Semrush Premium Account Free 2024
টাকা পে কার্ড কি? টাকা পে কার্ড এর সুবিধা ও অসুবিধা জেনে নিন
দীর্ঘমেয়াদি লোন অথবা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সম্পর্কে জানার আগ্রহ সকলেরই আছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যাদের টাকার প্রয়োজন আর তারা প্রতিনিয়ত গুগলে সার্চ করেন জরুরি লোন কিংবা দীর্ঘমেয়াদি লোন সম্পর্কে।
অনেকেই গুগল কিংবা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের দীর্ঘমেয়াদি লোন সম্পর্কে জানতে চাইলেও বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট এবং অনেক ব্লগ কিংবা ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে যেখানে পরিষ্কার ভাবে কথা উল্লেখ করা নেই তাই আজকের এই আর্টিকেলে দীর্ঘমেয়াদি লোন সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে আপনি আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়লে কোন ব্যাংক থেকে আপনি দীর্ঘমেয়াদী লোন নিতে পারবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
দীর্ঘমেয়াদি লোন সম্পর্কে আলোচনা করা পূর্বে দীর্ঘমেয়াদি লোন কি সে সম্পর্কে আমাদের আসলেই জানা উচিত। আমরা আলোচনা করব দীর্ঘমেয়াদি লোন কিভাবে কাজ করে দিলাম কি এবং কিভাবে দীর্ঘমেয়াদী লোন পাবেন তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় ফিরে যাই।
দীর্ঘমেয়াদি লোন কি?
বাংলাদেশের প্রচলিত ব্যাংকগুলোর যে লোন ব্যবস্থা রয়েছে সেই লোন ব্যবস্থা গুলোর লোন পরিশোধের সময়সীমা খুবই ক্ষীণ এবং সংক্ষিপ্ত হয়ে থাকে। তাই আমরা সহজ ভাষায় বলতে পারি দীর্ঘমেয়াদি লোন হলো এমন একটি লোন ব্যবস্থা যেখানে একজন গ্রাহক যেকোনো ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার পর সেই লোন পরিষদের দীর্ঘ সময় পেয়ে থাক।
অর্থাৎ যে কোন ব্যাংক থেকে দীর্ঘ মেয়াদে লোন পরিশোধের সময়সীমা সাপেক্ষে লোন গ্রহণ করার পদ্ধতিকেই দীর্ঘমেয়াদী লোন বলা হয়।
দীর্ঘমেয়াদি লোন কিভাবে কাজ করে?
বিভিন্ন ব্যাংকের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী ব্যাংকের লোন পরিষদের সময়সীমা বিভিন্ন রকম হতে পারে। তবে স্বাভাবিকভাবে যদি কেউ কোন ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করে তাহলে সেই লোন পরিষদের সময়সীমা সর্বনিম্ন এক মাস থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে।
দীর্ঘমেয়াদি লোনের ক্ষেত্রে একজন গ্রাহক যে সকল ব্যাংক দীর্ঘমেয়াদী লোন প্রদান করে সেই সকল ব্যাংক থেকে এই লোন নিয়ে গ্রাহক সর্বোচ্চ ৬০ মাসের মধ্যে উক্ত লোন পরিশোধ করার সুযোগ পায়। এতে করে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া টাকা পরিশোধ করতে গ্রাহকদের অনেকটাই সুবিধা হয়।
কোন ব্যাংক থেকে দীর্ঘমেয়াদী লোন নেয়া যায়?
বাংলাদেশে প্রচলিত ব্যাংকগুলোর মধ্যে এবি ব্যাংক ছাড়া এখন পর্যন্ত সকল ব্যাংকে দীর্ঘমেয়াদি লোন ব্যবস্থা চালু হয়নি। অর্থাৎ শুধুমাত্র (AB Bank) এবি ব্যাংক থেকে আপনি সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকার দীর্ঘমেয়াদী লোন নিতে পারবেন।
এবি ব্যাংক থেকে দীর্ঘমেয়াদী লোন নেওয়ার পদ্ধতি
যেকোনো ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার পদ্ধতি যে রকম ঠিক একই রকম ভাবে এবি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার পদ্ধতিে কোন ভিন্নতা নেই। অর্থাৎ আমরা সকলেই জানি যে কোন ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করতে হলে অবশ্যই সেই ব্যাংকের টার্মস এন্ড কন্ডিশন অনুযায়ী সকল শর্ত মেনে নিয়ে ওই ব্যাংকে একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। ঠিক একই ভাবে এবি ব্যাংক থেকে দীর্ঘমেয়াদি লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে এবি ব্যাংকে একটি হিসাব একাউন্ট খুলতে হবে। এবং এবি ব্যাংকের নিকটস্থ শাখায় গিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে এবি ব্যাংক থেকে দীর্ঘমেয়াদি লোন নেওয়ার প্রসেস এবং লোন নেয়ার কারণ উল্লেখ করে দীর্ঘমেয়াদি লোন নিতে পারবেন।
এবি ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম।
আর্টিকেলের উপরের অংশে আমরা আলোচনা করেছি দীর্ঘমেয়াদি লোন পেতে হলে যে কোন ব্যাংকেই আপনাকে একাউন্ট খুলতে হবে। যেহেতু আজকের এই আর্টিকেল ‘এবি ব্যাংক দীর্ঘমেয়াদি লোন’ সম্পর্কে তাই এখন আমরা দেখবো কিভাবে এবি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হয়।
এবি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন
এবি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে যা কিছু প্রয়োজন তা সম্পর্কে নেচে বিস্তারিত তুলে ধরা হলোঃ
- জাতীয় পরিচয়পত্র/বর্তমান বৈধ পাসপোর্ট।
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজেে ছবি।
- জন্ম সনদ এবং জন্ম সনদপত্র সাথে যেকোনো ছবি সহ পরিচয়পত্র অথবা জন্ম সনদ সাথে অতিরিক্ত সনদপত্র যা নিম্নলিখিত সম্মানিত ব্যক্তি কর্তৃক সত্যায়িত:
- সংসদ সদস্য।
- সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, ডেপুটি মেয়র ও কাউন্সিলরগণ।
- জাতীয় বেতন স্কেলের ৯ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের গেজেটেড কর্মকর্তা।
- পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান।
- ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
- পৌরসভার মেয়র ও পৌর কাউন্সিলরগণ।
- বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
- বেসরকারী কলেজের অধ্যক্ষ।
- বেসরকারী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
- জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক।
- নোটারী পাবলিক।
- আধাসরকারী – স্বায়ত্তশাসিত /রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার জাতীয় বেতন স্কেলের ৭ম বা তদূর্ধ্ব গ্রেডের কর্মকর্তাগণ।
- বাংলাদেশ ব্যাংকের জাতীয় বেতন স্কেলের ৯ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের কর্মকর্তাগণ।
এবি ব্যাংক স্থানীয় মুদ্রা একাউন্ট খোলার নিয়ম
সেভিংস/ কারেন্ট/ এসএনডি একাউন্ট
- যথাযথভাবে পূরণকৃত একাউন্ট খোলা্র ফর্ম (ব্যাংক কর্মকতার সম্মুখে আবেদনকারীর স্বাক্ষর করা)
- পরিচয়দানকারী কর্তৃক সত্যায়িত হিসাবধারীর সাম্প্রতিক ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গীন ছবি।
- ছবিযুক্ত পরিচয়পত্রের কপি (মূল কপি যাচাইয়ের জন্য উপস্থাপন করতে হবে)
- প্রত্যাশিত লেনদেনের বিবরণ
একক মালিকানা একাউন্ট
- যথাযথভাবে পূরণকৃত একাউন্ট খোলা্র ফর্ম (ব্যাংক কর্মকতার সম্মুখে আবেদনকারীর স্বাক্ষর করা)
- যথাযথভাবে পূরণকৃত ব্যক্তিগত তথ্য ফর্ম (পিআইএফ)
- পরিচয়দানকারী কর্তৃক সত্যায়িত হিসাবধারী সাম্প্রতিক ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গীন ছবি।
- স্থানীয় সরকার কর্তৃক বৈধ ট্রেড লাইসেন্সের কপি (সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ ইত্যাদি)
- বায়িং হাউস এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমতি প্রাপ্ত বা অন্যান্য নির্দিষ্ট ব্যবসা যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি দরকার।
- ই-টিন সার্টিফিকেট, যদি থাকে।
অংশীদারি ব্যবসা একাউন্ট
- যথাযথভাবে পূরণকৃত একাউন্ট খোলা্র ফর্ম(ব্যাংক কর্মকতার সম্মুখে আবেদনকারীর স্বাক্ষর করা)
- ব্যক্তিগত তথ্য ফর্ম (পিআইএফ) যথাযথভাবে সকল পার্টনার্স / শেয়ারহোল্ডার কর্তৃক যথাযথভাবে পূরণকৃত।সকল স্বাক্ষরকারী/ অংশীদারদের পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি রঙ্গীন ছবি পরিচয়দানকারী কর্তৃক সত্যায়িত।
- এবি ব্যাংকে একাউন্ট খোলার সিদ্ধান্ত সম্বলিত অংশীদারদের সকলের স্বাক্ষরিত রেজুলেশনের কপি।
- বৈধ ট্রেড লাইসেন্সের কপি।
- ব্যবসা বা অংশীদারীত্বের ট্রেড লাইসেন্স ও ঠিকানার প্রমাণ।
- আর্থিক বিবরণের কপি ।
লিমিটেড কোম্পানী একাউন্ট
- যথাযথভাবে পূরণকৃত একাউন্ট খোলা্র ফর্ম (ব্যাংক কর্মকতার সম্মুখে আবেদনকারীর স্বাক্ষর করা)
- আর যে এস সি (RJSC) কর্তৃক সার্টিফাইড স্মারকলিপি ও কোম্পানীর অ্যাসোসিয়েশনের কপি।
- আর যে এস সি (RJSC) কর্তৃক সার্টিফাইড সার্টিফিকেট অফ ইনকর্পোরেশন এবং / সার্টিফিকেট অফ কমেন্সমেন্ট এর কপি।
- এবি ব্যাংক লিমিটেডের সঙ্গে একাউন্ট খোলার উদ্দেশ্যে এবং যারা একাউন্ট অপারেট করবে তাদের স্বাক্ষরের মাধ্যমে ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে বোর্ডের সিদ্ধান্তের রেজ্যুলেশন এর কপি।
- আর যে এস সি (RJSC) দ্বারা সত্যায়িত ডিরেক্টরদের তালিকা (Form-XII)।
- ট্রেড বডি যেমনঃ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি থেকে সদস্যপদ সার্টিফিকেট।
- প্রত্যেক অপারেটরের পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি রঙ্গীন ছবি চেয়ারম্যান বা কোম্পানী সেক্রেটারী কর্তৃক সত্যায়িত।
- ন্যূনতম ৫ জন ডিরেক্টর / শেয়ারহোল্ডার যারা সর্বোচ্চ শেয়ারের অধিকারী অথবা যদি ডিরেক্টরদের সংখ্যা ৫ জনের কম হয় অথবা , বেনিফিসিয়াল ওনার এর পূরণকৃত ব্যক্তিগত তথ্য ফর্ম (PIF) এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
- বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী একাউন্টের পরিচিতি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হবে।
- বৈধ ট্রেড লাইসেন্সের কপি।
- আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে জড়িত কোম্পানীর ক্ষেত্রে রপ্তানী / আমদানী লাইসেন্সের কপি।
- কোম্পানীর সকল পরিচালকের ব্যক্তিগত সম্পদের বিবরণী (নেটওয়ার্থ )।
- কোম্পানীর, পরিচালক এবং একাউন্টের অপারেটরদের আপডেটড e-TIN সার্টিফিকেট।
- গত তিন বছরের অডিট করা ফিনান্সিয়াল রিপোর্টস অথবা নতুন কোম্পানীর ক্ষেত্রে এর প্রজেক্টেড ফিনান্সিয়াল রিপোর্টস।
- আর যে এস সি (RJSC) জমা দেওয়া কোম্পানীর সর্বশেষ বার্ষিক রিটার্নের কপি।
- কোম্পানীর রেজিস্টার্ড অফিস ভাড়া করা কোন জায়গায় থাকলে কোম্পানীর টেনেন্সি এগ্রিমেন্ট চেয়ারম্যান বা কোম্পানী সেক্রেটারি দ্বারা সত্যায়িত করা কপি