রকেট একাউন্ট চেক করার কোড, হেল্পলাইন নাম্বার, একটিভ করার নিয়ম
Canva Pro Invite Link 2025: Join for Free Access
জন্মের পরেই পাওয়া যাবে NID কার্ড। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই একটি মাত্র Unique ID ব্যবহার করবে যা ব্যক্তির সমস্ত পরিচয় বহন করবে। নতুন জাতীয় পরিচয়পত্রের কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
গত ১২ জুন মন্ত্রিসভায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০২৩ এর খসড়াটি অনুমোদিত হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুসারে, একটি শিশু জন্মের পর থেকে আমৃত্যু পর্যন্ত একটি ইউনিক আইডির মাধ্যমে তার সমস্ত পরিচয় বহন করবে।
এটি বাস্তবায়িত হলে থাকবে না জন্ম নিবন্ধন এবং পরবর্তীতে NID কার্ড তৈরি করার ঝামেলা। এর বিকল্প হবে একটি মাত্র আইডি নাম্বার, যা একজন বাংলাদেশি নাগরিক জন্ম গ্রহণের পরেই পাওয়ার অধিকার রাখবে।
আরো পড়ুনঃ Smart NID Server Copy Download 2025 – এনআইডি সার্ভার কপি ডাউনলোড [2025]
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন খসড়া
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন নতুনের খসড়াটি ২০২২ সালে প্রথমবার প্রস্তাব করা হয়েছিল। অবশেষে, ১২ জুন ২০২৩, মন্ত্রিসভা জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। নতুন নিয়ম অনুসারে, জাতীয় পরিচয়পত্রের দায়িত্ব পাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।
Unique ID Number
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০২৩ খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। শিশু জন্মের পরেই একটি Unique ID Number দেয়া হবে যা অপরিবর্তিত থাকবে। নাগরিকের ভোগান্তি দূর করার জন্য এটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে মন্ত্রিসভা।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কোন ব্যক্তির বয়স ১৮ পূর্ণ হলে সেটি তাদের ভোটার তালিকায় নথিভুক্ত করবে। বাংলাদেশ পাসপোর্ট যেহেতু সুরক্ষা সেবা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত, তাই আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্রও যদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে যায়, তবে পাসপোর্ট এবং ID Card এর মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করা যাবে।
জাতীয় পরিচয়পত্রের কার্যক্রম
নতুন আইন অনুসারে, আইডি কার্ডের কার্যক্রম পরিচালনা করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ। নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ নাগরিকের ১৮ বছর হলে তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করবে। যাদের ইতোমধ্যে আইডি কার্ড রয়েছে, নতুন নিয়ম অনুসারে তাদের আইডি কার্ডে কোনো পরিবর্তন আসবে না কিংবা নতুন করে ভোটার হতে হবে না।
আরো পড়ুনঃ ভোটার আইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তন করার সঠিক নিয়ম 2025
জাতীয় পরিচয়পত্রের নতুন আইন সংসদে পাশ হওয়ার পর কার্যকর হবে। সরকার যে কোনো নির্ধারিত তারিখ থেকে এটি কার্যকর করবে। তখন ইউনিয়ন বা উপজেলা পর্যায়ে নতুন আইডি করার জন্য নিবন্ধন থাকবে।
নতুন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনে পরিবর্তন
জাতীয় পরিচয়পত্রের কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে একটি আলাদা প্রতিষ্ঠানে আনা হবে। একটি নিবন্ধক অফিস থাকবে এবং একজন নিবন্ধক থাকবেন, যারা মূলত জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের কাজ করবেন। একজন নাগরিক জন্মের পর পরই একটি ইউনিক আইডি নম্বর পাওয়ার অধিকারী হবেন, যা অপরিবর্তিত থাকবে।
জন্মের পরই NID দেয়ার উদ্দেশ্য
বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বিভিন্ন সময় পরিবর্তিত হয়েছে। প্রথমে ১৭ সংখ্যার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দেওয়া হতো, তারপর ১৩ সংখ্যা, এবং স্মার্ট আইডি কার্ড প্রচলনের পর এটি ১০ সংখ্যার করা হয়। একই ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ১৭ সংখ্যা, ১৩ সংখ্যা এবং ১০ সংখ্যার আইডি নাম্বার দিয়েও পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘদিন ধরেই সব নাগরিকের একটি ইউনিক আইডি নম্বর নিয়ে ভাবছিল। বিভিন্ন আইডি ডকুমেন্টে বিভিন্ন নাগরিকের ভিন্ন ভিন্ন তথ্য নিয়ে তৈরি হয় নানা জটিলতা। তাই, কোনো নাগরিকের জন্মের পরই একটি নির্দিষ্ট ও Unique Identity Number দেয়া হবে যেটি তার সারা জীবনের পরিচয় বহন করবে। এতে করে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ভুল হওয়া বা জটিলতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।