সম্প্রতি, ‘ধর্ষকের পক্ষের আইনজীবি বা ধর্ষণ বিরোধীকে একটু ছাত্র জনতার আপ্যায়ন। এভাবে চলুক অবিরাম মাইরেরর উপর ওষুধ নাই’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি ধর্ষকের পক্ষে আইনজীবীকে মারধরের নয় বরং, যুবলীগ নেতাকে মারধরের ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Pratidiner Thakurgaon’ নামক স্থানীয় একটি গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজে গত ০৯ মার্চ প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওটির মিল রয়েছে।

ভিডিওটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে কোটা আন্দোলনে ঠাকুরগাঁওয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাকারী যুবলীগ নেতা ‘তলো/য়ার জাহাঙ্গীর’ ছাত্রদের হাতে ধরা পড়ে।
উক্ত তথ্যের সুত্র ধরে অনলাইন গণমাধ্যম বাংলানিউজ২৪ এর ওয়েবসাইটে গত ৯ মার্চ ‘সেই যুবলীগ নেতা ‘তলোয়ার জাহাঙ্গীর’কে গণপিটুনি দিলেন শিক্ষার্থীরা’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ে গত বছরের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অন্যতম হামলাকারী মো. জাহাঙ্গীর ওরফে ‘তলোয়ার জাহাঙ্গীর’ শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা পড়েছেন। অভ্যুত্থানের সময় তিনি রামদা নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত ৯ মার্চ ঠাকুরগাঁও আদালত চত্বরে ধর্ষণের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা পড়ে সে। পরে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পরবর্তীতে, একই বিষয়ে জাতীয় দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের ইউটিউব চ্যানেলে গত ৯ মার্চ ‘ঠাকুরগাঁওয়ে যুবলীগ নেতাকে গ*ণধো*লাই দিল শিক্ষার্থীরা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।
সুতরাং, ঠাকুরগাঁওয়ে গত আগস্টের আন্দোলনে হামলাকারী যুবলীগ নেতাকে মারধরের ভিডিওকে ধর্ষকের পক্ষের আইনজীবীকে মারধরের ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।