Homeলোনজরুরী লোন বাংলাদেশ থেকে নেওয়ার 100% কার্যকরী উপায়

জরুরী লোন বাংলাদেশ থেকে নেওয়ার 100% কার্যকরী উপায়

বর্তমানে জরুরী লোন বাংলাদেশ ২০২৪ সম্পর্কে গুগলে প্রচুর সার্চ হচ্ছে। বিভিন্ন প্রয়োজনে জরুরি লোন নেয়ার জন্য সর্বস্তরের জনগণ আগ্রহ প্রকাশ করছে। কিন্তু স্বল্প সময়ে কিভাবে জরুরী লোন নিতে হয় এবং কোন কোন ব্যাংকগুলো জরুরী লোন প্রদান করে তা সম্পর্কে অনেকেরই জানা নেই।

জরুরী লোন কি? জরুরী লোন কিভাবে কাজ করে? জরুরী লোন পাওয়ার উপায় সমূহ কি কি? কোন কোন ব্যাংক জরুরী লোন প্রদান করে? জরুরী লোন এর সুবিধা ও অসুবিধা সহ জরুরী লোন সম্পর্কে সকল ধরনের প্রশ্ন এবং উত্তর নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 

আপনি যদি দ্রুত লোন পেতে চান অর্থাৎ যে কোন ব্যাংক, এনজিও থেকে জরুরী লোন নিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে জরুরি লোন পাবার জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে হবে। যেহেতু আজকের এই আর্টিকেল শুধুমাত্র জরুরী লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে তাই, জরুরী লোন আবেদনের প্রক্রিয়া এবং জরুরী লোন পাওয়ার নিয়ম, এবং জরুরি লোন পরিশোধ করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

তাই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। তাহলে চলুন নতুন নিয়মে ২০২৪ সালে জরুরী লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা শুরু করি।

Table of Contents

জরুরী লোন কি ?

জরুরি লোন হল এমন একটি লোন বা ঋণ ব্যবস্থা যেখানে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক লেনদেন প্রতিষ্ঠান ব্যাংক অথবা এনজিও সর্বস্তরের জনগণকে খুব দ্রুত সময়ে শর্তসাপেক্ষে লোন বা ঋণ প্রদান করে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশী নাগরিকদের মধ্যে জরুরী লোন বাংলাদেশ আবেদনের চাহিদা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

পারিভাষিক সংজ্ঞা: যেকোনো ব্যাংক অথবা এনজিও থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সহজ লোন গ্রহণ করার পদ্ধতিকে জরুরি লোন বলা হয়। 

সাধারণ ভাষায়, জরুরি প্রয়োজনে সর্বস্তরের জনগণ দ্রুত সময় যে লোন গ্রহণ করেন তাকেই জরুরি লোন বলা হয়।

মূলত জরুরী লোন বা ঋণ হল একটি আর্থিক উপকরণ যা অপ্রত্যাশিত এবং জরুরী পরিস্থিতির সম্মুখীন ব্যক্তিদের দ্রুত এবং অস্থায়ী আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত করা একটি লোন স্কিম। এই লোনগুলো বিশেষভাবে তাত্ক্ষণিক আর্থিক প্রয়োজনে ব্যবহার করার জন্য তৈরি করা হয়েছে, যা জরুরি কাজে প্রয়োজন এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রতিকার প্রদান করে।

জরুরী লোনের মূল বৈশিষ্ট্য:

দ্রুত আবেদন গ্রহণ: যেকোনো জরুরী প্রয়োজনে ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক বা সংস্থাগুলো ঋণগ্রহীতার জরুরি লোন আবেদন গ্রহণ করে এবং ভেরিফাই করে যে ঋণ গ্রহীতা ব্যক্তি অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। এক্ষেত্রে যদি আবেদনকারীর সকল তথ্য এবং ইনফরমেশন ঠিকঠাক থাকে তাহলে দ্রুত আবেদন গ্রহণ করে তাকে জরুরি লোন দেওয় হয়। 

স্বল্প মেয়াদী লোন: দীর্ঘ পরিশোধের শর্তাবলী সহ প্রচলিত লোনের বিপরীতে, জরুরী লোন সাধারণত স্বল্প মেয়াদের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়। স্বল্প মেয়াদী জরুরি লোন বিভিন্ন প্রয়োজনে  আর্থিক সংকটের সাময়িক এবং জরুরী অবস্থার মোকাবেলা করার লক্ষ্য রাখে।

গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার : যদিও জরুরী ঋণ প্রায়ই নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়, যেমন চিকিৎসা খরচ বা হঠাৎ বাড়ি মেরামত, এ ধরণের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারের জন্য জরুরি লোন দরকার হয়। এ ধরনের জরুরী লোন গ্রাহকদের সবচেয়ে চাপের মূহুর্ত গুলো মোকাবেলা করতে সহযোগিতা করে।  

সহজ আবেদন প্রক্রিয়া: দ্রুত লোন সুবিধার্থে, জরুরী লোনের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সহজবোধ্য করার জন্য নির্দিষ্ট স্কিম রয়েছে। লোন গ্রহীতাদেরকে বিভিন্ন অপ্রত্যাশিত সময়কে মোকাবেলা করার জন্য জরুরী লোন আবেদন প্রক্রিয়া অনেক সহজ করা হয়েছে।

বিভিন্ন উৎস: আর্থিক লেনদেন প্রতিষ্ঠান, অনলাইন ঋণদাতা বা সরকার-সমর্থিত প্রোগ্রাম সহ বিভিন্ন উৎস থেকে জরুরী লোন পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে জরুরী লং গ্রহীতা ব্যক্তি যে সকল উৎস পছন্দ করেন সেই উৎস থেকে জরুরী লোন পেতে পারেন।

সুদের হার এবং পরিশোধের শর্তাবলী: যদিও জরুরী লোনের সুদের হার পরিবর্তিত হতে পারে, তবে জরুরি লোন সাধারণত প্রচলিত লোনের তুলনায় পরিশোধ করতে সুদের হার বেশি প্রদান করতে হয়। লোনগ্রহীতাদের সতর্কতার সাথে শর্তাবলী পর্যালোচনা করা উচিত, ঋণ পরিশোধের প্রয়োজনীয়তা এবং সুদের হার সম্পর্কে অবশ্যই জানা উচিৎ।

বাংলাদেশের বেস্ট ইনভেসমেন্ট সেক্টর 2024

বাংলাদেশে জরুরী লোনের তাৎপর্য

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, যেখানে অর্থনৈতিক গতিশীলতা এবং ব্যক্তিগত আর্থিক পরিস্থিতি অপ্রত্যাশিত হয়ে থাকে, সেখানে জরুরী লোন ব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

এটি আকস্মিক এবং চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির সম্মুখীন ব্যক্তি এবং পরিবারগুলোর জন্য অর্থনৈতিক ব্যাকআপ হিসাবে কাজ করে, যা জরুরী অর্থের চাহিদাগুলোকে সম্পূর্ণ করা যায়।  

এই লোনগুলো আর্থিক বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয়তায় অবদান রাখে, যা ঋণ গ্রহীতাদের দীর্ঘায়িত আর্থিক চাপের সম্মুখীন না হয়ে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিকে সহনীয় করতে সহায়তা করে। সহজ আবেদন প্রক্রিয়া, দ্রুত লোন গ্রহণ, নিশ্চিত করে যে প্রতিকূলতার মুখে স্থিতিশীলতার সকল পরিস্থিতি সমাধান করতে পারে।

সহজ কথা, বাংলাদেশে জরুরী লোন ব্যবস্থা অর্থনৈতিক আশীর্বাদ হিসাবে কাজ করে, যা ব্যক্তিদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে তাৎক্ষণিক আর্থিক সহযোগিতা করে মানুষের জীবনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে।

জরুরী লোন এর সুবিধা

জরুরী লোন এর সুবিধা অসুবিধা
জরুরী লোন এর সুবিধা অসুবিধা

মানুষ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সমস্যায় পড়লেই কেবলমাত্র জরুরী লোন নিতে চায়। জরুরী লোনের অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুবিধাগুলো হলো:

  • হিসাবি একাউন্ট খোলার প্রয়োজন নেই। 
  • খুব সহজেই আবেদন করা যায়। 
  • অফলাইন এবং অনলাইনে লোন নেয়া যায়।
  • স্বল্প সময়ে দ্রুত অর্থের চাহিদা পূরণ হয়।
  • টাকার পরিমাণ সাধারণত বেশি হয়।
  • চাপের মূহুর্ত গুলো মোকাবেলা করতে সহযোগিতা করে।
  • জামানত প্রয়োজন নেই।

জরুরী লোন এর অসুবিধা

পৃথিবীতে যতগুলো ব্যাংক কিংবা এনজিও লোন রয়েছে সেগুলোর কোন না কোন দিক থেকে কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা থাকে। ঠিক একই ভাবে জরুরী লোনের কিছু অসুবিধা রয়েছে। জরুরী লোনের অসুবিধা হল:

  • সুদের হার অনেক বেশি।
  • লোন পরিশোধ করার সময়সীমা কম।
  • ঋণদাতা সংস্থা, প্রতিষ্ঠান অনেক কম।
  • লোন নেওয়ার কারণ নির্দিষ্ট (অপ্রত্যাশিত সময় বা জরুরী মুহূর্ত)। 
  • সর্বস্তরের সাধারন মানুষের জন্য উপযুক্ত নয়।
নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খোলার নিয়ম

জরুরী লোন নেয়ার আগে সতর্ক বাণী

আপনার যদি অপ্রত্যাশিত সময় মোকাবেলা করার জন্য টাকার প্রয়োজন হয় আর আপনি যদি সেক্ষেত্রে জরুরী লোন নিতে চান তবে জরুরী লোন নেয়ার আগে আপনাকে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। জরুরী লোন নেয়ার আগে যে সকল বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি তা দেখে নিন।

সুদের হার: জরুরী লোনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যাংক বা এনজিও বিভিন্ন সর্বনিম্ন ৯% থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৬% পর্যন্ত সুদ নিয়ে থাকে। আপনি যে ব্যাংক অথবা এনজিও থেকে জরুরী ঋণ নিতে চান তাদের সুদের পরিমাণ জানুন এবং সেই সুদসহ মূল ঢাকা পরিশোধ করতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত হন।

পরিশোধের সময়কাল: জরুরী লোন পরিশোধের সময়কাল সাধারণত তিন মাস থেকে এক বছর সময় পর্যন্ত হতে পারে। তবে স্থান কাল পাত্র ভেদে বিভিন্ন ব্যাংক অথবা এনজিওর ঋণ পরিশোধের সময়কাল কম-বেশি হতে পারে এবং ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। আপনি যে স্থানে বসবাস করেন আপনার আঞ্চলিক পর্যায়ে যে সকল ব্যাংক এবং এনজিও রয়েছে যারা জরুরী ঋণ প্রদান করে তাদের সেই লোন পরিশোধের সময়কাল সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে জেনে নিতে হবে।

আর্থিক সমর্থ্য অনুযায়ী ঋণ: জরুরী লোন নেয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনার আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী আপনি কি পরিমাণ অর্থ লোন হিসেবে গ্রহণ করার যোগ্যতা রাখেন তা নিজেকেই নির্ধারণ করতে হবে।

জরুরী লোন এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

জরুরী লোন এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
জরুরী লোন এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

বাংলাদেশের জরুরী ঋণ পেতে হলে সাধারণত যে সকল ডকুমেন্টসের প্রয়োজন হবে তা নিচে উল্লেখ করা হলো।

জরুরী লোন আবেদনের জন্য যে সকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন;

  • আবেদন ফরম সংগ্রহ করে তা সঠিকভাবে পূরণ।
  • জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদ/পাসপোর্ট/চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট/ড্রাইভিং লাইসেন্স এর এক কপি।
  • আবেদনকারী প্রাপ্তবয়স্ক না হলে জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপির সাথে অভিভাবকদের জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিতে হয়।
  • সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি।
  • আবেদনকারীরর দ্বারা নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি ও ছবি সত্যায়িত করে জামা দিতে হবে।
  • ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ/পানি/গ্যাস/ইন্টারনেট বিল) ইত্যাদি।
  • আবেদনকারীর স্বাক্ষর ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট।

আবেদনপত্র: আবেদনপত্রে ঋণ গ্রহীতার নাম, ঠিকানা, যোগাযোগের তথ্য, মাসিক আয় এবং লোনের প্রয়োজনীয়তার বিবরণ বর্ণনা করবেন।

অনুমতি পত্র: যে ব্যক্তি জরুরী ঋণ নিতে চায় অর্থাৎ লোন গ্রহিতা যদি চাকরিজীবী হয়ে থাকে তাহলে তার নিয়োগকর্তা অথবা তার চাকরিরত প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে একটি অনুমতি পত্রের প্রয়োজন হবে।

আয়ের প্রমান: দ্রুত লোন গ্রহনকারীর মাসিক ইনকামের প্রমান হিসেবে শেষ মাসের পে-স্লিপ/ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা অন্যান্য আয়ের দলিলের ফটোকপি দরকার হতে পারে।

ইসলামী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম

জরুরী লোন বাংলাদেশ থেকে পাওয়ার উপায়

জরুরী লোন বাংলাদেশ থেকে পাওয়ার উপায়
জরুরী লোন বাংলাদেশ থেকে পাওয়ার উপায়

বাংলাদেশের যে কেউ অতি দ্রুত জরুরি লোন পাওয়ার জন্য অনেকগুলো আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিংবা এনজিওতে আবেদন করতে পারবেন। জরুরী লোন প্রদান করে এরকম জনপ্রিয় ১০টি ব্যাংক এবং এনজিও সেই সাথে জরুরী লোন বাংলাদেশ থেকে পাওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে নিম্নে বর্ণনা করা হলো;

ব্যাংক থেকে জরুরী লোন: বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিকা অনুসারে নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে যেকোন সরকারী,বেসরকারি ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকের জরুরি লোন প্রদান করে থাকে। উল্লেখ্য যে কোন ব্যাংকের জরুরী লোন গ্রহণ করলে গ্রাহককে সাধারণত ৯ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ সুদ সহ জরুরী লোনের টাকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়।

জরুরী লোন দেয় যে ১০টি ব্যাংক

  1. ব্র্যাক ব্যাংক
  2. সিটিটাচ কুইক লোন সার্ভিস
  3. ইসলামী ব্যাংক
  4. ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড
  5. সোনালী ব্যাংক লিমিটেড
  6. স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক
  7. ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড
  8. মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড
  9. পূবালী ব্যাংক লিমিটেড
  10. জনতা ব্যাংক

ব্র্যাক ব্যাংক পার্সোনাল লোন

ব্র্যাক ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা পার্সোনাল লোন নিতে পারবেন। লোন গ্রহীতার আয় অনুযায়ী যোগ্যতা থাকলে এই কেবলমাত্র এই জরুরী ঋণ সুবিধা পাবেন। ব্র্যাক ব্যাংকের এই পার্সোনাল লোনের সুদের হার ৯% এবং প্রসেসিং ফি ২% নির্ধারণ করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

ব্র্যাক ব্যাংক পার্সোনাল লোনের সুবিধা

ব্র্যাক ব্যাংক পার্সোনাল লোন এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আর্থিক চাহিদা পূরণ হওয়ার পাশাপাশি অনেকের অপ্রত্যাশিত সময় গুলো ব্র্যাক ব্যাংকে পার্সোনাল লোনের মাধ্যমেই সমাধান হয়ে থাকে। ব্র্যাক ব্যাংক পার্সোনাল লোন নিয়ে আপনি যেকোনো সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি বাড়ি মেরামত, দোকান ক্রয়, জায়গা জমি ক্রয়, চিকিৎসা খরচ সহ আরো নানান ধরনের কাজে এই ঋণের টাকা ব্যবহার করতে পারবেন। 

ব্র্যাক ব্যাংক পার্সোনাল লোন নিলে কি কি সুবিধা পাবেন তা নিচে তুলে ধরা হলো:

ঋণের পরিমাণসাধারণত প্রথম দিক থেকেই ১,০০,০০০ টাকা থেকে ২০,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংক পার্সোনাল লোন নিতে পারবেন।
পরিশোধের সময়কালব্র্যাক ব্যাংক পার্সোনাল লোন পরিশোধের সময়কাল সাধারণত ১২ মাস থেকে ৬০ মাস পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটি একটি খুব ভালো ব্যাপার যে আপনি দীর্ঘ সময় নিয়ে আপনার এই জরুরী লোন পরিশোধ করতে পারবেন।
সুদের হারব্র্যাক ব্যাংক পার্সোনাল লোনের সুদের হার ৯% যা অন্যান্য ঋণদাতা সংস্থা বা এনজিওর তুলনায় কিছুটা কম। আমরা সকলেই জানি জরুরী ঋণ নিলে সেখানে সুদের হার একটু বেশি থাকে। তবে ব্র্যাক ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করলে সেখানে সুদের হার ৯% ধরা হয়।
মুদ্রাস্ফীতি নেইব্র্যাক ব্যাংক পার্সোনাল লোন নিলে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে টেনশন করতে হবে না। টাকার মান যেহেতু প্রতিনিয়ত ওঠা নামা করে তাই মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে ব্র্যাক ব্যাংক জরুরী ঋণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
সাপোর্টযেকোনো প্রয়োজনে তাদের গ্রাহকদের সাথে মতবিনিময় করে এবং পার্সোনাল লোন সম্পর্কে তাদের সাথে অনলাইনে কিংবা অফলাইনে যোগাযোগ করা যায়।

ব্র্যাক ব্যাংক পার্সোনাল লোনের পরিমাণ, সুদ, ও মেয়াদ কত ?

পার্সোনাল লোনের পরিমাণ: ১,০০,০০০ টাকা থেকে ২০,০০,০০০ টাকা।
সুদের হার: ৯%
মেয়াদ: ১২ মাস থেকে ৬০ মাস।

ব্র্যাক ব্যাংক পার্সোনাল লোনের জন্য আবেদন

খুব সহজেই “ব্র্যাক ব্যাংক পার্সোনাল লোন” এর আবেদন করা যায়। ব্র্যাক ব্যাংক পার্সোনাল লোন এর আবেদন করার জন্য লোন গ্রহীতার মাসিক আয় ও প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্য দিয়ে পার্সোনাল লোনের পরিমাণ নির্ধারণ করে আবেদন করতে পারেন। পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারবেন। আপনি চাইলে ব্যাংকে না গিয়ে পার্সোনাল লোনের জন্য ঘরে বসে আবেদন করতে পারবেন।

ব্র্যাক ব্যাংক পার্সোনাল লোন নেয়ার পরিপূর্ণ গাইডলাইন

সিটিটাচ কুইক লোন সার্ভিস (অনলাইন লোন)

সিটিটাচ কুইক লোন সার্ভিস
সিটিটাচ কুইক লোন সার্ভিস

এখন থেকে জরুরী প্রয়োজনে ঘরে বসেই লোন পাওয়া যাবে সিটিটাস কুইক লোন সার্ভিস ব্যবহারের মাধ্যমে। বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন প্রয়োজনে অনেকের টাকার প্রয়োজন হয়। যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বাড়ি মেরামত, নিকটাত্মীয়ের বিয়ে কিংবা পরিবারের কেউ হাসপাতালে ভর্তি হলে এমন অপ্রত্যাশিত সময়ে তাৎক্ষণিক ভাবেই টাকার প্রয়োজন হয়ে থাকে।

এমত অবস্থায় মানুষ প্রথমেই তাদের নিকটাত্মীয় অথবা পাড়া প্রতিবেশীদের কাছ থেকে টাকা ধার চেয়ে থাকেন। কিন্তু বেশিরভাগ সময় অন্যের কাছে ধার করার ব্যাপারটাই ভবিষ্যতে জটিল আকার ধারণ করে।

এছাড়াও যদি কেউ ব্যাংক থেকে লোন নিতে চায় তাহলে তাকে অনেক লম্বা সময় ধরে বিভিন্ন ক্রাইটেরিয়া অবলম্বন করতে হয়। আবেদন করার পরে ঋণগ্রহীতার কাগজপত্র প্রসেস হতেও অনেকটা সময় লাগে। এরপর ব্যাংকে যাওয়া-আসা আর কাগজপত্র ঠিকঠাক করার ঝামেলা তো আছেই।

আবার অনেকে আছে জরুরি ভিত্তিতে ঋণ পাওয়ার জন্য ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট ভেঙে টাকা উত্তোলন করেন। তবে যে কোন প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম হওয়ার পূর্বেই ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট ভেঙে টাকা উত্তোলন করলে সেখান থেকে প্রতি মাসের ইন্টারেস্ট পাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। আর এ কারণেই সিটিটাস ব্যাংক একটি লোন স্কিম চালু করেছে যার নাম হচ্ছে সিটিটাচ কুইক লোন সার্ভিস

সিটিটাচ কুইক লোন সার্ভিস কারা পাবেন?

সিটিটাচ ব্যাংকে যাদের এফডি অ্যাকাউন্ট রয়েছে, কেবলমাত্র তাদেরকে ঋণ সেবা দেয়ার জন্যেই সিটিটাচ নিয়ে এসেছে কুইক লোন সার্ভিস।

সিটি ব্যাংকের গ্রাহকরা কুইক লোন সার্ভিসের মাধ্যমে কোনো ধরনের জটিলতা ছাড়াই ব্যাংক দ্রুত লোন নিতে পারবেন। যেকোনো জায়গা থেকে সিটিটাচ মোবাইল অ্যাপ কিংবা ওয়েব ব্রাউজার থেকে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে লগইন করার পর জ ঋণের জন্যে আবেদন করতে পারবেন।

সপ্তাহের সাত দিন যেকোনো দিনের মধ্যে দুপুর বারোটার ১২ পূর্বে মধ্যে জরুরী লোন আবেদন করলে সেদিনই গ্রাহককে জরুরী লোনের টাকা দিয়ে দেয়া হয়। যদি কেউ বেলা ১২টার পরে আবেদন করে তাহলে তাকে পরের দিন লোন দেয়া হয়।

সিটিটাচ ব্যাংক থেকে কত টাকা জরুরি লোন নেয়া যায়?

সাধারণত, সিটিটাচ ব্যাংকের গ্রাহকরা কুইক লোন সার্ভিসের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা জরুরী ঋণ আবেদন করতে পারবেন। তবে ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্টের বিপরীতে জমা রাখা মোট টাকার পরিমাণের ৯০ শতাংশ পর্যন্ত জরুর ঋণ নিতে পারবেন। 

সিটিটাচ ব্যাংক থেকে কুইক লোন নেওয়ার সুবিধা

  • সিটিটাচ ব্যাংক থেকে কুইক লোন নেওয়ার সুবিধা হল জরুরি প্রয়োজনে গ্রাহকদের এফডি অ্যাকাউন্ট ভেঙ্গে টাকা উত্তোলন করতে হবে না। 
  • অ্যাকাউন্টে রাখা টাকার ওপরে প্রতি মাসে ইন্টারেস্ট পেতে থাকবে।
  • যে উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্যে ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল, তার ভবিষ্যৎও নিরাপদ থাকবে।
  • কুইক লোন সার্ভিসের মাধ্যমে ঋণ নিতে গেলে সেক্ষেত্রে প্রসেসিং ফি মাত্র ২ শতাংশ। 
  • কুইক লোন ঋণের মেয়াদ ৩ থেকে ৬ মাস।

সিটিটাচ ব্যাংক থেকে কিভাবে জরুরি লোন নিবেন

  • সিটিটাচ ব্যাংক থেকে কিভাবে জরুরি লোন নিবেন
  • প্রথমেই  গুগল প্লে স্টোর থেকে সিটিটাচ কুইক লোন এপ্লিকেশন ডাউনলোড করুন।
  • সিটিটাচ অ্যাপে লগইন করুন। 
  • সেখান থেকে ‘মোর’ (More) অপশনে গিয়ে ‘লোন সার্ভিসেস’ (Loan Services) সিলেক্ট করুন। 
  • এর পরে আপনার স্ক্রিনে আসা মেন্যু থেকে ‘অ্যাপ্লাই ফর কুইক লোন’ (Apply for Quick Loan) অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • প্রয়োজনীয় তথ্য দিন। 
  • তথ্য পূরণ করে নিমেষেই আপনি কুইক লোনের জন্যে আবেদন করতে পারবেন।

ইসলামী ব্যাংক থেকে জরুরি লোন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের প্রচলিত ব্যাংক গুলোর মধ্যে বিশ্বস্ত বেসরকারী বাণিজ্যিক ব্যাংক। আর্থিক লেনদেন এবং বেসরকারি বানিজ্যিক খাতে ইসলামী ব্যাংকের চাহিদা সর্বস্তরের নাগরিকদের মধ্যে দিন দিন বেড়েই চলেছে। যে কেউ চাইলে ইসলামী ব্যাংক থেকে দ্রুত লোন নিতে পারবেন। তবে এর জন্য ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কিছু নির্দেশনা এবং টার্ম এন্ড কন্ডিশন মেনে নিতে হবে।

অপ্রত্যাশিত মুহূর্তে ইসলামী ব্যাংক হতে জরুরী লোন নেয়ার আবেদন করতে পারবেন। ইসলামী ব্যাংক থেকে জরুরী ঋণ নেয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এখানে সুদের হার অনেক কম। চক্রবৃদ্ধি হারে ইসলামী ব্যাংক থেকে যে লোন নেয়া হয় পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তারা সুদ গ্রহণ এই করে না এবং সুদ দেয় না অর্থাৎ তারা মুদারাবা সিস্টেমে অর্থনৈতিক লেনদেন পরিচালনা করে।

ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম 2024

ইসলামী ব্যাংকের যে সকল লোন প্যাকেজ রয়েছে তা নিচে বর্ণনা করা হলো:

ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি

সলামী ব্যাংক ইসলামের শরিয়া নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে। ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি নিয়ে যদি আমরা আলোচনা করতে যাই তাহলে আজকের এই আর্টিকেল অনেক বড় হয়ে যাবে। কিভাবে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হয়, ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার ও কি কি, ইসলামী ব্যাংকের সুদের হার কত, ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে “ ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম 2024-ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট সুবিধা এবং অসুবিধা” এই আর্টিকেলটি পড়ে নিতে পারেন। তবে সংক্ষিপ্ত আকারে ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে নিচে তুলে ধরা হলো:

  • সুদ ছাড়া লেনদেন (রিবা)
  • লাভ এবং ক্ষতি ভাগাভাগি
  • ওয়াকালাহ (এজেন্সি)
  • হালাল বিনিয়োগ
  • ইসলামী ব্যাংক ডেবিট কার্ড
  • অনলাইন ব্যাঙ্কিং
  • দাতব্য অবদান (যাকাত)

ইসলামী ব্যাংক পার্সোনাল লোন

অনেকেই ইসলামী ব্যাংক পার্সোনাল লোন সম্পর্কে জানতে চাই কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে আপনাকে জানাতে হচ্ছে যে, ইসলামী ব্যাংক পার্সোনাল লোন দেয় না। দেশে প্রচলিত ব্যাংকে পার্সোনাল লোন ব্যবস্থা থাকলেও ইসলামী ব্যাংকে তা নেই। 

এখন হয়তো আপনি প্রশ্ন করতে পারেন তাহলে কি আমি আমার পার্সোনাল লোন আমি ব্যাংক থেকে নিতে পারবো না। এখন আসলে ব্যাপারটা আপনাকে বুঝিয়ে বলি, ইসলামী ব্যাংক পার্সোনাল লোন না দিলেও আপনি ইসলামী ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন এর মতো আর্থিক চাহিদা মেটাতে পারবেন। 

দেশের প্রচলিত অন্যান্য ব্যাংক যে আর্থিক সুবিধা দিয়ে “পার্সোনাল লোন” নামে পরিচিতি লাভ করেছে ঠিক একই আর্থিক সুবিধা ইসলামী ব্যাংক থেকে পাবেন। তবে পার্সোনাল লোন স্কিম এর বিপরীতে “হাউজহোল্ড ইনভেস্টমেন্ট লোন“ গ্রহণ করার মাধ্যমে। হয়তো আপনি খেয়াল করেছেন যে এই লোনের সাথে হাউস বা বাড়ির কথাটি যুক্ত আছে কিন্তু, হাউজহোল্ড ইনভেস্টমেন্ট লোনের টাকা আপনার ব্যক্তিগত যেকোনো কাজের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।

ইসলামী ব্যাংক পার্সোনাল লোন নেয়ার পদ্ধতি দেখুন

ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি

বাংলাদেশি যেসব নাগরিক শ্রম ভিসা প্রবাসে অবস্থান করছেন কেবলমাত্র তারাই “ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন” নিতে পারবেন। তবে ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান আপডেট অনুযায়ী জানা গেছে, যদি কোন প্রবাসী ভাই বা বোন প্রবাস ছেড়ে দেশে ফেরত আসে সে ক্ষেত্রে তিনি ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন আবেদন করতে পারবেন। 

ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল লোন গ্রহীতা প্রবাসীর দেশে থাকা পরিবারের লোকজনও এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে অবশ্যই প্রবাসীর পাসপোর্ট, যে কোম্পানিতে চাকরি করেন ওই কোম্পানির শেষ মাসের বেতনের রশিদ, কোম্পানিতে নিয়োগ পত্রের প্রমাণাদি সহ আরো অন্যান্য ডকুমেন্টস প্রয়োজন হতে পারে।

লোন প্রার্থী বিদেশের যে কোম্পানীতে চাকরি করেন ঐ কোম্পানীর বেতন রশিদ,নিয়োগ পত্রের পাশাপাশি অন্য প্রয়োজনীয় সব ডুকুমেন্ট সাথে আনতে হবে।

ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি দেখে নিন

ইসলামী ব্যাংক সিসি লোন (দ্রুত লোন )

আপনারা অনেকেই (Cash Credit) ক্যাশ ক্রেডিট বা সিসি লোন সম্পর্কে শুনেছেন। আবার অনেকেই অলরেডি ক্যাশ ক্রেডিট বা সিসি লোন সুবিধা ভোগ করছেন। আবার অনেকেই জানতে চান সিসি লোন কি?

সিসি লোন কি এবং সিসি লোন কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে তুলে ধরা হলো:

মূলত ক্যাশ ক্রেডিট বা সিসি লোন ব্যবসায়ীদের কাছে একটি জনপ্রিয় স্বল্পমেয়াদি লোন স্কিম। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ীদের কে বা কোম্পানিকে স্বল্প সময়ের জন্য বিশেষ করে এক বছরের জন্য (Cash Credit) ক্যাশ ক্রেডিট বা সিসি লোন সুবিধা দিয়ে থাকে। সিসি লোন এর একটি নির্দিষ্ট লিমিট থাকে।

মনে করুন, ব্যাংক যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১০ লক্ষ টাকা সিসি লোন দিয়ে থাকে, তাহলে ওই ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান তার একাউন্ট থেকে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা উত্তোলন করতে পারবে। সিসি লোনের মেয়াদ সাধারণত এক বছরের জন্য হয়ে থাকে। এবং সিসি লোন উত্তোলনের পর ওই ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান এই সিসি লোন একাউন্টে যতবার ইচ্ছা ততবার লোনের টাকা জমা দিতে পারবে এবং প্রয়োজন হলে পুনরায় উত্তোলন করতে পারবে। 

অর্থাৎ সহজ ভাষায় “সিসি লোন একাউন্ট ধারী ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন হলেই অ্যাকাউন্ট হতে টাকা উত্তোলন করতে পারবে এবং প্রয়োজন শেষ হলে আবার লোনের টাকা ঐ একাউন্টে জমা দিতে পারবেন।

প্রয়োজন না হলে প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যবসায়ীরা তাদের অলস টাকা হাতে জমা না রেখে এই সিসি লোন একাউন্টে জমা দিয়ে দেয়, যার ফলে এক বছরের জন্য যে সিসি লোন গ্রহণ করেছিল তার ইন্টারেস্ট বা সুদের হার কমে যায়।

তাই বলা যায় সিসি লোন ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত সুবিধা জনক। আপনি খেয়াল করে দেখবেন আমাদের দেশে যত ছোট এবং বড় ব্যবসায়ী রয়েছে প্রায় শতকরা ৮৭% ব্যবসায়ীদের সিসি লোন রয়েছে।

বিঃদ্রঃ সিসি লোন নিতে হলে অবশ্যই লোন গ্রহীতার জমির দলিল, বাড়ি ঘর, বা বিভিন্ন ধরনের এসেট ব্যাংকের কাছে জামানত রাখতে হবে। জমির ক্ষেত্রে মোর্টগেজ রেজিস্ট্রি করে নেয়। যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সিসি লোন নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে পরিশোধ করতে না পারে তাহলে মোর্টগেজ রেজিস্ট্রি করা ঐ জমির ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নিজের আমলে নিয়ে উক্ত সিসি লোন পরিশোধ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করবে। বিভিন্ন ব্যাংকের নিয়মাবলির মতোই ইসলামী ব্যাংকের টার্ম্স এন্ড কন্ডিশন গুলো ফলো করে সিসি লোন নিতে পারবেন।

ইসলামী ব্যাংক সিসি লোন নেয়ার উপায়

ইসলামী ব্যাংক কৃষি লোন পদ্ধতি

ইসলামী ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট

ইসলামী ব্যাংক হোম লোন ইন্টারেস্ট রেট

সোনালী ব্যাংক লিমিটেড

ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক

ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড

পূবালী ব্যাংক লিমিটেড

জনতা ব্যাংক

ট্রাস্ট ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

এনজিও থেকে জরুরী লোন: বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি (NGO) এনজিও বা বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা জরুরী লোন প্রদান করে থাকে। তবে তাদের এই জরুরি ঋণের সুদের হার সাধারণত ১২% থেকে ১৫% এর মধ্যে হয়ে থাকে।

জরুরী লোন দেয় যে ১০টি এনজিও (NGO)

  1. ব্র্যাক ব্যাংক
  2. আশা
  3. কারিতাস বাংলাদেশ
  4. কেয়ার বাংলাদেশ
  5. বুরো বাংলাদেশ
  6. অক্সফাম বাংলাদেশ
  7. উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন (WMF)
  8. শক্তি ফাউন্ডেশন
  9. জাগোরানী চক্র ফাউন্ডেশন (জেসিএফ)
  10. টিএমএসএস

ব্র্যাক ব্যাংক জরুরী লোন বাংলাদেশ ২০২৪

ব্র্যাক ব্যাংক জরুরী লোন

Ranking 01
TELEPHONE88 02 2222 81265
ADDRESSDhaka, Bangladesh
EMAILinfo@brac.net
WEBSITEbrac.net

আশা

Ranking 01
TELEPHONE88 02 2222 81265
ADDRESSDhaka, Bangladesh
EMAILinfo@brac.net
WEBSITEbrac.net

কারিতাস বাংলাদেশ

Ranking 01
TELEPHONE88 02 2222 81265
ADDRESSDhaka, Bangladesh
EMAILinfo@brac.net
WEBSITEbrac.net

কেয়ার বাংলাদেশ

Ranking 01
TELEPHONE88 02 2222 81265
ADDRESSDhaka, Bangladesh
EMAILinfo@brac.net
WEBSITEbrac.net

বুরো বাংলাদেশ

Ranking 01
TELEPHONE88 02 2222 81265
ADDRESSDhaka, Bangladesh
EMAILinfo@brac.net
WEBSITEbrac.net

অক্সফাম বাংলাদেশ

Ranking 01
TELEPHONE88 02 2222 81265
ADDRESSDhaka, Bangladesh
EMAILinfo@brac.net
WEBSITEbrac.net

উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন (WMF)

Ranking 01
TELEPHONE88 02 2222 81265
ADDRESSDhaka, Bangladesh
EMAILinfo@brac.net
WEBSITEbrac.net

শক্তি ফাউন্ডেশন

Ranking 01
TELEPHONE88 02 2222 81265
ADDRESSDhaka, Bangladesh
EMAILinfo@brac.net
WEBSITEbrac.net

জাগোরানী চক্র ফাউন্ডেশন (জেসিএফ)

Ranking 01
TELEPHONE88 02 2222 81265
ADDRESSDhaka, Bangladesh
EMAILinfo@brac.net
WEBSITEbrac.net

টিএমএসএস

Ranking 01
TELEPHONE88 02 2222 81265
ADDRESSDhaka, Bangladesh
EMAILinfo@brac.net
WEBSITEbrac.net

RELATED ARTICLES

9 COMMENTS

    • আপনার লোনের প্রয়োজন হলে আর্টিকেলে উল্লেখিত যেকোনো একটি ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে লোন নিতে পারেন ধন্যবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular