গত ৭ জানুয়ারি চীনের পার্বত্য তিব্বত অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। যাতে সর্বশেষ শতাধিক মৃত্যুর তথ্য জানা যায়। এর প্রেক্ষিতে, তিব্বতের ভূমিকম্পের চিত্র দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।
ফেসবুকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
একই দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, তিব্বতের সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের ভিডিও দাবিতে প্রচারিত ফুটেজটি আসলে তিব্বতের নয়। বরং, জাপানের পুরোনো ভূমিকম্পের ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানের জাপানের নিপ্পন টেলিভিশন এর ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এতে সংযুক্ত ভিডিওর ৩০ সেকেন্ড থেকে ৫৬ সেকেন্ড পর্যন্ত সময়ের ফুটেজের সাথে আলোচিত ভিডিওর হুবহু মিল রয়েছে।
এছাড়াও প্রতিবেদনটি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদের মাধ্যমে জানা যায়, ভিডিওটি জাপানের নোটো উপদ্বীপের ভূমিকম্পের ঘটনার। এছাড়াও জানা যায়, ভিডিওটি ইশিকাওয়া প্রদেশের সুজু শহরে ভূমিকম্পের সময় রাস্তায় অবস্থানকারী একটি গাড়ির ড্যাশবোর্ডে থাকা ক্যামেরায় ধারণ করা হয়।
পরবর্তী অনুসন্ধানে জাপানের আরেক গণমাধ্যম ‘দ্য মাইনিচি’ এর ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি Car’s dashcam records Japan quake’s violent shaking, collapsing houses, tsunami শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সন্ধান পাওয়া যায়।
উক্ত প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করেও একই ভিডিও এবং তথ্য পাওয়া যায়। পাশাপাশি জানা যায়, উক্ত ভূমিকম্পের ঘটনাটি ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি ঘটে। এছাড়াও জানা যায়, ইশিকাওয়া প্রদেশের সুজুতে ‘চৌজুকাই’ নামে বয়স্কদের জন্য পরিচালিত একটি নার্সিং হোম প্রতিষ্ঠানের গাড়ির সামনের ক্যামেরায় উক্ত ঘটনাটি ধরা পড়ে।
সুতরাং, তিব্বতের ভূমিকম্পের ভিডিও দাবিতে জাপানের নোটো উপদ্বীপের পুরোনো ভূমিকম্পের ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।