাউন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পাশাপাশি সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
নগদ কি?
নগদ হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে “নগদ মোবাইল ব্যাংকিং অর্থ আদান-প্রদানে মোবাইল ফোন ভিত্তিক ডিজিটাল আর্থিক সেবা প্রদান করে থাকে। এটি মূলত থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে। তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া
নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট কি?
ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীগণ নগদের এজেন্ট একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে নগদ অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে ক্যাশ ইন ও ক্যাশ আউট সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট এবং মোবাইল রিচার্জ করে অর্থ উপার্জন করেন।
সহজ ভাষায় বলা যায়, ক্যাশ ইন ও ক্যাশ আউট (Cash in-Cash out) সহ নগদ অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে বিভিন্ন অর্থনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে কমিশন উপার্জন করার জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যে অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেন মূলত তাকেই নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট বলা হয়।
বর্তমান বাংলাদেশে যতগুলো মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার মধ্যে সেরা মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের নাম নগদ। আমাদের দেশের বেশিরভাগ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা “নগদ উদ্যোক্তা অ্যাকাউন্ট দিয়ে অর্থনৈতিক লেনদেন করে বাড়তি আয় করে থাকে।
যারা বেকার রয়েছে, শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পরেও কোথাও চাকরি হচ্ছে না তাদের জন্য (Nagad Uddokta Account) নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট আশীর্বাদ। নগদ উদ্যোগটা একাউন্ট ব্যবস্থার ফলে বর্তমান সময়ে অনেক বেকার তাদের নিজ কর্মসংস্থান তৈরি করেছে।
আপনি হয়তো আপনার আঞ্চলিক পর্যায় থেকে শুরু করে শহরকেন্দ্রিক এলাকাগুলোতেও এরকম হাজারো স্টল অথবা দোকানপাট দেখেছেন যেখানে নগদ দ্বারা লেনদেন হয়। নগদ উদ্যোক্তা অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে ভালো ইনকাম জেনারেট হয়। নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খোলার নিয়ম
যেকোনো ব্যবসার পাশাপাশি (Nagad Uddokta Account Registration) নগদ উদ্যোক্তা এখন রেজিস্ট্রেশন করে নগদের এজেন্ট হওয়ার পর নগদ এপ্লিকেশনের মাধ্যমে লেনদেন করে এক্সট্রা টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তাহলে আর্টিকেলের এতটুকু অংশ পড়ে আমরা জানলাম নগদ উদ্যোক্তা অ্যাকাউন্ট কি এবং এর গুরুত্ব। এখন আমরা জানবো নগদ উদ্যোক্তা অ্যাকাউন্ট খুলতে কি কি লাগে।
নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে?
সাধারণত নগদের মোবাইল এপ্লিকেশনের মাধ্যমে “নগদ একাউন্ট খুলতে গ্রাহকের জাতীয় পরিচয় পত্র, মোবাইল নাম্বার, এবং গ্রাহকের ফেস ভিডিও ভেরিফিকেশন করে নিলেই নগদ অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যায়। তবে নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খোলার নিয়ম অনুযায়ী উদ্যোক্তাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস এবং কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে।
যেহেতু আপনি বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন প্রতিষ্ঠান নগদের সাথে ক্ষুদ্র ব্যবসা করবেন তাই আপনার ব্যবসা ক্ষুদ্র হলেও নগদ উদ্যোক্তা অ্যাকাউন্ট খুলতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে। এমনকি আপনার যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন সেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সার্বিক দিক থেকে ঠিকঠাক আছে কিনা এই বিষয়গুলো নগদ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত কর্মচারী বা কর্মকর্তা বৃন্দ ভিজিট করবেন।
এই বিষয়গুলো যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে নিচে দেয়া তথ্যগুলো সংগ্রহ করার পর স্থানীয় নগদ এজেন্ট ব্যাংকিং অথবা কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টে গিয়ে নগদ উদ্যোক্তা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খুলতে যা যা লাগে তার সম্পর্কে নিম্নে বর্ণনা করা হলো:
নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খুলতে যা যা প্রয়োজন:
- NID কার্ড/ ড্রাইভিং লাইসেন্স/ পাসপোর্ট এর কপি;
- উদ্যোক্তার TIN সার্টিফিকেট এর কপি;
- তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি;
- ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান হিসেবে একটি দোকান;
- ব্যবসার প্রতিষ্ঠানের নামে নিবন্ধিত ট্রেড লাইসেন্স;
- উদ্যোক্তা একাউন্ট পরিচালনার জন্য যেকোনো নেটওয়ার্ক অপারেটরের একটি মোবাইল নাম্বার।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে মোবাইল নম্বরটি আপনি অ্যাকাউন্ট খোলার সময় ব্যবহার করবেন লক্ষ্য রাখবেন পূর্বে যেন ওই মোবাইল নাম্বার দিয়ে কোন ধরনের নগদ একাউন্ট খোলা না থাকে। এবং যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখিয়া আপনি নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খুলতে চান সেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অথবা দোকান এমন জায়গায় রাখবেন যেখানে সব সময় লোকজনের আনাগোনা থাকে। এতে করে আপনি অধিক কাস্টমার পাবেন।
নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খোলার নিয়ম অনুযায়ী উল্লেখিত ডকুমেন্টস গুলো সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হয়েও প্রতিমাসে অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন
যেকোনো ধরনের ক্ষুদ্র কিংবা মাঝারি ব্যবসায় সফল হতে চাইলে অবশ্যই উক্ত ব্যবসার স্থান কিংবা জায়গা নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অর্থাৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা দোকানপাট যদি কোন জনবহুল এরিয়াতে হয় তাহলে উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা দোকানে কাস্টমার বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আর যদি দোকান কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কোন লোকালয়ে হয়ে থাকে অর্থাৎ যেখানে মানুষ জন কম আসা যাওয়া করে সেখানে কিন্তু ওই দোকান কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্রয়-বিক্রয় বা লেনদেন তুলনামূলকভাবে কম হয়।
তাই নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খোলার পূর্বে এমন একটি জায়গা বা স্থান নির্বাচন করতে হবে যেখানে সব সময় লোকজনের চলে চলাফেরা এবং অর্থনৈতিক লেনদেন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবেই একজন ক্ষুদ্র কিংবা মাঝারি ব্যবসায়ী উক্ত উদ্যোক্তা একাউন্ট খোলার পর অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
যে সকল স্থানে দোকান কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করলে সফলতার পসিবিলিটি বেড়ে যাবে সে সকল স্থানের নাম উল্লেখ করা হলো।
- সরকারি বেসরকারি অফিস আদালতের আশপাশে।
- হসপিটাল বা ক্লিনিক এর কাছাকাছি।
- মার্কেট বা বড় শপিংমল এরিয়াতে।
- জনবহুল পয়েন্টগুলোতে।
যেকোনো ধরনের ব্যবসার উন্নতির জন্য উপরোক্ত স্থান গুলোর পাশাপাশি দোকানপাট কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ার আদর্শ জায়গা হিসেবে ধরা হয়। উল্লেখিত স্থান গুলোতে সবসময় মানুষের আনাগোনা এবং যাতায়াত থাকে। আর স্বাভাবিকভাবে যে সকল স্থানে মানুষের চলাফেরা যত বেশি সে সকল স্থানে ক্ষুদ্র কিংবা মাঝারি ব্যবসায়ীদের সাথে অর্থনৈতিক লেনদেনের সম্ভাবনা তত বেশি। আর যেহেতু আপনি নগদ উদ্যোক্তা অ্যাকাউন্ট খুলে ব্যবসা করবেন তাই এধর ম্যানে জায়গা বা স্থান আপনার জন্য যথউপযুক্ত।
ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ
যেহেতু আপনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন তার মানে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একটি নির্দিষ্ট নাম রয়েছে। সেই নাম দিয়ে একটি ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করে নিতে হবে। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আপনার এনআইডি কার্ডে যে নাম রয়েছে আপনার ট্রেড লাইসেন্স এর ক্ষেত্রেও যেন একই নাম থাকে। অনেকেই প্রশ্ন করেন ট্রেড লাইসেন্স কোথায় পাওয়া যায়। ট্রেড লাইসেন্স কোথা থেকে সংগ্রহ করবেন তা দেখে নিন:
- ইউনিয়ন পরিষদ;
- পৌরসভা;
- সিটি কর্পোরেশন
ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ: অর্থাৎ ইউনিয়ন পরিষদ পৌরসভা ইউনিভার্সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন। আপনি চাইলে ঘরে বসে অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স এর আবেদন করতে পারবেন।
টিন সার্টিফিকেট সংগ্রহ
যেহেতু আপনি বাংলায় আর্টিকেল পড়ছেন তাহলে আমি ধরেই নিলাম আপনি একজন বাংলাদেশী। প্রত্যেক বাংলাদেশী নাগরিক যাদের ১৮ বছর হয়ে গিয়েছে তারা চাইলে যেকোনো সময় যেকোনো মুহূর্তে যে কোন প্রয়োজনে তিন সার্টিফিকেট আবেদন করতে পারবেন। যদি আপনার দিন সার্টিফিকেট না থাকে তাহলে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে NBR এর অফিসিয়াল ওয়েব সাইট থেকে ই-টিন রেজিস্ট্রেশন এবং টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
মোবাইল নাম্বার
যে কোন মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরের একটি সহজ মোবাইল নাম্বার সিলেক্ট করুন যেন আপনার কাস্টমার বা গ্রাহকগণ খুব সহজেই মনে রাখতে পারে। এতে করে আপনার কাস্টমারগন আপনার নগদ উদ্যোক্তা একাউন্টে লেনদেন করতে সচ্ছন্দ্যবোধ করবে। তবে আপনি যে মোবাইল নম্বরটি সিলেক্ট করবেন খেয়াল রাখতে হবে সেই নম্বর দিয়ে যেন পুড়বে নগদ একাউন্ট খোলা না হয়ে থাকে।
নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খোলার নিয়ম
যদি কেউ নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খোলার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ট্রেড লাইসেন্স, জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, একটি সচল মোবাইল নাম্বার এবং দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সহ নগদ কাস্টমার কেয়ারে জমা দিয়ে নগদ উদ্যোক্তা একাউন্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
প্রথমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট স্থান কিংবা জায়গা সিলেক্ট করতে হবে। এরপর প্রয়োজনিয় ডকুমেন্টস যেমন: ট্রেড লাইসেন্স, জাতীয় পরিচয় পত্র সংগ্রহ করে, উদ্যোক্তা একাউন্টের আবেদন করতে হবে। তবে কেউ চাইলে নগদ এর কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খুলতে পারবেন।
নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে নিচে দেয়া ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন।
নগদ উদ্যোক্তা ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগের পরিমান
আপনার অর্থনৈতিক অবস্থান বুঝে নগদ উদ্যোক্তা অর্থ বিনিয়োগের পরিমাণ ক্যালকুলেট করা উচিত। যদি আপনি গ্রামে বসবাস করেন অথবা গ্রামের ব্যবসা শুরু করেছেন তাহলে সে ক্ষেত্রে শহরের তুলনায় অল্প পুজি দিয়ে নগদ উদ্যোক্তা হতে পারেন।
গ্রাম পর্যায়ে নগদ বিনিয়োগ: যদি আপনি নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খোলার নিয়ম অনুযায়ী গ্রাম পর্যায়ে ব্যবসা করতে চান তাহলে সর্বোনিন্ম ২,০০০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন। যেহেতু গ্রামে শহর অঞ্চলের তুলনায় মানুষ অনেক কম তাই বিনিয়োগ কম হবে এটাই স্বাভাবিক।
শহরকেন্দ্রিক নগদ বিনিয়োগ: গ্রামাঞ্চলের তুলনায় যেহেতু শহরকেন্দ্রিক মানুষের ঢল অনেক বেশি এবং শহরে আনাচে-কানাচে মানুষের ঘন বসবাস মিল ফ্যাক্টরি কলকারখানা তাই এখানে বিনিয়োগের পরিমাণ বেশি করতে হয়। আর এখানে যেহেতু বেশি বিনিয়োগ করতে হয় তাই মুনাফাও অনেক বেশি। শহরে নগদ উদ্যোক্তা হয়ে ব্যবসা শুরু করার জন্য সর্বনিম্ন ১০০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে আনলিমিটেড অর্থ বিনিয়োগ করা সম্ভব। অত্যন্ত জনবহুল এরিয়াগুলোতে মিনিমাম ১০০,০০০ থেকে ৪০০,০০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভালো চলবে।
নগদ উদ্যোক্তার মুনাফা কেমন?
আমি পূর্বেই বলেছি নগদ হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং অর্থনৈতিক লেনদেন সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। নগদ উদ্যোক্তারা অ্যাকাউন্ট খুলে ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মোবাইল রিচার্জ, ইউটিলিটি বিল এবং বিভিন্ন ধরনের অনলাইন পেমেন্ট সার্ভিস প্রদান করে থাকে। নগদ উদ্যোক্তা অ্যাকাউন্ট ধারী ব্যক্তি প্রতি হাজার টাকা ট্রানজেকশন এ সর্বনিম্ন ৪ টাকা ১০ পয়সা কমিশন পেয়ে থাকে।
আবার নতুন গ্রাহকদের নগদ পার্সোনাল একাউন্ট তৈরি করে দিয়েও একজন নগদ উদ্যোক্তা প্রতি মাসে প্রায় ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার মতো উপার্জন করে থাকেন। একজন নগদ গ্রাহক তার নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট থেকে রেফারেল, পয়েন্ট সহ নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খোলার নিয়ম অনুযায়ী আরবি বিভিন্নভাবে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। নগদ উদ্যোক্তা একাউন্টের গ্রাহক যদি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান একটি জনসমগম এলাকায় দিতে পারেন তাহলে তার ব্যবসা অনেক ভালো চলবে এবং অনেক দ্রুতই সফলতা অর্জন করবেন।
নগদ উদ্যোক্তা একাউন্টের সুবিধা
নগদ মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমের তুলনায় অধিক জনপ্রিয়। কেননা নগদ উদ্যোক্তা একাউন্টের সুবিধা অনেক। তবে নগদ উদ্যোক্তা অ্যাকাউন্ট ব্যবসায়ীদের জন্য একটি জনপ্রিয় সিস্টেম। নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট এর সুবিধা গুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
- যেকোনো ব্যবসার পাশাপাশি করা যায় (সেকেন্ড বিজনেস হিসেবে)।
- নগদের ব্যবসা করার জন্য আলাদা করে দোকান প্রয়োজন হয়না।
- অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করার জন্য।
- নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট বিশ্বস্ত হওয়ার কারণে কাস্টমার পাওয়া সহজ।
- মাসিক লেনদেনের পরিমান নির্ধারিত লিমিটের বেশি হলে বোনাস পাওয়া যায়।
নগদ উদ্যোক্তা একাউন্টের অসুবিধা
নগর উদ্যোক্তা একাউন্টের অসুবিধা রয়েছে। তাহলে চলুন নগদ উদ্যোক্তা অ্যাকাউন্টের কিছু অসুবিধা দেখে নেই:
- যেকেউ চাইলেই নগদ উদ্দোক্তা একাউন্ট খুলতে পারবেন না;
- ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাধ্যতামূলক থাকতে হবে।
- ভোটার আইডি কার্ডের কপি আর কিছু ডকুমেন্টস থাকা লাগবে।
- একাউন্টের টাকা উঠাতে আপনাকে ব্যাংকে যেতে হবে।
অন্য পোস্ট গুলো পড়ুন
FAQ’s
শেষকথা
যাই হোক আজকের এই পোস্টে নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খোলার নিয়ম ও প্রয়োজনিয় ডকুমেন্টস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সেই সাথে নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট এর সুবিধা অসুবিধা কি, এখানে আপনার কি পরিমাণ বিনিয়োগ করা উচিৎ, বা কি পরিমাণ মুনাফা পেতে পারেন এমন সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।