HomeRumorscannerজামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে বক্তব্য দেওয়া এই ব্যক্তি নিহত হননি, জীবিত আছেন

জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে বক্তব্য দেওয়া এই ব্যক্তি নিহত হননি, জীবিত আছেন


সম্প্রতি, এই মানুষটাকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে যে পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন- দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। 

ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একজন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে ইতিবাচক বক্তব্য দিচ্ছেন। 

1 315

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে ইতিবাচক বক্তব্য দেওয়া ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়নি বরং, তিনি এখনো জীবিত আছেন এবং তার ওপর কোনো ধরনের হামলাও হয়নি। ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ব্যক্তি দুইজন ভিন্ন। 

অনুসন্ধানে Kamrul Hasan নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত ০৫ মার্চ প্রচারিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টে থাকা ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে।

1 316
Video Comparison By Rumor Scanner

উক্ত ভিডিওর ক্যাপশনে বক্তব্যরত ব্যক্তিটি পোস্টকারী নিজে দাবি করে বলেন, আমি জীবিত আছি! অনেকেই দেখলাম আমার এই বক্তব্য শেয়ার/পোস্ট করে বলছেন সাতকানিয়া শহীদ ২ জনের ১জনের বক্তব্য এটা। এটা গুজব। আমি নিহত কিংবা শহীদ হইনি। আমি জীবিত আছি আলহামদুলিল্লাহ। 

পরবর্তীতে Kamrul Hasan নামক ফেসবুকে অ্যাকাউন্টটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, প্রচারিত ভিডিওতে বক্তব্যরত ব্যক্তিই উক্ত ব্যক্তি। 

এছাড়া, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গত ০৪ মার্চ প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ০৩ মার্চ রাতে সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় মসজিদের মাইকে ডাকাত এসেছে ঘোষণার পর পিটুনিতে দুজন নিহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের মধ্যম কাঞ্চনা এলাকার মাহমুদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন (৪৫) ও একই ইউনিয়নের গুরগুরি এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ছালেক (৩৫)। 

প্রথম আলোকে জামায়াতে ইসলামীর সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের সেক্রেটারি জায়েদ হোছেনের দেওয়া বক্তব্যে বলা হয়, নিহত ব্যক্তিরা জামায়াতের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওতে থাকা ব্যক্তি নয় বরং, ভিন্ন দুই ব্যক্তিকে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।

সুতরাং, জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে ইতিবাচক বক্তব্য দেওয়া ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করার দাবিটি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular