আপনি কি ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে চান? একাউন্ট খুলতে কি প্রয়োজন এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন upension.info তে। বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে জনপ্রিয় ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী ডাচ বাংলা ব্যাংক অন্যতম। ডাচ বাংলা ব্যাংকে নিরাপত্তার সাথে লেনদেন করা যায়।
আজকের এই আর্টিকেলে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম, অ্যাকাউন্ট খুলতে কি কি লাগে, অ্যাকাউন্ট খুলতে কত টাকা খরচ করতে হয় এবং এই ব্যাংকের সকল সার্ভিসগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
তাই যদি আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেল সম্পন্ন মনোযোগ দিয়ে পড়ুন কেননা, এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়লে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকের যেকোনো ধরনের একাউন্ট সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ অভিজ্ঞতা পেয়ে যাবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক কি?
ডাচ বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় বেসরকারি ব্যাংক যাকে ইংরেজিতে সংক্ষেপে (dbbl) বলা হয়। এই ব্যাংক বাংলাদেশে ব্যাংকিং কার্যক্রমে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডাচ বাংলা ব্যাংকের শুরু ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডের যৌথ উদ্যোগে ঘটে। পরে এটি দেশের সর্ববৃহৎ এটিএম নেটওয়ার্ক হিসাবে পরিচিতি অর্জন করে।
বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে গ্রাহকরা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সকল ব্যাংকিং কার্যক্রম ঘরে বসে সম্পূর্ণ করতে পারেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার ও কি কি?
মূলত ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্টের (৭) সাতটি প্রকারভেদ রয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন করেন ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ও প্রকার কি কি। তো আর্টিকেলের এই সেকশনে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার ও কি কি সেই সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। কেননা ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এর প্রকারভেদ সম্পর্কে অবশ্যই জানা জরুরী। তা না হলে আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার জন্য কোন একাউন্ট প্রয়োজন।
সাধারণত এখন পর্যন্ত ডাচ বাংলা ব্যাংকে ৭ ধরনের একাউন্ট খোলা যায়। ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্টের প্রকারভেদ হল: ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
- সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট (Savings Deposit Account)
- সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট প্লাস (Savings Deposit Account Plus)
- এক্সেল সেভিংস একাউন্ট (Excel Savings Account)
- ডিবিবিএল স্কুল সেভার্স একাউন্ট (DBBL School Savers Account)
- ইন্টারেস্ট ফ্রি সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট (Interest Free Savings Deposit Account)
- কারেন্ট ডিপোজিট একাউন্ট (Current Deposit Account)
- স্পেশাল নোটিস ডিপোজিট একাউন্ট (Special Notice Deposit Account)
ডাচ বাংলা ব্যাংকের একাউন্ট গুলো ক্যাটাগরি অনুযায়ী সাধারণত আরো দুই প্রকার একাউন্ট খোলা যায়। যথা-
- ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট (DBBL Savings Account)
- ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট (DBBL Student Account)
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ডাচ বাংলা ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট যে কেউ খুলতে পারবে, তবে প্রয়োজনের ডকুমেন্ট দিয়ে Student অ্যাকাউন্ট শুধুমাত্র স্টুডেন্টরা খুলতে পারবে।
এগুলো ছাড়াও যদি পরবর্তীতে আরো কোন একাউন্টের ধরন যুক্ত হয় তাহলে আমাদের এই ব্লগে তা পাবলিশ করা হবে। তাই আর্টিকেলের নিচে দেয়া কমেন্ট সেকশনে আপনার ইমেইল দ্বারা সাবমিট করুন যাতে করে আমাদের এই আর্টিকেলের আপডেট গুলো আপনার কাছে সহজেই পৌঁছে যায়। এখন আমরা আলোচনা করব কিভাবে ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে হয়। নিম্নে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো:
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
দেশে প্রচলিত অন্যান্য ব্যাংকের মাধ্যমে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম অনুযায়ী গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, ২ কপি ছবি, নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্র ও ১ কপি ছবিসহ নিকটস্থ ডাচ বাংলা ব্যাংকের শাখা অথবা ফাস্ট ট্র্যাক অফিসে গিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করার মাধ্যমে ব্যাংকিং একাউন্ট খোলার জন্য প্রাথমিক কার্যপ্রণালী সম্পাদন করতে হবে। একাউন্টের ধরন অনুযায়ী একাউন্ট খোলার ফরম সঠিকভাবে পূরণ করে কাগজপত্র ও প্রাথমিক ডিপোজিট জমা দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন।
Account Opening Form পূরণ করে জমা দেয়ার পর, দ্বায়িত্বরত অফিসার আপনার একাউন্ট খুলে দিতে সহযোগিতা করবেন। এরপর আপনাকে একাউন্টের ধরন অনুযায়ী ব্যাংকের নতুন একাউন্ট খোলার জন্য প্রাথমিক নুন্যতম জমার পরিমাণ ক্যাশ কাউন্টারে জমা দিয়ে Account চালু করতে হবে।
উল্লেখ্য যে, ডাচ-বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য একজন সুপারিশ কারি অর্থাৎ রেফারেন্স প্রয়োজন। (DBBL) ডাচ বাংলা ব্যাংকের যেকোনো একাউন্ট হোল্ডার সুপারিশকারী হিসেবে বিবেচিত হবে যদি আপনার পরিচিত কেউ না থাকে তাহলে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাছে সহযোগিতা চাইলেই তারা আপনার একাউন্ট খোলার জন্য রেফারেন্স হয়ে একাউন্ট খুলতে সহযোগিতা করবেন।
এগুলো পড়তে পারেন
- ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি ২০২৪ আবেদনের নতুন নিয়ম ও রেজাল্ট
- জরুরী লোন বাংলাদেশ থেকে নেওয়ার উপায়
- সহজ কিস্তিতে লোন আবেদন এখন সকল নাগরিকের জন্য
তবে যে কোন ধরনের ব্যাংক একাউন্ট খোলার পূর্বে অবশ্যই সেই ব্যাংক সম্পর্কে আপনার সঠিক জ্ঞান এবং ধারণা থাকতে হবে। ঠিক একইভাবে ডাচ বাংলা ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট করার আগে অবশ্যই এই ব্যাংক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে, আপনি কোন ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে চান, অ্যাকাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে, একি সুযোগ-সুবিধা পাবেন, বেনিফিটের হার কত ইত্যাদি সকল বিষয় সম্পর্কে জেনে বুঝে তারপর ব্যাংক একাউন্ট খোলা জরুরী।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে?
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে এ সম্পর্কে অবশ্যই আপনার জানা জরুরি। দেশে প্রচলিত যে কোন ব্যাংকেই আপনি নতুন কোন একাউন্ট খুলতে যান না কেন একাউন্ট খোলার চার্জ হিসেবে অথবা এককালীন জমা হিসেবে প্রাথমিক ৫০০ টাকা শুরু করে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত জমা দিতে হয়। তবে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য একাউন্টের ধরন অনুযায়ী সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত প্রাথমিক জমা অথবা ডিপোজিট করতে হয় যা আপনার একাউন্টের মূল ব্যালেন্স এ যুক্ত হয়ে থাকবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে যত টাকা লাগে তা এক নজরে দেখার জন্য নিচে দেওয়া টেবিলে অ্যাকাউন্টের নাম, একাউন্টের ধরন এবং প্রাথমিক জমার পরিমাণ সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো:
| ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট | একাউন্টের ধরন | প্রাথমিক জমার পরিমাণ |
| সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট (Savings Deposit Account) | সেভিংস একাউন্ট | ৫০০ টাকা |
| সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট প্লাস (Savings Deposit Account Plus) | সেভিংস একাউন্ট | ৫০০০ টাকা। |
| এক্সেল সেভিংস একাউন্ট (Excel Savings Account) | সেভিংস একাউন্ট | ৫০০ টাকা |
| ডিবিবিএল স্কুল সেভার্স একাউন্ট (DBBL School Savers Account) | স্টুডেন্ট একাউন্ট | ৫০০ টাকা |
| ইন্টারেস্ট ফ্রি সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট (Interest Free Savings Deposit Account) | সেভিংস একাউন্ট | ৫০০০ টাকা |
| কারেন্ট ডিপোজিট একাউন্ট (Current Deposit Account) | চলতি হিসাব/কারেন্ট একাউন্ট | ১০০০ টাকা |
| স্পেশাল নোটিস ডিপোজিট একাউন্ট (Special Notice Deposit Account) | ফিক্সড ডিপোজিট | ২০০০ টাকা |
ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম
ডাচ-বাংলা ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খোলার জন্য, নিম্নলিখিত নথিপত্র প্রয়োজন হবেঃ
১. জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)
২. আপনার ছবির পাসপোর্ট সাইজের দুটি কপি
৩. নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এবং তার ছবির একটি কপি
এই নথিগুলো নিয়ে আপনার সর্বনিকটি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শাখা বা ফাস্ট ট্র্যাক অফিসে যান। একাউন্ট খোলার ফরম পেতে অনুরোধ করুন এবং সঠিক তথ্য দিয়ে ফরমটি পূরণ করুন। তারপর প্রয়োজনীয় নথি সহ ফরমটি সম্পূর্ণ করে নিকটস্থ ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শাখায় জমা দিন।
যখন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা আপনার একাউন্ট খুলবেন, তখন আপনাকে ক্যাশ কাউন্টারে প্রাথমিক পরিমাণ জমা দেওয়া প্রয়োজন হবে। একাউন্ট খোলার ১-২ দিনের মধ্যে, আপনি একটি এটিএম কার্ড পাবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
ডাচ-বাংলা ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা অনুসারে নির্দিষ্ট নথি এবং তথ্য সরবরাহ করতে হবে। এই তথ্য ও নথিগুলি হলো:
১। জাতীয় পরিচয় কার্ডের কপি।
২। অবশ্যই ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে।
৩। সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের চারটি রঙিন ছবির কপি।
৪। নমিনির ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি দুটি কপি।
৫। ৫০০ টাকা মিনিমাম জমা।
৬। ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি (প্রয়োজন হতে পারে)।
৭। একটি সুপারিশকারী একাউন্ট (যে কেউ যার একটি DBBL ব্যাংক একাউন্ট আছে)।
৮। ব্যবসায়িক মালিকদের জন্য, ট্রেড লাইসেন্সের প্রয়োজন হতে পারে।
এই নথি সহ আপনি সহজেই ডাচ-বাংলা ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খুলতে পারবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সেভিংস একাউন্টের সুবিধাগুলি হলো:
১। সেভিংস একাউন্ট থেকে চেক সহজেই ইস্যু করা যায়।
২। সেভিংস একাউন্টে ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ করা যায়।
৩। ব্যাংকের যেকোনো শাখায় অর্থ সরবরাহ করা সম্ভব।
৪। ইন্টারনেট ব্যাংকিং (আই-ব্যাংকিং) এবং এসএমএস ব্যাংকিং সেবার সুবিধা।
৫। ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবাসমূহ।
৬। ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার সুযোগ।
৭। DPS (ডিপোজিট পেনশন স্কিম) অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ।
৮। সীমিত এবং অসীমিত লেনদেন সুবিধা।
ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার ফরম
ডাচ-বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য, আপনাকে একটি ফরম সংগ্রহ করতে হবে। আপনি ফরমটি সংগ্রহ করতে নিকটস্থ শাখায় যেতে পারেন অথবা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারেন। DBBL ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো ফরম ডাউনলোড করতে হলে “Download Account Opening Form” এ ক্লিক করুন।
এখান থেকে আপনি ফরমটি পিডিএফ ফাইল হিসেবে ডাউনলোড করতে পারেন এবং পরবর্তীতে এটিকে প্রিন্ট করে ব্যবহার করতে পারবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
ডাচ-বাংলা ব্যাংকে একটি ছাত্র হিসাব খোলার জন্য আপনি নিম্নলিখিত পদক্ষেপ অনুসরণ করতে পারেন:
- আপনার নিকটবর্তী DBBL শাখায় যেতে হবে।
- শাখা থেকে একটি স্টুডেন্ট হিসাব খোলার ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে।
- আবশ্যিক তথ্য সহ ফর্ম পূরণ করতে হবে।
- আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্বারা প্রদত্ত একটি বৈধ স্টুডেন্ট আইডি কার্ড।
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা পাসপোর্টের ফটোকপি।
- পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
- ব্যাংক দ্বারা অনুরোধ করা অন্য যেকোনো নথি।
- আবেদনপত্র পূরণকৃত ফর্ম সহ প্রয়োজনীয় নথি বিনায়ক শাখায় জমা দিতে হবে।
- একটি সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে, ব্যাংক দ্বারা আপনার স্টুডেন্ট হিসাব খোলা হবে।
- আপনাকে তাৎক্ষণিক এটিএম কার্ড প্রদান করা হবে যাতে আপনি অর্থ উত্তোলন করতে পারেন।
- পরবর্তীতে, প্রয়োজন হলে আপনি ব্যাংক থেকে চেকবুক উত্তোলন করতে পারেন।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: সাধারণত, ডাচ-বাংলা ব্যাংকে ছাত্ররা স্টুডেন্ট হিসাব খুলতে উপযুক্ত হন। অন্যান্যরা ব্যাংকে এই ধরনের হিসাব খুলতে অনুমতি পাবেন না।
স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
ডাচ-বাংলা ব্যাংক (ডিবিবিএল) তে একটি ছাত্র হিসাব খোলার জন্য নিম্নলিখিত নথি সংগ্রহ করতে হবে:
১। জাতীয় পরিচয় কার্ড বা জন্ম নিবন্ধনের কপি। ২। আপনার শিক্ষাগত প্রতিষ্ঠান দ্বারা প্রদত্ত ছাত্র আইডি কার্ড। ৩। পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবির দুটি কপি (সাম্প্রতিকভাবে তোলা)। ৪। নমিনির ছবি এবং তারা সনাক্তকরণের তথ্য, যদি প্রয়োজন হয় (ভোটার আইডি কার্ডের সাথে)। ৫। আবেদনকারী যদি ১৮ বছরের কম হয়, তাহলে অভিভাবকের জাতীয় পরিচয় কার্ড এবং ছবির কপি। ৬। ডিবিবিএলে বিদ্যমান অ্যাকাউন্ট ধারীর প্রেরণ (যদি উপলব্ধ হয়)। ৭। একটি সচল মোবাইল নম্বর। ৮। প্রাথমিক বিদ্যালয় সার্টিফিকেট বা মাধ্যমিক শিক্ষা সার্টিফিকেট (কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজন হতে পারে)। ৯। নির্দিষ্ট সীমানা ছাড়া লেনদেন করার জন্য, ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন হতে পারে (ব্যবসায়িক ছাত্রদের জন্য মাত্র প্রয়োজন)।
ছাত্র হিসাব খোলার জন্য নিকটস্থ ডাচ-বাংলা ব্যাংক শাখায় এই নথিগুলি সংগ্রহ করে নিতে অবশ্যই নিশ্চিত হন।
এগুলো পড়তে পারেন
- ট্রাস্ট ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম (100% Latest Update)
- ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম 2024 | ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট সুবিধা এবং অসুবিধা
- দীর্ঘমেয়াদি লোন নেওয়ার সহজ উপায় এবং যেসকল ব্যাংক দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদান করে
স্টুডেন্ট একাউন্টের সুবিধা
ডাচ বাংলা ব্যাংকে স্টুডেন্ট একাউন্টের সুবিধাগুলো হলঃ কোন ফি ছাড়াই তাৎক্ষণিক এটিএম কার্ড ডাচ বাংলা ব্যাংকের যেকোন শাখা থেকে অর্থ জমা-উত্তোলন এবং এটিএম বুথ থেকে খুব সহজেই অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। ডাচ বাংলা ব্যাংকের ছাত্র-ছাত্রী একাউন্ট আপনারা জীবনবর্তী করা যাবে। দ্বিতীয়-পার্শ্বিক প্রামাণীকরণ (টুফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ) ব্যবহার করতে পারবেন। ইন্টারনেট ব্যাংকিং (আই-ব্যাংকিং) ব্যবহার করতে পারবেন। রকেট একাউন্টের সাথে ডাচ বাংলা ব্যাংকের স্টুডেন্ট একাউন্ট সংযুক্ত করতে পারবেন। সেভিংস একাউন্ট থেকে স্টুডেন্ট একাউন্টে সুদের হার অল্প বেশি থাকে। স্টুডেন্ট একাউন্টে সুদের হার সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করা সম্ভব নয়। ডাচ বাংলা ব্যাংকে যোগাযোগ করে এ সম্পর্কে জানতে পারেন। এই লেখাটির শেষে ডাচ বাংলা ব্যাংকের যোগাযোগের ঠিকানা এবং নাম্বার সেই সাথে হেল্পলাইন নাম্বার উল্লেখ করা আছে।
স্টুডেন্ট একাউন্ট এর অসুবিধা
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের স্টুডেন্ট একাউন্টের কিছু সুবিধা থাকলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ অসুবিধা আছে।
অসুবিধা হলো স্টুডেন্ট একাউন্টের চেক জমা দেওয়ার অক্ষমতা। তবে, আশা আছে যে এই সুবিধা ভবিষ্যতের আপডেটে চালু হতে পারে।
এছাড়াও, স্টুডেন্ট একাউন্টের মধ্যে লেনদেনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যদি ব্যালেন্স ৫,০০০ টাকা পার করে, তাহলে প্রতি ছয় মাসে মেনটেনেন্স ফি হবে ১০০ টাকা এবং ১৫ টাকা ভ্যাট প্রদান করতে হবে। এছাড়াও, যদি এক বছরে ব্যালেন্স ১,০০,০০০ টাকা অতিক্রম করে, তাহলে ১৫০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে।
এই অসুবিধা গুলির মধ্যে, মনে রাখা জরুরী যে অন্যান্য ব্যাংকে এমন কোন অসুবিধা নেই। DBBL ডাচ-বাংলা ব্যাংকের স্টুডেন্ট একাউন্টের তুলনায় অনেক আরও সুবিধা সরবরাহ করে।
ডাচ বাংলা ব্যাংকের সুদের হার কত?
ডাচ বাংলা ব্যাংকের নতুন ঋণের জন্য সুদের হার ৮%, আর অন্যান্য ব্যাংক থেকে টেক-ওভার লোনের জন্য এটি ৭.৫০%। ঋণের সর্বাধিক মেয়াদ ৫ বছর পর্যন্ত হতে পারে। তাই, ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে একটি পার্সোনাল লোন নেওয়া অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় একটু সহজ, নিরাপদ এবং ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক সমাধান হতে পারে যা আপনার অর্থনৈতিক প্রয়োজনগুলি পূরণে সাহায্য করতে পারে।
ডাচ বাংলা ব্যাংকের ব্যালেন্স দেখার নিয়ম
একটি ব্যাংকে একাউন্ট খোলার পরে, একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার পরে, আপনি নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে আপনার একাউন্ট ব্যালেন্স চেক করতে পারেন:
- ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে।
- ডাচ বাংলা ব্যাংকের অ্যাপ ব্যবহার করে।
- নিকটস্থ এটিএম বুথের মাধ্যমে আপনার এটিএম কার্ড ব্যবহার করে।
- ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে।
- নেক্সাস পে অ্যাপ ব্যবহার করে।
- মোবাইলে কোড ডায়াল করে।
এছাড়াও, আপনি বিভিন্ন পদ্ধতিতে আপনার ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংকের একাউন্ট চেক করার কোড
ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট চেক করার কোডটি *322#। এই কোড ব্যবহার করে আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকের সমস্ত তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারবেন এবং আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন। ডাচ বাংলা ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম জানতে চাইলে উপরের লেখাগুলির মধ্যে মনোযোগ দিন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক হেল্পলাইন নাম্বার
ডাচ বাংলা ব্যাংকের সম্পর্কিত যেকোনো সাহায্য বা তথ্যের জন্য, ডাচ বাংলা ব্যাংকের হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। ডাচ বাংলা ব্যাংকের হেল্পলাইন নম্বর হলো 16216।
ডাচ বাংলা ব্যাংকের সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য নিয়ের জন্য উল্লিখিত নম্বরে যোগাযোগ করুন। প্রতি মিনিটে টাকা 2.30 টাকা প্রয়োজন। এই ব্যাংকের সেবার সম্পর্কে যেকোনো অভিযোগ করতে, (8802)-9511993 নম্বরে কল করুন, অথবা সরাসরি ইমেল করুন ccs.cmc@dutchbanglabank.com ঠিকানায়।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম (ভিডিও)
FAQs
ডাচ বাংলা ব্যাংকের সেভিংস একাউন্ট খোলার জন্য কত টাকা লাগে?
ডাচ বাংলা ব্যাংকের সেভিংস একাউন্ট খোলার জন্য, সর্বনিম্ন 500 টাকা জমা করতে হবে। তবে, একটি একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে সর্বনিম্ন 1000 টাকা জমা করতে হবে, যেখানে 500 টাকা ব্লক হবে এবং অবশিষ্ট 500 টাকা উত্তোলন বা ব্যবহার করা যাবে।
১৮ বছরের কম বয়সের ব্যক্তিদের কিভাবে ব্যাংক একাউন্ট খোলবে?
১৮ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিদের তাদের অভিভাবকের সাথে যৌথ একাউন্ট খোলতে হবে। এই একাউন্ট যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে। একাউন্ট ধারী ১৮ বছর বয়স পৌঁছালে তিনি নিজেই একাউন্ট চালাতে পারবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য কত টাকা লাগে?
ডাচ বাংলা ব্যাংকের একাউন্ট খোলার জন্য, সেভিংস একাউন্টের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন 500 টাকা, শিক্ষার্থী একাউন্টের ক্ষেত্রে 100 টাকা এবং চলতি একাউন্টের ক্ষেত্রে 1,000 টাকা জমা রাখতে হবে।
Related Things: ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম, ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট দেখার নিয়ম, ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার দেখার নিয়ম, ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে, ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে, ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে, ডাচ বাংলা একাউন্ট চেক, ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার, ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট,
ডাচ বাংলা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অনলাইনে কিভাবে চেক করব, ডাচ-বাংলা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অনলাইনে কিভাবে চেক করব, ডাচ বাংলা একাউন্ট, ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে, ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট চার্জ, ডাচ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং একাউন্ট চেক, ডাচ বাংলা মোবাইল একাউন্ট দেখার নিয়ম, ডাচ বাংলা একাউন্ট খোলার নিয়ম, ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট ব্যালেন্স চেক, ডাচ বাংলা স্টুডেন্ট একাউন্ট, ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট ফরম,