সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ঢাকার শাহবাগে কয়েকজন সমন্বয়কের দ্বারা মারাত্মকভাবে মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন শীর্ষক একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকের পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সমন্বয়কদের দ্বারা মাথায় আঘাত পাননি বরং ঢাকা ক্লাবে (রমনায়) দাঁড়িয়ে কথা বলার মধ্যেই পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পাওয়ার ঘটনাকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে মূল ধারার গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে জাতীয় দৈনিক কালবেলাতে এ সংক্রান্ত সম্ভাব্য প্রথম সংবাদ প্রকাশিত হতে দেখা যায়। ০৬ মার্চের এই সংবাদ থেকে জানা যায়,
সেদিন অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক মাটিতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। তারপর তাকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের নিউরো সায়েন্স ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি করেন তার স্বজনরা।
একইদিন জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আরেফিন সিদ্দিকের ছোট ভাই শাকরিন সিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন, উনি সুস্থই ছিলেন। বেলা সোয়া দুইটার দিকে ব্যাংকের বুথে গিয়ে টাকাও তুলেছেন। এরপর তিনি ঢাকা ক্লাবে (রমনায়) যান এবং সেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলার মধ্যেই পড়ে যান। সেটা আনুমানিক ২টা ৪০ মিনিট হতে পারে। এরপর তাঁকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শুরুর পর তাঁকে নিউরো আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এখন তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
আরেক জাতীয় দৈনিক সমকালের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে হাসপাতালে দায়িত্বরত এক চিকিৎসকের বরাতে বলা হয়, বিকেল তিনটার দিকে তাকে বারডেমে ভর্তি করা হয়। এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা যায়, তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন এবং স্ট্রোক করেছেন। প্রথমে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয় এবং অবস্থার অবনতি হলে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়।
গণমাধ্যম সূত্রে সর্বশেষ তথ্য অনুসরণ তিনি বর্তমানে হাসপাতালেই রয়েছেন।
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের অসুস্থতার বিষয়ে প্রকাশিত গণমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং বিশ্বস্ত সূত্রগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করে তিনি সমন্বয়কের দ্বারা মারাত্মকভাবে মাথায় আঘাত পেয়েছেন শীর্ষক দাবির প্রমাণ মেলেনি।
সুতরাং, অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ঢাকা ক্লাবে (রমনায়) দাঁড়িয়ে কথা বলার মধ্যেই পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পাওয়ার ঘটনাকে তিনি সমন্বয়কদের দ্বারা মাথায় আঘাত পেয়েছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।