সম্প্রতি ‘ব্রেকিং নিউজ ৭.৩.২০২৫ সুনামগঞ্জ শাল্লা আওয়ামিলীগ নেতাকে ধরতে গেলে এলাকাবাসী একজোট হয়ে উল্টো পুলিশকে ধাওয়া করে। অভিনন্দন সুনামগঞ্জবাসী।’ শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সুনামগঞ্জে আওয়ামিলীগ নেতাকে আটক করতে করতে গেলে এলাকাবাসীর সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার কোনো ঘটনার নয় বরং, এটি জলমহাল থেকে মাছ লুট করার চেষ্টাকালে পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার ভিডিও।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটির কিছু কী ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে মূলধারার গণমাধ্যম যায়যায়দিনের ওয়েবসাইটে ২০২৫ সালের ৮ মার্চ ‘শাল্লায় পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে জলমহাল লুট’ শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সুনামগঞ্জের শাল্লায় সত্তুয়া জলমহালে মাছ ধরতে বাধা দেওয়ায় জনতার; সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ৭ মার্চ (শুক্রবার) সকালে দ্বিতীয় দফায় সত্তুয়া বিলে মাছ ধরতে আসে আসপাশের এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার জনতা।
পুলিশ সূত্রে প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, পুলিশ মাছ ধরতে বাধা দিলে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে ধাওয়া দেয় স্থানীয় জনতা। এক পর্যায়ে বিক্ষোভত্ব জনতা জলমহাল ইজারা দারদের ২টি ছাউনি ঘর ও নৌকায় আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
একই বিষয়ে একই তথ্যে দেশের মূলধারার একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন (১, ২,৩) প্রকাশিত হয়।
অর্থাৎ, সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করতে যাওয়ায় নয় বরং জলমহাল থেকে মাছ লুটে বাধা দেওয়ার কারণে পুলিশের সাথে গ্রামবাসীর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সুতরাং, সুনামগঞ্জে মাছ লুটের চেষ্টার সময় পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ভিডিওকে আওয়ামিলীগ নেতাকে ধরতে গেলে এলাকাবাসীর সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।