সকল ব্যাংকের ডাবল বেনিফিট স্কিম | ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম 2024

বাংলাদেশে ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম 2024
4.9/5 - (12 votes)

ডাবল বেনিফিট স্কিম অথবা ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা এই আর্টিকেলে ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম সম্পর্কে সর্বশেষ আপডেট এবং কোন কোন ব্যাংক ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম অফার করছে সে সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

বর্তমান বাংলাদেশের মানুষ খুবই টেনসনে আছে যে তারা তাদের অলস অর্থ কোথায় বিনিয়োগ করবেন। যেহেতু বাংলাদেশের নাগরিকগণ যে কোন ধরনের স্টার্টআপ কিংবা নতুন বিজনেস খুলতে ততটা আগ্রহ প্রকাশ না করলেও তাদের টাকা যে কোন ব্যাংকে ডিপোজিট করে রাখতে নিরাপত্তা এবং স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে তাই অনেকে গুগলে ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম অথবা ডাবল বেনিফিট স্কিম সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে।

দেশের ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে কোন ব্যাংকগুলো ডাবল বেনিফিট স্কিম অফার করছে এবং কোন ব্যাংকের ডিপোজিট স্কিম গুলো গ্রাহকদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক এটা একজন সাধারণ আমানতকারীর পক্ষে খুঁজে বের করা নিতান্তই কঠিন যদি না সেই ব্যাঙ্কার তাঁকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন। 

আমি আমার এই ইউপেনশন ব্লগে কিছুদিন আগে আরেকটি আর্টিকেল পাবলিশ করেছিলাম বিভিন্ন ব্যাংক ডিপোজিট এর উপর সেই আর্টিকেলে ব্যাংকে আমানত কারীদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। তাই আজকে আপনাদের জন্য ২০টি ব্যাংকের ডাবল বেনিফিট তথা ডিপোজিট ডাবল স্কিম নিয়ে এই নতুন আর্টিকেলটি পাবলিশ করলাম। ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম” কিওয়ার্ড রিসার্চ করে মানুষের চাহিদা বুঝেছি এবং আজকের এই আর্টিকেলে ডাবল বেনিফিট স্কিম সম্পর্কে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করেছি। 

বিশেষ দ্রষ্টব্য: একটা কথা না বললেই নয় আর তা হলো; বাংলাদেশে ইউপেনশন একমাত্র ব্লগ যেখানে সর্বজনীন পেনশন স্কিম, ব্যাংকিং, লোন, ইন্সুরেন্স, সহ বিভিন্ন বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে সকলের জন্য নির্ভুল আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকে। তাই আপনি যদি আমার এই ব্লগে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলে ফাইভ স্টার রিভিউ দেওয়ার পাশাপাশি আর্টিকেলটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্টের জানাবেন। ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

তাহলে চলুন ডাবল বেনিফিট স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি

সূচিপত্র

ডাবল বেনিফিট স্কিম কি?

ডাবল বেনিফিট স্কিম কি
ডাবল বেনিফিট স্কিম কি

সাধারণ ভাষায় বলা যায়, প্রচলিত ব্যাংক ডিপোজিটের বিপরীতে যে ডিপোজিট স্কিমে নির্দিষ্ট সময় পর জামাকৃত টাকার দ্বিগুণ পরিমান মুনাফা পাওয়া যায় তাকেই ডাবল বেনিফিট স্কিম বলা হয়।

যেকোনো ব্যক্তি তার অলস টাকা ফেলে না রেখে প্রচলিত যে কোন ব্যাংকে একাউন্ট খুলে সেখানে আমানত হিসেবে ডিপোজিট করে রাখে এবং ডিপোজিট এর নির্দিষ্ট সময় পরিপূর্ণ হয়ে গেলে সেখান থেকে শতকরা ৯% মুনাফা পেয়ে থাকে। ডাবল বেনিফিট স্কিম একই রকম ডিপোজিট হলেও এখানে ব্যক্তির লাভের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে। ব্যাংকে ডিপোজিট করা অর্থ নির্দিষ্ট সময় পার হবার পর লাভের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়।

অর্থাৎ মনে করুন পূর্বে আপনি যেকোনো ব্যাংকে ডিপিএস করলে আপনার মূলধন থেকে সর্বোচ্চ ৯% লাভ হতো কিন্তু বর্তমানে ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিমে একাউন্ট খুলে সেখানে টাকা জমা রাখলে নির্দিষ্ট সময় পরে সেই টাকা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। ধরুন আপনি এক লক্ষ টাকার ডাবল বেনিফিট স্কিম খুলেছেন আপনি নির্দিষ্ট সময় শেষে ২ লক্ষ টাকা পাবেন। 

ডিপোজিট ডাবল স্কিমে আপনি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য টাকা জমা রাখতে পারবেন এবং নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে সেটা ডাবল হয়ে যাবে। অর্থাৎ আপনি ১ লাখ টাকা রাখলে সেটা ২ লাখ টাকা হবে, ১০ লাখ টাকা রাখলে  সেটা ২০ লাখ টাকা হবে, ১ কোটি টাকা রাখলে সেটা ২ কোটি টাকা হবে এভাবে পর্যায়ক্রমে আপনার আপনার ডিপোজিট এর পরিমাণ যত হবে আপনি তার থেকে ডাবল মুনাফা পাবেন। 

আশা করছি ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম কি এবং কিভাবে কাজ করে তা সম্পর্কে আপনি সঠিক ধারণা পেয়ে গেছেন।

ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম সম্পর্কে যা জানা জরুরি

সম্মানিত ভিজিটর আপনাদের জন্য একটি কথা বলে রাখা জরুরী আর তা হল, প্রত্যেকটি ব্যাংকে টাকা ডিপোজিট রাখলে যে লাভ আসবে তা সম্পর্কে অবশ্যই আপনার জানা দরকার তবে লাভের পার্সেন্টেজ নিয়ে দর কষাকষি বা হতাশ হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। আপনি যে ব্যাংকেই ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম একাউন্ট চালু করেন না কেন সেই ব্যাংক আপনাকে কত দ্রুত সময় ডিপোজিটের টাকা ডাবল করে দিবে সেটাই জানা জরুরি বিষয়। প্রত্যেক ব্যাংকের ডিপোজিট করা অর্থের লাভ এর পার্সেন্টেজটা আপনার জানা দরকার কিন্তু, লাভের পার্সেন্টেজ নিয়ে দর কষাকষি করার কোনও প্রয়োজন নেই। 

সোজা কথা হচ্ছে আপনার ডিপোজিটি স্কিম কত বছরে ডাবল হচ্ছে সেটা ক্যালকুলেশন করা আপনার জন্য বুদ্ধিমানের কাজ। যে ব্যাংক যত দ্রুত সময় আপনার টাকা ডাবল করে দিবে সেই ব্যাংকে ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম চালু করা আপনার জন্য লাভজনক হবে।

বাংলাদেশের বেস্ট ইনভেসমেন্ট সেক্টর 2024

কোন ব্যাংক দ্বিগুণ টাকা দেয়

ব্যাংক আমানতকারীদের আবার সুদিন ফিরতে শুরু করেছে। আমাদের দেশের ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের আমানতের মুনাফার হার বাড়াতে শুরু করেছে এবং ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য অতি আকর্ষণীয় মুনাফার বেশ কয়েকটি ডিপোজিট তথা আমানতের স্কিম অফার করেছে যার নাম হলো ডাবল বেনিফিট ডিপজিট স্কীম।

বর্তমান যেসকল ব্যাংক দ্বিগুণ টাকা দেয় সে সকল  ব্যাংকের নাম উল্লেখ করা হলো:

  • প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
  • অগ্রণী ব্যাংক
  • পদ্মা ব্যাংক
  • ইসলামী ব্যাংক
  • ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক
  • সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক
  • গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক
  • ন্যাশনাল ব্যাংক
  • ইউনিয়ন ব্যাংক
  • ওয়ান ব্যাংক
  • মিডল্যান্ড ব্যাংক
  • রূপালী ব্যাংক
  • ট্রাস্ট ব্যাংক
  • এবি ব্যাংক
  • ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড
  • প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি
  • উত্তরা ব্যাংক পিএলসি

বাংলাদেশে ডাবল বেনিফিট স্কিম রেট কত

বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যাংকের টার্মস এন্ড কন্ডিশন অনুযায়ী ডাবল বেনিফিট স্কিম রেট ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনাকে নিজেকেই নির্বাচন করতে হবে আপনি কোন ব্যাংকের ডাবল বেনিফিট স্কিম অ্যাকাউন্ট করবেন। বাংলাদেশের ডাবল বেনিফিট স্কিম রেট কত তা এক নজরে নিচে দেয়া টেবিলে দেখে নিন।

ব্যাংক তালিকামেয়াদকালডিপোজিটের পরিমাণমুনাফা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক১৫ বছরসর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা এবং এর গণতিক সর্বোচ্চ ১০,০০,০০০ টাকাসর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকার ক্ষেত্রে ৫.৫১% এবং ১০,০০,০০০ টাকার ক্ষেত্রে ৫.৬৭%
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকসাড়ে ৫ (পাঁচ) বছর।সর্বনিম্ন ১,০০,০০০ এক লক্ষ টাকা।১৩.৭২ পারসেন্ট।
পদ্মা ব্যাংকসাড়ে ৫ (পাঁচ) বছর।সর্বনিম্ন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা।১৩.৪৫ শতাংশ।
ইসলামী ব্যাংক৬ (ছয়) বছর।সর্বনিম্ন ৫ লক্ষ টাকা।১২.২৫%
অগ্রণী ব্যাংক
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক৬ (ছয়) বছর।৮ লাখ/৫ লাখ টাকা।১২.২৫% পার্সেন্ট।
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক৭ (সাত) বছর।সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা।৯.৯৪% পার্সেন্ট।
ন্যাশনাল ব্যাংকসাড়ে ৫ পাঁচ বছর।সর্বনিম্ন ১,০০,০০০ এক লক্ষ টাকা।১৩.৪০ শতাংশ।
ইউনিয়ন ব্যাংক৬ (ছয়) বছর।সর্বনিম্ন ১,০০,০০০ এক লক্ষ টাকা।১২.২৫%।
ওয়ান ব্যাংক৭ সাত বছর।সর্বনিম্ন ৫ পাঁচ হাজার টাকা।৯.৪৬ শতাংশ।
মিডল্যান্ড ব্যাংক
রূপালী ব্যাংক
ট্রাস্ট ব্যাংক
এবি ব্যাংক
ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড
প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি
উত্তরা ব্যাংক পিএলসি

অনলাইনে ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম একাউন্ট খোলার নিয়ম

অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানার আগে অবশ্যই খোঁজ নিতে হবে যে আপনি যে ব্যাংকের অনলাইনে একাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন তাদের অনলাইন ব্যাংকিং সার্ভিস আছে কিনা। দেশের প্রচলিত অনেকগুলো ব্যাংক রয়েছে যারা এখন পর্যন্ত অনলাইনের আওতাভুক্ত হয়নি। তবে যে সকল ব্যাংক ইন্টারনেটের আওতাভুক্ত আছে সে সকল ব্যাংকে অনলাইনে একাউন্ট খোলা যায়। যাইহোক, অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম অনুযায়ী সাধারণত যে সকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন তা নিচে তুলে ধরা হলো:

ট্রাস্ট ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম (100% Latest Update)

যোগ্যতা:

  • অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম অনুযায়ী যিনি একাউন্ট হোল্ডার তার বয়স অবশ্যই ১৮ বছর অথবা বেশি হতে হবে।
  • অবশ্যই জাতীয়তা বাংলাদেশী হতে হবে। 

আইডেন্টিফিকেশন:

  • অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করতে হবে, যেমন ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট বা ভোটার আইডি কার্ড।
  • ইউটিলিটি বিল প্রদান করতে হতে পারে, যেমন বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিল ইত্যাদি।

অনলাইন আবেদন:

  • ব্যাংক দ্বারা প্রদত্ত অনলাইন আবেদন ফর্ম সঠিক এবং নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে। এর মধ্যে ব্যক্তিগত তথ্য, যোগাযোগের ঠিকানা এবং কর্মসংস্থানের বিবৃতি অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

তথ্য যাচাইকরণ:

  • ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীর দেয়া সকল তথ্য যাচাই করবেন। যেমন আপনার আয়-ব্যয় চেক করা বা উল্লেখিত ঠিকানা যাচাই করা, এবং বিভিন্ন ব্যাংকের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আরো কিছু তথ্য যাচাই করতে পারে।

প্রাথমিক জমা:

  • কিছু কিছু ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে প্রাথমিক জমা হিসেবে ১০০ টাকা থেকে শুরু করে এক হাজার টাকা পর্যন্ত আমানত রাখতে হতে পারে। তবে অ্যাকাউন্টের ধরন অনুযায়ী প্রাথমিক জমার পরিমাণ কম বেশি হতে পারে।

টার্মস এন্ড কন্ডিশন:

  • বিভিন্ন ব্যাংকের বিভিন্ন ধরনের টার্মস এন্ড কন্ডিশন থাকে যেটাকে বাংলায় শর্তাবলী বলা হয়। আপনি যে ব্যাংকে অনলাইন অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে যাচ্ছেন সেই ব্যাংকের ট্রান্স এন্ড কন্ডিশন সম্পর্কে অবহিত হয়ে সহমত পোষণ করতে হবে।

ফিঙ্গারপ্রিন্ট-স্বাক্ষর:

  • সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট পরিপূর্ণতা পাওয়ার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট কিংবা স্বাক্ষর প্রদান করতে হবে। আবার অনেক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর ব্যবহার করে থাকে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা:

  • গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট এবং ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে ব্যাংকগুলো সব সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রয়োগ করে থাকে, যেমন ইমেইল কিংবা মোবাইল নাম্বারে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন এবং ওটিপি কোডের মাধ্যমে একাউন্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করে থাকে।

ঠিকানা প্রমাণ:

  • অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য কিছু কিছু ব্যাংক গ্রাহকের ঠিকানা প্রমাণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের এক্সট্রা ডকুমেন্টস চাইতে পারে। যেমন নাগরিকত্ব সনদ কিংবা চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট ইত্যাদি।

ট্যাক্স ইনফরমেশন:

  • অনলাইনে একাউন্ট খোলার নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য ট্যাক্স ইনফরমেশন চাইতে পারে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশ এবং বিভিন্ন অঞ্চল সেইসাথে বিভিন্ন ব্যাংকের বিভিন্ন রিকোয়ারমেন্ট থাকতে পারে। আবার অনেক ব্যাংক আছে যাদের কাছে অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে ট্যাক্স ইনফরমেশন দিতে হয় না।

অ্যাকাউন্টের ধরন নির্বাচন:

  • আপনি যে ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে চান তা নির্বাচন করতে হবে, যেমন সেভিংস অ্যাকাউন্ট, ডিপোজিট একাউন্ট, ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম সহ আরো অনেকগুলো ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে।

নিশ্চিতকরণ:

নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খোলার নিয়ম ও সুবিধা অসুবিধা জেনে নিন (100% Working)
  • একবার আপনার অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খোলার আবেদন পর্যালোচনা এবং অনুমোদন হয়ে গেলে, আপনি বুঝে নিবেন উক্ত ব্যাংক একাউন্ট আপনাকে নিশ্চিতকরণ করেছে এবং আপনার নতুন অ্যাকাউন্টের সমস্ত ডকুমেন্টস এবং বিস্তারিত আপনি অনলাইনে চেক দিতে পারবেন।

ডাবল বেনিফিট স্কিম ব্যাংক তালিকা

ডাবল বেনিফিট ব্যাংক তালিকা 
ডাবল বেনিফিট ব্যাংক তালিকা 

আসলে আমরা জানি দেশের ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে কোন সে আটটি ব্যাঙ্ক যারা আপনার আমানতকে সর্বনিম্ন সময়ে ডাবল করে দেবে তা ভিডিওর পরবর্তী আলোচনায় যাওয়ার আগে আপনাকে অনুরোধ করছি। চলুন কথা না বাড়িয়ে চলে আমরা ভিডিওর মূল অংশে। 

  • প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
  • ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক
  • পদ্মা ব্যাংক
  • ইসলামী ব্যাংক
  • অগ্রণী ব্যাংক
  • ন্যাশনাল ব্যাংক
  • সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক
  • গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক
  • ইউনিয়ন ব্যাংক
  • ওয়ান ব্যাংক
  • মিডল্যান্ড ব্যাংক
  • রূপালী ব্যাংক
  • ট্রাস্ট ব্যাংক
  • এবি ব্যাংক
  • ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড
  • প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি
  • উত্তরা ব্যাংক পিএলসি

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বঙ্গবন্ধু ডাবল বেনিফিট স্কীম

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বঙ্গবন্ধু ডাবল বেনিফিট স্কীম
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বঙ্গবন্ধু ডাবল বেনিফিট স্কীম

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কর্তৃক ডাবল বেনিফিট স্কিম অফার করেছে যার নাম দিয়েছে বঙ্গবন্ধু ডাবল বেনিফিট স্কীম। প্রবাসীরা তাদের টাকা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিরাপদে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বঙ্গবন্ধুর ডাবল বেনিফিট স্কিম অ্যাকাউন্ট খুলে জমা রাখার সুযোগ পাবেন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বঙ্গবন্ধু ডাবল বেনিফিট স্কিম এর মেয়াদ কাল সর্বনিম্ন ১১ বছর, যা দেশে প্রচলিত অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় অনেক বেশি। এই ডাবল বেনিফিট স্কীম প্রকল্পে প্রবাসীদের জমার টাকা ১১ বছরে দ্বিগুণ হবে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বঙ্গবন্ধু ডাবল বেনিফিট স্কীম বৈশিষ্ট ও সুবিধা:

  • মাত্র ১১ বছরে জমাকৃত অর্থ দ্বিগুণ হবে।
  • গ্রাহকের সম্পূর্ণ টাকা বীমা অবস্থায় থাকবে।

আবেদনের যোগ্যতা:

  • গ্রাহকের বয়স ১৮ থেকে ৬৫ বছর হতে হবে।
  • কেবলমাত্র প্রবাসী বাংলাদেশিরা একাউন্ট খুলতে পারবেন।
  • প্রবাসীদের রেসিডেন্স/ওয়ার্ক পারমিট থাকতে হবে, অনেক দেশে ভিন্ন নাম থাকতে পারে যেমন (আকামা)।
  • আবেদনকারী প্রবাসীর সঞ্চয়ী হিসাব থাকতে হবে।

প্রয়োজনীয় তথ্যাদি:

  • সঞ্চয় হিসাব খোলা আবশ্যক। 
  • আবেদনকারীর সত্যায়িত ০২(দুই) কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি। 
  • নমীনির ০১(এক) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • বৈধ পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি ০৬ পৃষ্ঠা অথবা বিদেশী পাসপোর্টের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পৃষ্ঠার সত্যায়িত ফটোকপি।
  • এন্ট্রি ভিসা সত্যায়িত কপি, (ইংরেজী ব্যতীত অন্য ভাষার ক্ষেত্রে অনুবাদকৃত কপি)।
  • একটি সচল মোবাইল নাম্বার।
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
  • যে দেশে আছে সেই দেশের ব্যাংক একাউন্ট।
  • আবেদনকারীকে উপরোক্ত তথ্যাদিসহ আবেদন ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বঙ্গবন্ধু ডাবল বেনিফিট স্কীম ক্যালকুলেশন:

একাউন্টের ধরনপ্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ডাবল বেনিফিট স্কিম
জামার পরিমানসর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা এবং এর গণতিক সর্বোচ্চ ১০,০০,০০০ টাকা
সুদের হারসর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকার ক্ষেত্রে ৫.৫১% এবং ১০,০০,০০০ টাকার ক্ষেত্রে ৫.৬৭%
মেয়াদকাল১৫ বছর।
বঙ্গবন্ধু ডাবল বেনিফিট স্কীম

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক

মুদারাবাহ ডিপোজিট ডাবল স্কিম: ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক মাত্র সাড়ে ৫ (পাঁচ) বছরে আপনার জমাকৃত টাকাকে ডাবল করবে এবং তারা আপনাকে মুনাফা দেবে ১৩.৭২ পারসেন্ট হারে। আর আপনি সর্বনিম্ন ১,০০,০০০ এক লক্ষ টাকা দিয়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ডাবল বেনিফিট স্কিম অ্যাকাউন্ট শুরু করতে পারবেন।

ইতালি স্পন্সর ভিসা আবেদন 2024 – ইতালি স্পন্সর ভিসা কি?
একাউন্টের ধরনফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ডাবল বেনিফিট স্কিম
জামার পরিমানসর্বনিম্ন ১,০০,০০০ এক লক্ষ টাকা।
সুদের হার১৩.৭২ পারসেন্ট।
দ্বিগুণ হওয়ার মেয়াদকালসাড়ে ৫ (পাঁচ) বছর।
ডাবল বেনিফিট স্কিম

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ডাবল বেনিফিট স্কিম অত্যন্ত আকর্ষণীয় রেটে অফার করছে। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে আপনার জমাকৃত টাকা মাত্র ৬ (ছয়) বছরে ডাবল হবে। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ডাবল বেনিফিট স্কিম এর সুদের হার হবে ১২.২৫% পার্সেন্ট। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে আপনি সর্বনিম্ন ৮ লাখ টাকা জমা করে জমা করে ডাবল ডিপোজিট স্কিম একাউন্ট ওপেন করতে পারবেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:সকলের উদ্দেশ্যে বলে রাখি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক তাদের ওয়েবসাইটে দু রকম তথ্য দিয়েছে। ডিপোজিট এর জমা হিসেবে ৮ লাখ টাকার কথা উল্লেখ করেছে, আবার ৫ লাখ টাকার কথাও উল্লেখ করেছে। তবে তাদের সার্কুলারে ৮ লাখ টাকার কথা উল্লেখ করা আছে। তো আপনারা যখন সোশাল ইসলামী ব্যাংকে ডাবল বেনিফিট স্কিম একাউন্ট ওপেন করতে যাবেন, তখন ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে নিশ্চয় আপনারা আলোচনা করে বিষয়টি ক্লিয়ার হয়ে নেবেন।
একাউন্টের ধরনসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ডাবল বেনিফিট স্কিম
জামার পরিমান৮ লাখ/৫ লাখ টাকা।
সুদের হার১২.২৫% পার্সেন্ট।
দ্বিগুণ হওয়ার মেয়াদকাল৬ (ছয়) বছর।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম একাউন্ট খুলে আপনার টাকা জামানত রাখলে তারা আপনার সেই টাকা ৭ (সাত) বছরে ডাবল করে দেবে। অর্থাৎ আপনি যদি ৫০,০০০ টাকা দিয়ে ডাবল ডিপোজিট একাউন্ট খুলেন সাত বছর পর লাভ সহ আপনার সেই ৫০ হাজার টাকা ১ লাখ টাকায় পরিণত হবে।

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ডাবল ডিপোজিট স্কিমের ক্ষেত্রে বাৎসরিক ৯.৯৪% পার্সেন্ট হারে মুনাফা দিয়ে থাকে। এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ডাবল ডিপোজিট স্কিম খোলার জন্য আপনি সর্বনিম্ন ৫০ হাজার  টাকাও দিয়েও এই ডিপোজিট স্কিম অ্যাকাউন্টটি ওপেন করতে পারবেন।

একাউন্টের ধরনগ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম
জামার পরিমানসর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা।
সুদের হার৯.৯৪% পার্সেন্ট।
দ্বিগুণ হওয়ার মেয়াদকাল৭ (সাত) বছর।
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম

ন্যাশনাল ব্যাংক

ন্যাশনাল ব্যাংকে আপনার জমাকৃত টাকা মাত্র সাড়ে ৫ পাঁচ বছরে দ্বিগুণ হবে। অর্থাৎসাড়ে ৫ পাঁচ বছরে আপনার ১ লাখ টাকা জমা রাখলে লাভ সহ ২ লাখ টাকায় পরিণত হবে, ১০ লাখ টাকা রাখলে লাভ সহ ২০ লাখ টাকা হবে এবং ১ কোটি টাকা রাখলে লাভ সহ ২ কোটি টাকা হবে। ন্যাশনাল ব্যাংকের ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিমের মুনাফার হার হচ্ছে ১৩.৪০ শতাংশ। ন্যাশনাল ব্যাংকের এই স্কিমে আপনি সর্বনিম্ন ১ লাখ টাকা জমা করেই ডাবল বেনিফিট স্কিম অ্যাকাউন্ট ওপেন করতে পারবেন।

একাউন্টের ধরনন্যাশনাল ব্যাংক ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম
জামার পরিমানসর্বনিম্ন ১,০০,০০০ এক লক্ষ টাকা।
সুদের হার১৩.৪০ শতাংশ।
দ্বিগুণ হওয়ার মেয়াদকালসাড়ে ৫ পাঁচ বছর।
ন্যাশনাল ব্যাংক ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম

ইউনিয়ন ব্যাংক

ইসলামী শরীয়া ভিত্তিক ইউনিয়ন ব্যাংক মুদারাবা ডাবল বেনিফিট স্কিম (Mudaraba Double benefit scheme) অ্যাকাউন্ট তৈরি করে টাকা জমানত রাখলে ৬ (ছয়) বছরে তা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। ইউনিয়ন ব্যাংক ডাবল বেনিফিট স্কিমের মুনাফার হার ১২.২৫%। আর ইউনিয়ন ব্যাংকে আপনি সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা জমা করে ডাবল বেনিফিট স্কিম অ্যাকাউন্ট ওপেন করতে পারবেন। 

বিশেষ দ্রষ্টব্য: সম্মানিত ভিজিটরদের উদ্দেশ্যে জানিয়ে রাখি, ইউনিয়ন ব্যাংক তাদের সারকুলারে ১০,০০০ টাকার কথা বলেছে। কিন্তু আমি আমার নিকটস্থ ইউনিয়ন ব্যাংকের শাখায় গিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম তাদের এই ডিপোজিট স্কিমে ১ (এক) লক্ষ টাকা দিয়ে অ্যাকাউন্ট ওপেন করতে হয়। সত্যি কথা বলতে ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম কেউ পাঁচ হাজার, দশ হাজার টাকা দিয়ে ওপেন করেনা। সাধারণত লাখ টাকা বা তার বেশি টাকার জন্য গ্রাহকরা ডাবল বেনিফিট স্কিম অ্যাকাউন্ট ওপেন করে থাকে।
একাউন্টের ধরনইউনিয়ন ব্যাংক ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম
জামার পরিমানসর্বনিম্ন ১,০০,০০০ এক লক্ষ টাকা।
সুদের হার১২.২৫%।
দ্বিগুণ হওয়ার মেয়াদকাল৬ (ছয়) বছর।
ইউনিয়ন ব্যাংক ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম

ওয়ান ব্যাংক

ওয়ান ব্যাংক ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম একাউন্টে টাকা জমা রাখলে আপনার সেই টাকা দ্বিগুণ হবে সাড়ে ৭ সাত বছরে। ওয়ান ব্যাংকের এই ডিপোজিট স্কিমে লাভের যে হার তা হচ্ছে, ৯.৪৬ শতাংশ। ওয়ান ব্যাংকে মাত্র ৫ পাঁচ হাজার টাকা দিয়েও ডাবল বেনিফিট স্কিম একাউন্ট ওপেন করতে পারবেন।

একাউন্টের ধরনওয়ান ব্যাংক ডাবল বেনিফিট স্কিম
জামার পরিমানসর্বনিম্ন ৫ পাঁচ হাজার টাকা।
সুদের হার৯.৪৬ শতাংশ।
দ্বিগুণ হওয়ার মেয়াদকাল৭ সাত বছর।
ওয়ান ব্যাংক ডাবল বেনিফিট স্কিম

পদ্মা ব্যাংক

পদ্মা ব্যাংকে আপনার জমাকৃত আমানত ডাবল হবে মাত্র সাড়ে ৫ (পাঁচ) বছরে। পদ্মা ব্যাংক ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম এর লাভের হার হচ্ছে ১৩.৪৫ শতাংশ। দেখেন আমি পূর্বে বলেছি ন্যাশনাল ব্যাংক বলছে তারাও সাড়ে ৫ (পাঁচ) বছরে ১৩.৪০% হারে আপনারা আমানতকে ডাবল করবে। আর পদ্মা ব্যাংকও আপনার আমানতকে ডাবল করবে সাড়ে ৫ (পাঁচ) বছরেই আর তারা লাভের হার বলছে ১৩.৪৫% হারে।

মানে এখানে পয়েন্ট ০৫% ডিফারেন্স আছে। সো এটা নিয়ে আপনার ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এটা ব্যাঙ্কের ক্যালকুলেশনের বিষয়। শুধু দেখা উচিত কোন ব্যাঙ্ক আপনাকে কম সময়ে আমানত ডবল করে দিচ্ছে এবং সেটাই আপনার জন্য লাভজনক হবে। পদ্মা ব্যাংকে আপনি সর্বনিম্ন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা দিয়েই ডাবল বেনিফিট স্কিম অ্যাকাউন্টটি ওপেন করতে পারবেন।

একাউন্টের ধরনপদ্মা ব্যাংক ডাবল বেনিফিট স্কিম
জামার পরিমানসর্বনিম্ন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা।
সুদের হার১৩.৪৫ শতাংশ।
দ্বিগুণ হওয়ার মেয়াদকালসাড়ে ৫ (পাঁচ) বছর।
পদ্মা ব্যাংক ডাবল বেনিফিট স্কিম

ইসলামী ব্যাংক

ইসলামী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম
ইসলামী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম

ইসলামী ব্যাংক ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম’কে গ্রাহকদের জন্য অতি আকর্ষণীয় করে তৈরি করেছে। ইসলামী ব্যাংকের এই স্কিমে টাকা জমা রাখলে আপনি সর্বোচ্চ ৬ (ছয়) বছরে আপনার টাকা ডাবল করতে পারবেন। ইসলামী ব্যাংকের ওয়েবসাইটে টাকা জমা দেয়ার নির্দিষ্ট পরিমাণ এবং মুনাফা হার সম্পর্কে কোন তথ্য দেয়া নেই। আমরা জানি যে ছয় বছরে ১২.২৫ পারসেন্ট হারে যেকোনো আমানত ডাবল হয় তো সেই অর্থে আমরা ইসলামী ব্যাংকের ডাবল বেনিফিট স্কিমের মুনাফা রেট বলতে পারি যে ১২.২৫%। ইসলামী ব্যাংকে আপনি সর্বনিম্ন ৫ লক্ষ টাকা জমা দিয়ে ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম একাউন্ট খুলতে পারবেন।

একাউন্টের ধরনপদ্মা ব্যাংক ডাবল বেনিফিট স্কিম
জামার পরিমানসর্বনিম্ন ৫ লক্ষ টাকা।
সুদের হার১২.২৫%
দ্বিগুণ হওয়ার মেয়াদকাল৬ (ছয়) বছর।
পদ্মা ব্যাংক ডাবল বেনিফিট স্কিম

মিডল্যান্ড ব্যাংক

একাউন্টের ধরনমিডল্যান্ড ডাবল বেনিফিট প্লাস স্কিম
জামার পরিমানসর্বনিম্ন ১,০০,০০০ এক লক্ষ টাকা।
সুদের হার১৩.৭২ পারসেন্ট।
দ্বিগুণ হওয়ার মেয়াদকাল৫ (পাঁচ) বছর।
মিডল্যান্ড ডাবল বেনিফিট প্লাস স্কিম

রূপালী ব্যাংক (RDBS)

একাউন্টের ধরন
জামার পরিমানসর্বনিম্ন ১,০০,০০০ এক লক্ষ টাকা।
সুদের হার১৩.৭২ পারসেন্ট।
দ্বিগুণ হওয়ার মেয়াদকাল৫ (পাঁচ) বছর।

ট্রাস্ট ব্যাংক

Trust Money Double Scheme

একাউন্টের ধরনDouble Scheme
জামার পরিমানসর্বনিম্ন ১,০০,০০০ এক লক্ষ টাকা।
সুদের হার১৩.৭২ পারসেন্ট।
দ্বিগুণ হওয়ার মেয়াদকাল৫ (পাঁচ) বছর।
Double Scheme

এবি ব্যাংক

Deposit Double Scheme (DDS)—Dhaka—AB Bank

একাউন্টের ধরনMudarabah Deposit Double Scheme
জামার পরিমানসর্বনিম্ন ১,০০,০০০ এক লক্ষ টাকা।
সুদের হার১৩.৭২ পারসেন্ট।
দ্বিগুণ হওয়ার মেয়াদকাল৫ (পাঁচ) বছর।

ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড

একাউন্টের ধরনব্যাংক এশিয়া ডাবল স্কিম
জামার পরিমানসর্বনিম্ন ১,০০,০০০ এক লক্ষ টাকা।
সুদের হার১৩.৭২ পারসেন্ট।
দ্বিগুণ হওয়ার মেয়াদকাল৫ (পাঁচ) বছর।
ব্যাংক এশিয়া ডাবল বেনিফিট স্কিম

প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি

ডাবল বেনিফিট স্কিম (DBS)

একাউন্টের ধরনDouble Scheme
জামার পরিমানসর্বনিম্ন ১,০০,০০০ এক লক্ষ টাকা।
সুদের হার১৩.৭২ পারসেন্ট।
দ্বিগুণ হওয়ার মেয়াদকাল৫ (পাঁচ) বছর।

উত্তরা ব্যাংক পিএলসি

ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম

একাউন্টের ধরনফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ডাবল স্কিম
জামার পরিমানসর্বনিম্ন ১,০০,০০০ এক লক্ষ টাকা।
সুদের হার১৩.৭২ পারসেন্ট।
দ্বিগুণ হওয়ার মেয়াদকাল৫ (পাঁচ) বছর।

অগ্রণী ব্যাঙ্ক ডাবল স্কিম

Agrani Bank Double Benefit Scheme

একাউন্টের ধরনফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক বেনিফিট স্কিম
জামার পরিমানসর্বনিম্ন ১,০০,০০০ এক লক্ষ টাকা।
সুদের হার১৩.৭২ পারসেন্ট।
দ্বিগুণ হওয়ার মেয়াদকাল৫ (পাঁচ) বছর।

শেষ কথা

সম্মানিত ভিজিটর আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা সন্দেহ করেন যে ব্যাংক কেন মানুষকে এই হায়ার রেট অর্থাৎ ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম অফার করছে? ব্যাঙ্কের এই হাই রেট নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেন যে বর্তমানে দেশের ব্যাংকগুলোতো লিকুইডিটি ক্রাইসিস এ ভুগছে, তা না হলে এত হাই রেট অফার করছে কেন? 

দেখেন উপরে যে ব্যাংকগুলোর নাম আমি উল্লেখ করেছি সেখানে কিন্তু ইসলামী ব্যাংকের মতো ব্যাংকও লিস্টেড আছে। সো এটা নিয়ে আপনাদের দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক হায়ার  রেটের আমানত স্কিম অফার করবে তখনই, যখন ব্যাংকের টাকার প্রয়োজন বেশি। তো ওই সময় টাই কিন্তু গ্রাহকদের জন্য লাভজনক সময়। বর্তমান সময়ে দেশের প্রচলিত ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ঋণ নিতে গেলেই বাংলাদেশ ব্যাংক ৯.৭৫% প্রায় ১০ (দশ) শতাংশ সুদ গ্রহণ করছে। চিন্তা করে দেখুন, প্রচলিত ব্যাংকগুলো যদি বাংলাদেশ ব্যাংক কে ১০ (দশ) শতাংশ সুদ দিতে পারে তাহলে আমাদের মত সাধারণ জনগণকে ১০% (দশ) শতাংশ বা তার বেশি লাভ দিলে সমস্যা কোথায়।

সুতরাং আমার কাছে মনে হয় এইসব বিষয় নিয়ে সাধারণ আমানতকারীদের দুশ্চিন্তা না করাই ভালো। আমার পরামর্শ থাকবে যদি আপনার কাছে অলস টাকা থাকে তাহলে আপনি সেই টাকা ঘরে ফেলে না রেখে যেকোনো ব্যাংকের ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম একাউন্ট খুলে সেখানে টাকা জমা রেখে আপনি আপনার টাকা স্বল্প সময়ের মধ্যে ডাবল করে নিতে পারবেন। এতক্ষন ধৈর্য এবং মনোযোগ সহকারে পুরো আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। যদি মনে করেন আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার পরিচিতজন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পারে, তাহলে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করে তাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিন। আশা করি পরবর্তী আর্টিকেল পাবলিশ হওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকবেন। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আসসালামু আলাইকুম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe now

Give us a call or fill in the form below and we will contact you. We endeavor to answer all inquiries within 24 hours on business days.