সম্প্রতি, ‘Another horrific news from Bangladesh. Another Hindu women abducted, raped & murdered by radical Islamists in Comilla city’ অর্থাৎ ‘কুমিল্লা শহরে কট্টরপন্থী ইসলামপন্থীরা এক হিন্দু নারীকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা হয়েছেন।’- শীর্ষক একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

এক্সে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কুমিল্লা দেবিদ্বারে উদ্ধার করা লাশটি হিন্দু নারীর নয় বরং, উক্ত নারীর নাম শাহনাজ বেগম। যিনি একজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী। এছাড়া, উক্ত নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কিনা সেটি এখনো নিশ্চিত হয়নি পুলিশ।
অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে বিডিনিউজ ২৪ এর ওয়েবসাইটে গত ০৬ মার্চ “কুমিল্লায় সেতুর নিচে বিলে পড়েছিল হাত-পা বাঁধা নারীর লাশ” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ০৬ মার্চ দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার ইউছুফপুর কালভার্টের নিচ থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ক্ষতবিক্ষত লাশটির হাত-পা ও চোখ-মুখ বাঁধা ছিল। তবে, উক্ত নারীর পরিচয় শনাক্ত হয়নি বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
একই তথ্যে সংবাদ প্রকাশ করে বাংলা ট্রিবিউনও। সেখানেও পরিচয় শনাক্ত না হওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে।
পরবর্তীতে লাশের পরিচয়ের বিষয়ে জানতে দেবিদ্বার থানায় যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ রিউমর স্ক্যানারকে বলেন, ‘পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম নাম শাহনাজ। বয়স ৫২ বছর। স্বামীর নাম শাহ আলম৷ তিনি মুরাদনগর থানার বাখরনগরের বাসিন্দা। ধর্মে মুসলিম।
এছাড়া ধর্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি, এখনো মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
অর্থাৎ, উদ্ধারকৃত লাশটি মুসলিম নারীর।
সুতরাং, কুমিল্লার দেবিদ্বারে উদ্ধার হওয়া মুসলিম নারীর লাশকে এক্সে হিন্দু দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।